নব মাওবাদী আতঙ্কের পাঁচালী


কালো পাথরে খোদাই করা মানুষগুলো লোধাশুলি'র জঙ্গলে বেশ ছিল
নিরাপদে নির্বিবাদে লালমাটীর মহুয়া মাতন প্রকৃতি আর পরিশ্রমী মন নিয়ে
কি দরকার ছিল তাদের নিয়ে রাজনীতির নোংরা খেলা খেলার
সেদিনের ভূঁইফোড় জোড়া ফুলের সুবাস তো কোনদিন ছিলনা
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দুর কি মহিমা তা' ওরা জানেই না
হাতের কাজ কাড়তে কাড়তে অবশ হাত নিয়েও বিবাদ ছিলনা
তরমুজের মতো দিনে তেরঙ্গা আর রাতে লাল শালুর সাথে ফষ্টিনষ্টি বেশ চলছিল
আর কাস্তের শান? হাতুড়ীর দাপট ? কিম্বা তারার আলোর জৌলুস?
সে তো বত্রিশ বছর ধরে ভোঁতা করে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অন্ধকার দিয়েছ তোমরা
মানুষের বন্ধু বলে কত প্রবঞ্চনা করা যায়
আর কত প্রান নিলে তবে শিল্পায়নের ভীতপূজো শেষ হয়
কেন কেন আপাত অনন্ত এই হিংসা লীলা পশ্চিমবংগ জুড়ে
কেন নিরীহ প্রাণ নিয়ে এ খেলা, কেনরে রোজ এত মানুষ মরে
কেন এই মানুষ মারা কলের অবারিত প্রবেশ হল শালবনী'র জঙ্গলে
আর কত আর কত রক্ত ঝরলে রাজনীতির বেনিয়াদের মাংশাসী পেট ভরবে
আর কত নিরীহ পরিশ্রমী মানুষকে নিঃশেষ করে দিলে হার্মাদি রঙ্গলীলা থামবে
মাওবাদী তত্ত্ব কি তাহলে আলিমুদ্দিনের আর হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রীটের নতুন রণনীতি
হাত পার্টীরা কি ধরি মাছ না ছুঁই পানি নিয়েছে মনমোহনী প্রণবাত্মা মজা দেখছে
ওহে অর্বাচীন পেশাদার ঘাতক একবার ভেবে দেখনা তুইও ভালবাসার উতপাদন
কদম্বফুল কেড়ে নিয়ে কে তুলে দিল হাতে বোমা বন্দুকের চালান
কে তোরে প্রাণে ধরাল এই বিধ্বংসী রক্তপায়ী নেশা'রে মন

অরূপ
জানুয়ারী ০৫, ২০১০