বিবর্ণ
একুশ
এরা
কারা?
এরা কি
মূর্খের বাড়া?
বরকত
রফিক জব্বার মাণিক এরা কারা
এঁদের
জন্য কিছু সময় আছে? কিম্বা কিছু চেতনার পারা
প্রয়োজন কি? এ বিশ্বায়নের যুগে শুধু নিজের কোলে ঝোল
টেনে
টেনে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করে যশের দোলনায় দোল
এই না
হলে এক জাতি যার ঐতিহ্য যার ইতিহাস সারা দুনিয়ায়
প্রসিদ্ধ, শিক্ষায় সংস্কৃতিতে যাকে ছোঁয়া যায় না কোনও তুলনায়!
হ্যাঁ
ঠিক ধরেছেন এই জাতির নাম হলো বাঙ্গালী
এরা
ব্রিটিশ রাজের সম্মান পেয়ে হয়েছিল রায় বাহাদুর
এরাই
সবার আগে লালমুখোদের দেশছাড়া করেছিল –
দুর
দুর
এককালে
বলা হত
‘আজ
বাঙালী যা ভাবে তা নিয়ে বাকি দেশ ভাবে কাল’
এক সময়
ছিল যখন বাংলার মুখ দেখে সূর্য দেব উঠতেন আকাশে মিঠে লাল
এক সময়
ছিল যখন সারা দেশের মানুষ চেয়ে থাকত এই জাতির দিকে
সে এক
সময় ছিল যখন বাংলা মায়েরর সন্তানেরা তাঁর শেখানো ভাষার জন্য
প্রাণ
দিয়ে রক্তে রাঙিয়েছে সেই মায়ের মাটি – ভাষাকে ভালেবেসে হয়েছে ধন্য
সেই
তাদেরই কিছু নাম হল বরকত রফিক জব্বার মাণিক
এরা আজ
অচল তাই না? বৈষয়িক বাঙ্গালী আজ আপনি ঠিক
আজ ভাষা
আন্দোলনের জন্য প্রয়োজন হয়না প্রতি ফেব্রুয়ারির আধঘন্টার বেশী
পতাকা
তুলে ঐ আধ ঘন্টায়ই বুঝিয়ে দেওয়া যায় আমরা কত পালটেছি
আমরা
কি কোনও দিন মাকে ভালবেসেছিলাম কিম্বা তাঁর শেখানো ভাষাকে
আমরা
কি কখনোও বুঝেছি বরকত রফিক জব্বার মাণিকের স্বপ্লিল আশাকে
আমরা
কি বাঙ্গালী? আমরা কি মানুষ? আমরা কি কোনও দিন ভালবেসেছি
অনাদৃতা
ভাষা-মাকে?
সত্যিই কি কোনওদিন মায়ের দিকে
তাকিয়ে দেখেছি?
কেন
বাঙ্গালীর মনের গভীরে একুশে ফেব্রুয়ারি আজ আর কোনও সাড়া জাগায় না
কেন
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙা ভাষা দিবস আজ আর মানুষকে রাগায়না?
কেন
কেন কেন কেন –
উত্তর নেই
–
এ প্রশ্ন কোন মঙ্গল গ্রহের প্রাচীরে গিয়ে
ধাক্কা
খেয়ে অচেতন হলো এই ক্ষোভ, মানুষ কি কেমন করে গেল এভাবে মিইয়ে!
একুশে
ফেব্রুয়ারি কি এতই দূরের পাখি যার ডানার আলো আজ আর পথ দেখায়না,
বিবর্ণ
সেই একুশের চোখে আজ আলো নেই পড়েছে চালশে তবু সে হারিয়েও হারায়না
বাংলা ভাষাকে ভালবাসলে
–
বাংলা মায়ের কষ্ট কি বুঝলে আসুন
এই ভাষাদিবসে
সবাই
মিলেমিশে
–
গেয়ে উঠি আমরি বাংলাভাষা মোদের গরব মোদের আশা...
ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০০৮
সুপ্রতীক অরূপ