ক্ষরণ


হাতড়ে ওঠো জরাতুর দেহ, ক্রোধে আক্রোশে সৃষ্টি করো জবুথবু ভাষা;
আমি প্রসারিত দ্যাখো ছায়াদের সাথে। দমকা হাওয়া আর ভাসা-ভাসা
চোখে হারিয়ে ফেলেছি প্রাণ,ক্ষয়ে যাওয়া ক্রোধে। ফোস্কা পড়া জীবনের
গতিপথে পরিত্যক্ত ভোর। স্বপ্নীল প্রতিবিম্বগুলো একত্রে ছুটে যায় রোদে,
সময়ের পা ছুঁয়ে প্রসারিত নাভিশ্বাস
বিভাজিত চোখে ছলে কল্পকথাগুলো
তুলে রাখি খোঁপায়। শুদ্ধস্বরে যাহা ভাবো তা হয়তো অলক্ষে ঘুমিয়ে
থাকে শ্যামের লীলায়। প্রস্তুতির সুরত জমানো হরেকরকম মুদ্রায়।অলিন্দে
কল্পনাগুলো জমা ছিলো এক-একটি কৌটায়।

দিনের লিপিতে কাঁপছে সবি
দুটি কৌটোয় জমানো ছিল আমাদের
পুরোনো রূপকথা। তবুও অশ্রু ভারাক্রান্ত দেহ; মুহূর্তগুলো রাশি-রাশি
শূন্যতায় ভরা।

 

একটি দৃশ্য দেখে


নরম রোদে পরস্পরের লুকানো হাসি দেখে
কোলাহল সেচে বসে আছো লোলুপ দৃষ্টিতে
বসে বসে ক্ষতবুকে সজোরে বাজাছো করাঘাত
ছায়ারহেলান থেকে খণ্ডিত করেছে শোকজল
আর ভাবছো একটুকরো অনীহা থেকে সুর বাজে না
রোদকন্যার বুকে
দুহাতের অল্প-অল্প চাপে থেকেই যাচ্ছে অনীহা

না ফোটা তালুর উপরে
তাতে ভাবছো তিনটুকরা স্বান্ত্বনা একাই

নরম রোদে আমরা তো লুকাইনি অবু হাসি
তুমি কি সব দেখতে পাও, না বসে পাশাপাশি

পরিমাপ


স্বপ্নের প্রজনন জমা হলো ল্যাম্পপোস্টে
অস্তিত্ব নিভু নিভু কেরোসিনে
নিদ্রাহীন সার
অল্পসল্প ঘুমচোখে চর্বিত করেছি চেনা সুর
সুখাভাব চেহারা
নোঙর পেতে রাখি নিলিপ্ত ছায়ায়, লুপ্ত কথাগুলো
ঠিকানা পেল
আনা স্টিকের অতলে

যৌন কৌতুহল দেখি কীর্তনখোলা নদীর
উর্মিরা আছড়ে পড়ে হাতে, নীলাভ সন্ধ্যার ঘোরে
ঝরে গেছে যত ক্রোধ;
শুকনো পাতা হাটে
থেমে গেছে হাওয়া
তারও ভ্রমে উৎকীর্ণ সাধের বারো আনা শরীর

অচেনা পথে চার আনা পুঁজি করে বেঁচে আছে যারা
তাও একদিন হারিয়ে যাবে চিরস্থায়ী ঘুমে

ল্যাম্পপোস্ট নিভে গেছে ঘুমে, চেয়ে দেখি সবি অন্ধ; অন্ধকার
এখন কার সাথে কথা বলি
তবে তো নিদ্রাটাই সার

 

 

শূন্যতা


আমি তো জলের শূন্যতা মেপে দেখিনি
তাই আয়নার সামনে তোমাকে খুঁজি বার-বার
পেছনে তুমি নেই;
তোমার ছায়াকে পাবো না জানি

তারপরও কেন যে বায়না ধরো অনুভবে
ফুটে কল্পনা; পোড়াও মুখ-মুখচ্ছবি
পাতার আড়ালে ঢেকে রাখো প্রবলস্পৃহা কিছুটা বুঝি

কেউ তো কখনো ভাবিনি আমাদের প্রাপ্তি দাঁড়ালো কোথায়
কোথায় শেষ হবে
কতটা ব্যাপ্তি
তুমি কি প্রতীক্ষাগুলো গুনে রেখেছো; নাকি কখনো ভাবোনি
কখনো এমন হবে না জেনে চোখে শূন্যতা কভু মেপে দেখিনি

 

লাটিম


লাটিম ঘুরে ঘুরে চূড়ান্ত যাত্রায়
মাটি চিরে ব্যথাচিহ্ন খুঁজে
লোকালয় ছেড়ে লোহার দুঃখ
কে খুঁজে বলো কাঠের অপেক্ষা
ছিলে পাশে তবুও নির্ণয় করতে পারিনি
কেনো লোহা মাটি খুঁড়ে লাটিম কেনো
ঘুরে দাঁড়ায় লক্ষ্য প্ররোচনায়
দেখো কি সুন্দর! লোহা-মাটির স্পর্শে
ছুটে যাচ্ছে ঘূর্ণিলাটিম দশআঙুলের ইশারায়

রোমন্থনলিপি


তবুও দেখো
কথাগুলো রয়ে গেলো রেখায়
দূর থেকে উঁকি দ্যায় আবছায়া
কিংবা দেখায়
তাতেও সহে যায় স্মৃতি,
এমনি
অযথায়

পরে গেল কথা রমণীর অষ্টাদশী তুলতুলে গালে
সাতপাক ঘুরে হেঁটে গেছে যারা,
যন্ত্রণা গিলে

খেয়েছে মলিন হাতে;
জানি স্মরণ আসবে না তা
ঝুলে
যাবে চোখ, বৃষ্টির স্যাঁতস্যাঁতে জলে

কেননা যার জন্য পঞ্চপ্রহর একহাতে ধরে রাখি

একাকার হয়ে নির্বিঘ্নে ঝরে অশ্রুসিক্ত আঁখি
এপাড়-ওপাড় দুইপাড়, পাড়ি দেই সখি
বলো তো

পুলসেরাত উত্তরণে এখনও ক
হাত বাকি

..............................................................................................................

স্রোত


তোমার কাছাকাছি এলো আমার কাগজের নৌকা
স্রোতের বিপরীতে বৃষ্টি আর এক টুকরো মেঘ
আর আমরা যারা স্বপ্ন ভেঙে জেগেছি দেখি ক্ষয়িত
মুখাবয়ব আর জ্যামিতির রূপে প্রবাহিত সব
মেরুকরণের শুভ্রতা ঘিরে, আর স্পর্শের বিষমতায়
অভিষিক্ত আমি ইন্দ্রিয়পথে মিশে গেছি সীমাহীন কিনারে
যারা অজ্ঞাতসারে গিয়েছি কিনারে দেখি মিশে গেছে সব
স্রোতের বিপরীত স্রোতে

 

 

দেয়ালকাচ


যদি বলার কিছু থাকে সাহস করে বলো বুকে হাত রেখে বলো ভাবো

ভাবো আরো নিঃশ্বাস ছেড়ে;
ভাবো আরো
আরো একবার জেনে রাখো
তোমার পাশে দাঁড়ানো তিন-তিনটি নিদ্রা তাড়ানো গাছ

যদি বলতে নাই পারো; ঘুরে ফেরে চলো;
একটু বুঝতে দিও
জানি
তোমার বুকে স্বপ্নপাথর, হাসিফুল ঝরেছে কবে তাই জমাট বাঁধা দীর্ঘশ্বাস।
দেয়াল টপকাতে যেও না যদি না-বলা কথার মতো ভেঙে যায় জানালার
কাচ

 

রোমন্থনলিপি ২


ওই শব্দীগুলো উঠে এলো বাঁকে
উৎসের ঢেউ ভাঙা দোলাচল বুকে
আমি ধ্যানে রাখিনি শুধু কম্পাংক মাপি

দূরে বাজে সুর কান পেতে রাখো, দেখবে মূর্ছনার
আওয়াজ ভেসে ওঠে প্রতিধ্বনি সুরে

পিছলে যাবে জানি পা; কথাগুলো তবুও জপি
তবে বলতো রহস্য ঘোর থেকে তোমার শরীর
কতটুকু উষ্ণতা পেল, দাঁড়িয়ে আছো তবে হাত দূরে

 

বিকিরণ


ব্যথিত হলাম তা জেনে পাঁজরের নীচে
জমেছে শিহরণ
যারে খুঁজতে গেছি দূরে
তার চোখে বিকিরণ
চোখ ভরা বিষ; অবিরত ক্ষরণ
ফলে রোদে পুড়ে বন

মনে পড়ে কুয়াশারাতে অভিমানী শীত
বোবাজলে মাগুরা নদীর পাশে কলঙ্কিত প্রেম
আমার তৃষ্ণার্ত জিভের ফাঁকে নীরব জল এলে
এখনো মাঝে মাঝে নদীপাড়ে জোনাক জ্বলে

 

নামতা

থু-তু ফেললে মনে হয়
মুখে আর জমবে না
নীরবতা!
ঝরনা নাম ধরে যে মেয়েটি লুকাল চোখ
কোনো লুকালো নিজেও জানি না!

কাল রোদ মেখে সেও শরীরে ফোটাচ্ছে ছায়া...

আজ কাঁপিয়ে তুলেছে পায়ে পায়ে জলের উষ্ণতা
নিজেকে চিনতে শিখিনি, হারিয়েছি দেহের নাব্যতা
নিঃশব্দ;
তোমার মতো পাঠ হউক ধারাপাত নামতা

 


আর্তনাদ


বন্ধু যারা দুঃখ পেয়েছো রূপাদের কথায়
দুঃখকে করুণা করো না, হাড়ে-র ভাষায়
মিশে যাচ্ছো সম্পর্কে তৎক্ষণাত...
অল্পই তফাৎ
এই যা পান করা তামাকপাতা; শুশ্রুষা আহা!
সুখের ভেতর দুঃখকে শেখানো হচ্ছে চোখের প্রণয়

ওভাবে আমরা ভাবলে দেখতো কেমন হয়?
গাছের ছায়াগুলো হাসে পাখির ডানায়
রূপাদের ছায়া মিশে যাচ্ছে ঘাসের পাতায়

বন্ধু যারা দুঃখ পেয়েছো সম-বেদনা তোমাদের
পোড়াবাড়ির, রূপাদের, চক্ষুর... তারপর

আর্তনাদ কেঁদো না আর!

ব্যবচ্ছেদ করো মনে মনে


পাশ ঘেঁষে বসার গল্প কবেই হয়েছে অজ্ঞাত, তুমি এড়িয়ে চলো চুপ-চাপ
সেই মতো করে সব কিছু বুঝি গেছি কবেই দেহের উপর নেই কারো
অধিকার; তীব্র বেগে ধাক্কা লাগে অন্তরে মন রাত্রিকানা। স্বপ্ন ফুরিয়ে
গেলেরাত্রি দীর্ঘ মনে হয় না আশা দুরকম এগোলে স্বপ্নগুলো রুদ্ধশ্বাসে
ফুটে গোপনে, পাশ ফিরে বসার গল্প যারা বলে তারা কি মূর্খ?

তোমার ভালোবাসা সন্ধ্যেবেলাকার আহ ! সন্তে হও স্নাত জলের বাহানে
এবার  দীর্গঘায়িত করো চোখ -ব্যবচ্ছেদ করো ভ্রান্তি যত মনে মনে
 

ওহো তুলোমেঘ

 

আজ তুমি দীর্ঘশ্বাস কুড়াও বরফজলে

ওহো তুলোমেঘ একটু পরে এসো, উড়ে এসো

ঘনরঙে ছুটে এসো; এসো ধুলোকণা সেচে

বাতাস ঘুরে এসো; দেহকোষ বেয়ে এসো

স্বপ্ন উড়ে যাও বরফের মায়ায়

রোদজলে হেঁটে এসো, খোলা আকাশের নিচে

এসো হাসিমুখে...

না-ছুঁলে আমিও হিম হই আশা-শিহরণে

 

 

কা্খা
 

তুমি নীল আকাশে চেয়ে থাকো অবিরত
আমি মেঘের গর্জনে কান পেতে বসি

ধুলোরঙে হাওয়া বয়ে চলে-তবু বৃষ্টি হয়নি
তাই দরজা পাশে দাঁড়ানো একমুঠোরোদ
পেখম মেলে
যদি ঘুম ভেঙে যায় তারা গুনে জমা রেখো হাতে

 


তোর সুখ আছে জেনে


রোদে দাঁড়ালে ভেঙে যায়
অলস সময়
ছায়ায় দাঁড়ালে রোদের তীব্রতা
তোর দিকে যায়, তোকেই পোড়ায়
বিকেল হলে সূর্য ডুবে যায়
তখন কেবলি আঁধার ঘনায়
আঁধার ঘনালে বহু দেনার লোভে
রাত্রি ফেটে যায় ঘুমহীন লোভে
দৃষ্টির ঋণ অনুভবে পুড়ে
কিন্তু জ্বলন শিখতে পারেনি অন্ধকার
তোর সুখ আছে জেনে
সুখে-দুঃখে করছে হাহাকার

রোজগার


কাজের কষ্ট ঘামই বুঝে
এখন অবশ্য রোজগারের দুঃখ তাকে
ছোঁয়ালে সেও শ্রমের বিনিময় খোঁজে
আমি কাউকে খুঁজি না; শুধু দয়া না পেলে

স্বপ্নের মাহাত্ম্য কী রকম? বিশ্বাসও নেই বিলকুল
সব কিছুতে তোর বিশ্বাস ষোল আনায় অটল
সে সব জানতে তোর কাছে ফেরাই একমাত্র সম্বল

 

পাজরের হাড়ে
 

অন্যান্য প্রসঙ্গ মনে না -রাখাই ভালো
শুধু মেনে নিলেই হয়, যা দেখছে চোখ
দেড় ক্রোশ দূরে শিকারির ছুঁড়ে ফেলা
তীর!
তারচে বেশি কিছু বলার নেই, তুমি সবই জানো
হৃদয় শিকারি ক্ষতিকর...

তুমি হয়ত বদলাবে না কথা, আপন মনে
যদি তাই হয় তবে আমি গোপনে লুকাতে
যাবো না আর তোমার পাঁজরের হাড়ে

 

 

ফেরারি পর্ব ৪

আর কটা দিন পর পূর্ণতা পাবে, পূর্ণ হবে ষোলকলা; সেদিন তোমার শোকাচ্ছন্ন হাসির উপর দাঁড়িয়ে রবে আমার কান্না... কথা বলার আগে গাথা-গল্পকথা শুনে শুকিয়ে যাচ্ছে গলা। যদি বলি পুরোটাই ভুল টার্মের হাত ধরে ঘুরে আসা লতানো কথা-টথা। অন্য ধারাবাহিকতা। আর কটা দিন পর আমিও হারাবো পাঁচ-দশ-বিশ পয়সার মত অঙ্গের সচলতা। তুমি তাকালেই দেখবে জল থেকে উড়ে আসা হিমেল বাতাস, তিন টুকরো সিগারেটের ছাই, অঙ্গে চেপে ধরা অসুখ-বিসুখ কিংবা ঘুমের রেনেসাঁ... ভিনদেশে মায়ের কথা আজ বেশি মনে পড়ছে। কারণ নিরানন্দে সময় কাটে প্যান্ট পকেটে চাবি-শব্দের গান শুনে, হবো অধিকার বিনয়! মূল্যবান নিঃসঙ্গতায় ... তাই মনগড়া শরীর ঘেঁষে বসা প্রগলভ সমঝোতা। আর কটা দিন পর আসা যাওয়া পশ্চাত ব্যাকুলতা

 


 

অভিজ্ঞতা
 

পা-পোষে পা মুছতে মুছতে মনে হয়
পায়ের তলায় কিছুই থাকলো না জমা
শুধু শুধু জুতো পালিশ করে যাওয়া

আশ্চর্য ঘষামাজা-এ! ব্যক্তিগিত অভিজ্ঞতা

নাহ্‌ আমি আর পারছি না,

রহস্য লুকিয়ে রাখা
ছলনা কি সান্ত্বনা কিছুই বুঝি না, কিছুই জানিনা
পায়ে পায়ে পিষছি ক্ষতচ্ছাপ অসহ্য শূন্যতা

ফেরারি পর্ব ৬


বালিশ থেকে মাথা তের -চোদ্দ ইঞ্চি দূরে ঘুমিয়ে আছে। এই ব্যবধান কীভাবে হলো, ঘুম থেকে জেগে তাই ভাবছি আর ভাবছি  একটি লুপ্ত স্বপ্ন দেখার কথা ছিল ভোরে। কিন্তু তা হলো না, কেন দেখা হয়নি; কেউ দায় স্বীকার করেনি, নিজেও জানি না। ফলে সদ্য ফোটা সূর্য্যফুল দেখে ভিজে যাচ্ছে ভোরের ছায়াহীন বন। কার দায় বেশি ছিল তুমিই বলো এখন; ঘূর্ণি গ্র্যাভিটেশন।

 

শাদা জামা


প্রতিদিন জামায় লেগে থাকে রোদ
মুচকি হাসে বালুর কণা
যখন বুকে বিনা শর্তে ঢুকে তোমার
দৃষ্টিভঙ্গি, মনেই থাকে না-
দীর্ঘশ্বাস ছুঁতে আস্থা কার দুটি পা...
তারচে ভালো যদি শরীর খুলে হাঁটি
রোদ শুষে নেবে হৃদয়; পুরনো কামনা

 

রাত্রিফুল, ব্যথাফুল কমপ্লেক্স


যাবার দিনে দুয়ারে বাঁধলি না কোলাহল; তোকে পাবো না বলে একা-একা চারদেয়াল। আমিও দাঁড়াইনি কাল; বদলে যাচ্ছি পরস্পর! কেনো দাঁড়াইনি, সে এক বিরাট কাহিনী; অপেক্ষার কালোপাথর। ভাবতে পারিস; দেহ-মন-চোখ-হাড়সহ রাতের অন্ধকার। অন্ধকার আমারও সহ্য হয়। ভালো লাগে রাত্রিচোখের গতিকে ভেঙে-চুরে দেখার।রাত্রিফুল, ব্যথাফুল ফুটে সাজালো স্মৃতিকমপ্লেক্স

রাত্রিফুল ব্যথাফুল ছুঁলে, সামান্য দূরেও সইতে পারি না
অনিচ্ছা ভ্রমে সে-ও একা; দেহের ভেতর যত প্ররোচনা

 

 

বরফ গলে রোদে
 

বিশ্বাস করবে না; শুনে ক্লান্ত হবে
ভান ধরে মেকি... না-হলে অহংকারে
শীতের আভিমানে রোদ হাসলেই ভয়
জাগে নিরবে; তুই জানিস্ না ভারী ঠান্ডায়
দুহাত গুজে রাখি পকেটে, কপাল ফাটে
ঠোঁট ফেটে যায় ঋণে
তবুও বরফ গলে না রোদে

বিশ্বাস করবে না; কারণ বলছি বহুদূর থেকে
এখন জলকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখছি চোখ