কষ্টপুরে কবি একা
কবিতা চলে গেছে সুদূর অতীতে
লেখা ছেড়ে গেছে কিছু দীর্ঘশ্বাস
আয়না গম্ভীর মুখে এসে বলল - আমি যাই?
চঞ্চলা কলম কতদিন স্নান করেনি
গায়ে মেখে বসে আছে
ধূলো, কাদা, ছাই!
শ্বেতাও পাতলা কাগজের শাড়ী পরে বলে - যাই
জলচৌকির ’পর কুপীর কালিমাখা আলো দপ দপ করে
নীলাঞ্জনা চশমার কাঁচে বিভূতি জমে পড়ে পড়ে
সৌদামিনি চাটাই আসন ছিঁড়ে কুটিকুটি
অকর্মণ্য মনের আকাশে শঙ্কার ভ্রুকুটি
সকাল গড়িয়ে বিকেল গড়িয়ে এল রাত্রি
সকালতো হয়না, কবি কি আঁধারের যাত্রি?
কবিতা গেছে চলে, লেখাও তাই
মুখ দেখবে কবি, সে আয়নাও নাই
কবির শ্বাস ফুলছে, দম বন্ধ প্রায়
এত কষ্ট কেন, বিধির কি অভিপ্রায়!
কবিতা, লেখা, আয়না, শ্বেতা, চঞ্চলা ও নীলাঞ্জনা
কবির মন কুঁয়ার গভীরে সবই সোহাগ বৎসলা
কবি আজ একা, কষ্টপুরের ফুটিফাটা তাপে সেঁকা
ট্রামের তার আকাশ ছিঁড়ছে, কবিকে আর যায়না দেখা।
ডিসেম্বর ০৮, ২০০৬
মুম্বাই
সুপ্রতীক অরূপ