মনরাধা তোমার জন্য
তুমি পাঠালে আমাকে এক না লেখা চিঠি
আমি মন পাড়ার রকে বসে পড়লাম তোমার ওষ্ঠলিপি
আমার কাজের মাঝে মাঝে কান্না ধারা বহে চলে
তুমি থামতে দিলে না যে এই কর্মক্ষেত্র অকুস্থলে
আমি দূর থেকে তোমাকে ছুঁলাম মন তুমি জানো
এত কেন ভালবাস এক অচেনা মানব জমীনকে
কেন এত শিহরণ তোমার দিনরাত এক করা মনভূমিতে
তুমি কেঁপে উঠলে আমার দু’হাতের মরুভূমির মাঝে
তোমার কানে ফিসফিসিয়ে গেল মাতাল করা বাতাস
তোমার কান্না ভেজা চোখের পাতায় ওষ্ঠ ছুঁয়ে
সকাল হলো আগুন রঙ্গে মনের যত কষ্ট ধুয়ে
তুমি বললে যদি আমি না দিই ছুঁতে
যদি অভিমানের পাহাড় নামে ভেঙ্গে
তুমি কি করবে
অনাবিল গজদন্তের হাসি দিয়ে তোমাকে স্নান করিয়ে
আবার মুখ নামিয়ে তোমার কলার বোনের গভীরে নাক ঘষে
তোমার কমলা কোয়া ওষ্ঠ জোড়া ছুঁয়ে পাগল হলাম আমি
মানভাসি’র জঙ্গলে তোমার এলোচুলে আর খোলা পিঠের নীচে
সব কষ্ট ধুয়ে দিই আমি তোমার চোখের পাতায় অনুভব কর তুমি
এখন তোমার কাজের বেলা মাতাল করে মনের ঘরে হারিয়ে
তোমার সাজানো রূপ আলুথালু করে উদ্দাম হব তুমি শুধু বল
মন চায় সেই বেতলার জঙ্গলে হারিয়ে যেতে রোজ রোজ প্রতিদিন
পাগল করা গা’ঘামানো গ্রীষ্মের ফেরিওয়ালা হাঁকা দুপুরে ঝর্ণাতলায়
কিম্বা শূন্যাঙ্কের টাইগার হিলের লেপ হাতরানো শীতের মাঝরাতে
কিম্বা অঝোর বৃষ্টি ধারায় একান্তে ভিজে থাকা কামনার তীব্র নিশ্বাসে
তুমি শুধু থেকো যেথা মিলন কথাটি আদিম হয়ে জন্ম নেবে
আমাদের কথা পৃথিবীর না লেখা পাতায় প্রজ্জ্বল হয়ে লেখা রবে...
সুপ্রতীক অরূপ
২৯শে ডিসেম্বর, ২০০৯
|
|