কালের মন্দিরা
বাজে না কারো হাতে? কে না বাজে, এবং বাজায়, একলা রাতের উইন্ডোয়
কিংবা পাব্লিকপ্লেসের প্রখর দুপুরভিড়ে একটি ঋজু তরঙ্গের ন্যায়? কাল
যেন অর্কেস্ট্রামাস্টার। এক, ব্যাটন হাতে সে তার পরিপার্শ্ব হাওয়ায়
বাহিত কবি ও কলেজশিক্ষক থেকে প্যাস্টেলশিল্পী কি
ট্যাপেস্ট্রিমিস্ত্রি কিংবা গাভিরাখাল, গণৎকার, স্টোরকিপার, বিদূষী
বিদগ্ধ সকলেরে দিয়েই নিজের কম্পোজিশনটা বাজিয়ে নেয়। কালের এই টিউন
ও অন্যান্য কম্পোজিশন্যাল অ্যারেঞ্জমেন্টের আওতায় সাধারণের মতো
কবি, কথাকার, চিত্রী, সিনেমানির্মাতা যার যার কন্ট্রিবিউশন রেখে
প্ল্যানেটের বাইরে বেরিয়ে পড়েন অগস্ত্যভ্রমণে একদিন। সকলেই আমরা
বাদক অথবা বাদ্যসমুঝদার, কালের। মুহূর্তমন্দিরায় আমাদের জাগরণ ও
নিদ্রা, মাঝখানে একপল অতিজীবিতের ইউফোরিয়া, আবারও অফেরা হার্বারের
পানে মুহূর্তময়ূরের পঙ্খীরাজে চেপে ট্রাভেল...
মুহূর্তমন্দিরা। আমার কবিতার বই। অনেকদিন পরে এইবার। নতুন কোনো বই
হয় নাই গত বছর-পাঁচেক। সর্বশেষ হয়েছিল গদ্য বই ‘ব্লগাবলি’, ২০১৩
ফেব্রুয়ারিতে। এইবার হলো, হতে পারল। সব মিলিয়ে এইটা আমার সপ্তম বই,
কবিতাবই হিসাব করলে অবশ্য ষষ্ঠ। প্রকাশ হয়েছে ‘অর্কিড’ প্রকাশঘরের
ব্যানারে। অর্কিড আমাদের নিজেদেরই পত্রিকা, আগেও দুই/তিনটা বই
প্রকাশ করেছিলাম অর্কিড থেকে নিজের এবং অন্যের। অনেকদিন পরে এইবার
আবারও।‘মুহূর্তমন্দিরা’ কাব্যপুস্তকের কাভার ডিজাইন করেছেন শিল্পী
অসীম দাস। লোগোটা সবদিক থেকেই স্মরণীয় ও বরণীয়। অসীম দাসের
সুস্থায়ী শিল্পস্বাস্থ্য কামনা করি। বইটা প্রকাশের পেছনে অর্কিডের
হয়ে দেখভাল করেছেন অনেকেই, সবার নাম হয়তো মনে পড়বে না চট করে।
নেছার আহমদ জামাল বিশেষভাবেই কৃতজ্ঞতা পাবেন, যেমন জীবনানন্দ দেব,
বইটার অঙ্গ ও অন্যান্য রঙ্গ প্রসাধনের জন্য। এছাড়াও ফখর,
আব্দুল্লাহ, শাহজাহান ... মুদ্রণযন্ত্রীর নামটা আপাতত মনে পড়ছে না
...।
২০১৯ অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অর্কিড প্রকাশঘর থেকে বেরিয়েছিল আমার
এই ষষ্ঠ কবিতাবই। ঠিক এক বছর পর আজ ভালাবাসা-দিনে শ্রদ্ধাস্পদ
হুমায়রা হারুন বইটির ই-বুক করলেন অনেক যত্ন ও ভালোবাসায়।
"মুহূর্তমন্দিরা" এইমুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে ত্রোয়দশ কেমুসাস বইমেলার
চিলেকোঠা স্টলে (স্টল নং ১৫)। বন্ধুদের নেড়েচেড়ে দেখার আমন্ত্রণ
রইলো।
বিনীত
সৈয়দ আফসার
ইংল্যান্ড
১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০
|