২১শে মার্চ বিশ্ব কবিতা দিবস। নিজের
জন্মদিনও একই দিনে।
এইদিনে ঈশ্বরকে বেঁধেছি ঋণে।
মাথানত মায়ের চরণে…।
বিভিন্ন কারণে জীবনকথা আমাকে বিহ্বল করে। বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে কথা।
এ কথাই আমাকে শুনায় কবিতা। তিনটি ধ্বনির সমষ্টি
-একটি
শব্দের নাম কবিতা, যার
ভেতর থাকে উম্মাদনা-উত্তেজনা-ভাবনা-সাধনা, লক্ষ্য,অনুভব, অনুভূতি। যদি
কবিতাকে এভাবে ভাবি— ফুল ফোটার প্রথম কৌশল কাউকে বলেনি তার প্রস্ফূটিত না-হওয়ার
আকাঙ্ক্ষা অথবা যন্ত্রণা;
যন্ত্রণা যার সে শুধু বুঝে…। তেমনি একটি কবিতা
লেখার ভেতরের গল্প কবি ছাড়া আর কেউ কি বলতে পারে?
একটি কবিতাকে পূর্ণ রূপ
না দেয়া পর্যন্ত তাঁর উত্তেজনার রেশ কাটে না। কারণ কবিতা লেখার পেছনে কবির
মনে হয়ত তিন ধরনের অনুভব,অনুভূতি কাজ করে, যেমন লেখার আগের, লেখার সময়কার
এবং লেখার পরের অনুভূতি। আমার কবিতায় উত্তরাধুনিকতা নয়,
আধুনিকতা
নয়, চর্যাপদের ঢাল নয়,
মধ্যযুগের কবিতা ভাবনা নয়,
আমি এই সময়ের কবিতা লিখতে
চাই, নতুন করে শুরু করতে চাই। কিন্তু কিভাবে শুরু করবো তা আমার জানা নেই।
লিখতে লিখতে
হয়তো সে পথ খুঁজে পাবো।
কবিরা কি শুধু কবিতা লিখেন, নাকি পড়েনও? না তার বাইরে অন্য কিছু তাঁকে
আচ্ছন্ন রাখে; কবিকে ভাবায়? যদি তাই হয়, তবে বলবো কবিতা ভাবনা কবির
প্রতিদিনের আশা থেকে উঠে আসা জীবনী,দোলায়িত কথা। আর কথাই যদি হয় কবিতার
প্রথম স্তুতি তবে বলবো কথা-ব্যর্থতা-কথকতা মিললেই বাঁধা হয় কবিতা। কবিতা
বলতে অন্যকিছু ভাবি না, তাকালেই যখন দেখি ‘সারাদিনের ব্যস্ততা আমার চোখের
সামনে এক পায়ে খাড়া
!’
তাও হতে পারে ক্লান্তিহীন কবিতা ভাবনা।
কবিতাকে
সারাজীবন বোধহয় এভাবেই ভাববো
--যা এখনও অদৃশ্য, এখনও উপলব্ধি করিনি,
এখনও লেখা
হয়নি, এখনও ভাবিনি,
এখনও স্পর্শ করিনি,
যা
স্মৃতিপটে হাঁটেনি,
জলপথে নামেনি, আকাশপথে উড়েনি,
ঘুমের
মধ্যে জাগেনি,
কাজের ফাঁকে পালায়নি।
সৈয়দ আফসার
syedafsar00@gmail.com
মে ১০, ২০১০
ইংল্যান্ড
সূচিপত্র