অপূর্ণ সাধ, গোপন করো না চির আর্তনাদ!

ব্যবহার


রমণীর যন্ত্রণা যতটুকু বুকে কল্পনায় তার অর্ধেক নয়
তবু তুমি সাদৃশ্য খুঁজে চলো বাক্য বিন্যাসে ক্রিয়ায়

শব্দ তরঙ্গে স্তব্ধ তুমি-চুমু খেলে শির-শির দেহ কঙ্কাল
আমি ব্যাকরণের পাঠ নিতে এসে দেখি তুমি; তুমি আগুনের মশাল

ধ্বনি-বর্ণের ব্যবহার যেন ঘুমন্ত লিঙ্গের দীর্ঘশ্বাস
ছায়া কুড়োতে এসে দেখি তুমি শিখে ফেলেছো সমাস-বিন্যাস

তুমি যতই সন্ধি বিচ্ছেদ করো; এখনো কারকের ব্যবহার শিখনি
ভাষা শিখিনি আজো; শুধু সন্ধ্যানে ফিরি;
এ কথা কভু তোমাকে বলিনি

 

ফুলপাথর


পাথরের ঘর্ষণে পাথর ফুটুক, অনড় চোখে
তোমার স্পর্শ ছাড়া একাকী দীর্ঘ সহবাস ছেড়ে উঠুক স্বপ্ন
তার মতো করে
ফুল তবে ফুটুক কারো স্পর্শ ছাড়া নিঃস্ব দায়ভার রেখে
ঝরে পড়ুক তুমি ছুঁয়ে দেখার আগে ডালে-ডালে

তোমার দু
হাতে ঝরাফুলের হাসি নিয়ে ফিরেছো; জড়ো করছো
দু
হাতের ঘ্রাণ আমি তো যত্ন করে কুড়িয়ে এনেছি
গোলাপের কলি বহু আগে

স্পর্শ করিনি তবু পাথরের ঘর্ষণে পাথর কাঁপে
ফুল ফোটে নিভৃতে ঝরে পড়ে তার মতো করে রোদের তাপে
আজো বাঁধা আমাদের মতো হাজারও প্রাণ সেই পাথর ঘর্ষণ

আর ফুলের কাছে

জলফল


চোখের পাতায় জমেছে স্মৃতিক্লান্ত ভুল
ফলে আগে-পিছে জমেছে বিন্দু বিন্দু জল
তুমি বলো চেয়ে দেখো ফুটেছে জলফুল
তুলে আনতে দেখি গেঁথে নিয়েছো খোঁপায়
তাই চুলে ঝরেছে জলফুল; জলে ভাসছে নাকফুল প্রীতি
তুমি যখন ছিঁড়ে নেবে জল;
আমি গুনে রাখবো যত দুর্গতি

...........................................................................

 

আবছায়া
 

নিবিড় বৃত্তের মধ্যে এলোমেলো ঘুরি, অন্ধকারে লুকিয়ে ছায়া
মৌন রেখায় আড়াআড়ি দাঁড়িয়েছো,
চেয়ে দেখো
পৃথিবীর কায়া
নির্জনে ব্যাসার্ধ থামিয়েছো চোখ, গোপনতা নেই আর চোখের শ্বাসে
স্তব্ধ বিন্দু এখনো এঁকে-বেঁকে আমার জন্য জেগে আছে
জেনেছি তার পাশে

তাই একাসনে সুপ্ত রাখি যত লিপ্সা, আর রাতের ভাষা
ততবার নির্মিত করেছি কথামালা যত আঙুলের ফাঁকে
তবুও সংশয়ে যদি ভেঙে পড়ে কথা
কথার অন্তরালে
জেনে নেবো সবকিছু
ব্যর্থ অনুভবে

নাকফুল
 

আজ মেঘে মেঘে হাসছে আকাশ
কাঁদছে ফর্শা বাতাসের সই
কাল তার চোখে দেখি শ্রাবণের ঢল
ঘনঘোরে কাঁপছে জানালার কাচ
ফলে উদ্দেশ্য যত ফুটে ওঠে দানাবাঁধা মোহে
স্বপ্ন হারালে বুঝি উড়ে যায় আউলা চুল
মৃদু মন্ত্রে ঘামছে শরীর,
দুলছে নাকফুল

জিজ্ঞাসা
 

নিয়তি আমাকে প্ররোচিত করে হরহামেশা
জীবনের করাতকলে বেঁধে

শব্দ আর ভাষার রকমারি প্যাঁচে আজো
রয়ে গেছি আমি অবোধ বালক

ওগো প্রত্নতাত্ত্বিক, মাটি খুঁড়ে বের করো
অজ্ঞাত করোটির কিছু পাথর আর শিলা
ওগো হৃদরমণী, হৃদতাত্ত্বিক ভাষা দিয়ে
হৃদয়ের দাবিটুকু আজো কেন ফোটাতে পারোনি

 

 

জলকাহন
 

আমাদের জলকাগুলো জড়িয়ে
উঠেছে কচুরিপানার মূলে

হাতে-হাতে উঠে এসেছে জলজ শাপলা আর
ফোটা কলঙ্কিত জল তবে ইদানীং কেন
জল ছুঁতে গেলে অযথাই সংশয় জাগে

অথচ তুমি সেই কল্পিত সুরে কথা বলো
যেন সব স্বপ্ন লুকানো ছিল আমাদের কায়ায়


আর
আমি জলাধিকার প্রশ্ন খুঁজতে রয়ে যাব জলে
এতে তোমারও প্রণিধান রয়ে গেলো জলের দিকে

আয়না
 

তুমি যদি তাকাও ঋণী তবে চোখ
সন্ধেবেলা ঘুরে-ফেরে নামে গভীর নীরবতা
নীরবতা জানুক ভালো-মন্দ কথা; অনুতাপ
তোমাকে একা রেখে ফুলের টবে

তুমি যদি ফিরে এসো; এসো ঠোঁটে-ঠোঁট রেখে
যত হাসি লেগে থাকুক আজ আয়নার ফাঁকে

 

পুরোটা চুরমার
 

পুরোটা দেহে জমেছে ক্রোধ, তুমি হয়েছো শীৎকারে ঋণী
দেহ বেয়ে উঠে ছিলো ছিন্নভিন্ন ঘৃণা; দুখ ফুটাতে পারিনি
কাঁদতে চাও বারবার,
আমার দু
চোখে নেই একঁফোটা পানি

এতদিন কেউ দেখেনি মনোবনে জ্বলছে কত হাহাকার
তুমি ঘুরে দাঁড়াতে এসে হয়েছো চুরমার

 

ইতি-অবসরে
 

পাতার সবুজ প্রেম, প্রাণে ক্লোরোফিল
কার কাছে কে বাঁধা থাকে বলো চিরকাল
আমার হাতে বেঁধে রাখো তোমার নাকফুল

তুমি কি জানো; কারা ছিঁড়েছে সুতো কারা সেজেছে কবিয়াল
মানুষ মানুষের কাছে বাঁধা রবে আর কতদিন; কতকাল
দেখে নেয়া যেত তুমি ফিরে এলে

ইতি-অবসরে কোথায় গড়িয়েছে কোথাকার জল

 

একা
 

স্পর্শ ছাড়া কারা হারিয়েছে দিক, কে হয়েছে কতটুকু ঋণী
তুমি দমে-দমে বাঁক নাও পথ; নতুন করে ভেবে

তাই মুষলধারে ঝরেছে বৃষ্টি, শরীর কাঁপে উত্তাপে
ছুঁয়েতো কভু দেখিনি

হাত
 

হাত ছুঁয়ে দেখো ঋণ নেবো না; গেঁথে নেবো কাজলসহ দু-চোখের কান্না
হাত খুলে দেখো জীবন দুর্ভাবনা; স্বপ্ন কিছু নয় নামমাত্র বালুকণা
হাত ছুঁতে করোনি মানা
পূর্ণ করোনি কখনো দেনা-পাওনা
হাত মেপে দেখো দিনা; জলের মতো ঝরে পড়ছে সব অনুশোচনা

হাতে হাত রাখো পূর্ণতা পাবে
দূর হবে তোমার মনের সবটুকু ঘৃণা

 

রেখা
 

যতটুকু গ্রহণতা ফুরায়, তারচে ঢের বেশি হারায়
আমি ঝরতে দেখেছি অশ্রু অতলরাত্রির পরে; অবেলায়
মানুষ চিরকাল চক্রবৃত্তে ঘোরে; আশাকাঙ্ক্ষায়
তারচে বেশি হলে তোমার স্মৃতি বেঁধে নেবো হাতের মুঠোয়

শোনোনি আগে আড়ালে-আবডালে কথকতা পোড়ে; ভাবায়
বেদনাহত হলে মনপাখি উড়ে বাতাসে
ঘরের কোণায়
গড়িয়ে পড়ে উষ্ণ লালা শীতরাত্রি পরে বসন্ত ছায়ায়
গোপনে তুমি ঝরিয়েছো জল চোখে, তটরেখায়
যতটুকু গ্রহণতা ফুরায়;
শরীর কাঁপায়

নারী হয়ে গেলে এতক্ষণে
 

তুমি; তুমি এতক্ষণে নারী হয়ে গেলে আয়নার সামনে
চোখ তুলে দেখো কার ঠোঁটে লটকানো আছে শ্রাবণের মেঘ
ভাবলে অর্ধেক দেহ পুড়ে বৃষ্টির জলে

দিনে দিনে ফুল-পাতা ঝরে; হলুদ ফুলের ঘ্রাণ তুমি
চুরি করে নিলে-বিষণ্ণ বরষায় একা দাঁড়িয়েছি ঝুলবারান্দায়
দেখতে-দেখতে তুমি! তুমিও একদিন বুড়ো হয়ে যাবে

খোঁজ
 

কতদিন জেগেছিলে চোখে
তারপর ঠিকানা পেলে নির্বাসিত বুকে
বহু রাত অবসাদে নিদ্রাস্বপ্ন হলে
কৌতূহল বেড়ে গেলো আলুথালু চোখে
বর্ণিল স্পৃহা নিয়ে জেগে ওঠে যত ঘূর্ণায়মান অতীত
তারও অগোচরে মৌন অপবাদ ছেঁটে খায়

কতদিন কেটেছে ভ্রান্তি ছুঁয়ে
কত প্রহর বুঁদ ছিলেম ঠুনকো গ্লাসের তলে
আজো তৃষ্ণার্ত হই সরীসৃপের লেজে
খোঁজ করি সোনালি ভবিষ্যত

আর ইদানীং দীর্ঘ বিরতিতে ফুটেছে
তোমার চোখে কত রকম আশা আর ভাষা

ইচ্ছে
 

আজ আমি জল শুকাতে দেবো না রোদে
আজ তবে বৃষ্টি নামুক তার মতো করে
আজ একাই ছিঁড়ে নেবো এক টুকরো জল
তুমি কি আমাকে অর্ধেক রোদ পোহাতে দেবে?

কাল তোমাকে আমি ছায়া এনে দেবো

তোমার হাতের কাছাকাছি অর্ধেক রেখো
রোদটুকু ফেরৎ পাবে

আবার তোমার কাছ থেকে মেঘ চেয়ে নেবো
আজ না হয় কাল
অবধারিত বৃষ্টি এলে

জ্যোতি
 

যাদের চোখে জল; তারা বুঝে বুক জ্বালা স্মৃতি

দুঃখ ভুলে যেতে জানে না খুঁজো ত্রুটি-বিচ্যুতি
তোমার তাকানোর রহস্য দেখে ফেটেছে চোখ
ঘূর্ণিপাকে ফোটোনি তুমি; ছিঁড়েছো চোখের জ্যোতি

 

 

 

বেলা-অবেলা
 

যতটুকু বিশ্বাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো
তাকে অনুসরণ করো
কিংবা অনুকরণ করে
নো কি ছুঁয়ে দেখেছো হাত, ছায়া মেপে
প্রকাশ করেছো কি কভু গেঁথে রাখা চোখের ভাষা?
তবে কেনো দৃষ্টিস্ফীত করে খুলে রাখো চোখ আর
আউলা চুলে শুকাচ্ছো জল যেন ঝরে পড়ছে জলজ উষ্ণতা

তোমাকে জাগাতে এসে ভুলে গেছি স্বপ্ন দেখেছি কবে
ওসব বললে হেসে ওঠো বাস্তবতাটুকু
মেনে নিতে পারো না

 

স্বপ্নভ্রম
 

রোদে হেসেছে উঠোন সাথে হেসেছো তুমি
ছুয়েছো বরফগলাজল; শুষে নিয়েছো তাপদাহসহ
অবশিষ্ট রোদ
কত স্বপ্ন স্মৃতিভ্রমে উড়ে নিঃশ্বাসে জ্বলে দেখো
ছাইহীন মোম

আমি তো মুদ্রাদোষে একা
পেয়েছি শূন্যতা
তুমি গুছিয়ে রাখো তোমার মতো করে রোদজল
মুঠো ভরে রাখোনি আমার জন্য স্বপ্নশূন্যতা

অঙ্কন
 

আঁকো দেখি সোনালি রোদ
গুণগতমান যাচাই করো তো শুনি
সূর্যের হাসি চিহ্নিত ছায়ার
প্রসারিত করো উদাসীন চোখে

বিষণ্ণ বাতাস
দু
হাতে ছিঁড়ে ফেলো মৃত্তিকা কিংবা
নিঃসঙ্গ ভাসমান রাত

 

 

অজানা কথা
 

দাহতার প্রাজ্ঞতা শিখেছি আগুনের আঁচে
রোদের প্রখরতা সহেছি ধীরে

একজন জ্যোতিষের কাছে জেনেছি হাতের
মারপ্যাঁচ
রাশিচক্রের অজানা কথা
একজন নৌকো মাঝির কাছে শুনেছি
জলের হাওয়াতে পালতোলা আর
বণিক শিখিয়েছিলো স্বর্ণের চতুরতা

শুধু আজানা রয়ে গেলো তোমার
হৃদয়ের গোপন কথা

 

সময়
 

সময় উড়ে যায়, নদী কথা বলে
এ দৃশ্য মিশ্রিত হলে, হয়ত পাস্তরিত হবে
ভেসে যাওয়া স্রোত কিংবা ডুবাজলের ধারে
আমি চরে ভাসি দূরত্ব মেখে
তুই দাঁড়ালে নদীও হাসে
ভাবনা ফুরালে

লাল-নীল-বেগুনী হাসি পদে-পদে তিরস্কার করে
আমিও তার দানা খুঁটে খাই, চিবুতে থাকি ধীরে
দৃষ্টি ফেরালে কেউ চোখ মোছে, কাজল মেখে
কেউ জড়িয়ে ধরে নদী
স্রোতের বিপরীত স্রোতে

বেদনা
 

দ্রোহতার গানে ফের শুনি জল মালতি
আমাকে নিয়ে নিঃসত্ত্বার কীর্তন করে আপন মনে
অতঃপর জলছায়া তাকিয়ে আছে আলিঙ্গনের ধ্যানে
কিন্তু ছায়া থেকে গভীরতা পরিমাপ না জেনে দিয়েছি সাঁতার
জলপোকা
শ্যাওলা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে আর

সন্দেহ
 

সন্দেহ প্রকট হলে ছায়া মৃদু হাসে
খসে পড়ে স্পৃহা ভেষজ মায়াবী আঁচে
ইশারায় বলে যাও কথা পরিধি জেনে
তাই গোপনে যন্ত্রণাগুলো বারবার দোলে

যদি ঈর্ষায় স্পর্শ করো সন্দেহের হাত
অর্ধেক হৃদে তবে ধাবমান কাঁটা
সেই ভয়ে যাহা রচিবে তুলে নেব সব
সময়ের মলাটে

বৃথা গাঁদাফুল
 

দূরে কেনো ফেলে রাখো তোমার
চোখের জ্যোতি
তবে কি আমার নিদ্রাপর্বে রাধাকৃষ্ণ ঢেউ
ঋতুতে ঋতুতে বুঝি শুষ্কপাতা বৃথাগাঁদাফুল
সুতোজলে বাঁধা মৌরি
মৌ
সামনে দাঁড়ালে বুঝি লক্ষ আকুতি
ডানাঝাড়াস্মৃতি
তাই
হেঁটে যেয়ো একশ কদম গন্তব্যহীন, দেখবো পরিমাপ
তুলে রাখবো পাতাঝরা ক্ষণে তোমার পদচিহ্ন-ছাপ

টান
 

দাগ টেনে দিলে যে সুবর্ণকালে
আমি তার বৈকুন্ঠে ছক রেখে যাই
সামান্য মন্ত্রণা হৃদকোষে রাখি, বিয়ানোর
প্রাক্কালে শ্রাবণের উচ্ছ্বাসের বাণী ছিল লিখা
চোখ তার বরিষ নামে

তবুও মালা সাজাই সোহাগীর পুরঃগৃহে

অঞ্জলীতে যাহা পাই ব্যথানুভবে
তাতেও থাকে বৈচিত্রের সুখ, কেননা
বসন্তের ভ্রমণ শেষে হেঁটে গেছে যারা
ছুঁয়েছে ফুলের লাবণ্য, সুবাস
তাদের করুণার পাশে নতজানু আমি
কোন পথে থাকে কৃপা, সে অজানা পথেই
শুধু হাতছানি দেয়

 

সন্তাপ
 

কী রকম স্তব্ধতা ছুঁয়েছে কুয়াশার রাত
যত বিষণ্ণতা ঝিলিক দ্যায়
জেগে থাকা দুর্বাঘাসে
আমাকে আত্ননিবেদিত করে চেনাফুল

হাসনাহেনার ঘ্রাণ, কতটুকু চতুরতা পেলে
দেহমিনারের সাথে কথা কয় কুয়াশার রাতে
অসংখ্য সন্তাপ

বিবিধ ২
 

তুমি কি জেনেছো কিভাবে সময়ের ব্যবধানে
স্মৃতি ঝরে পড়ে হিম বাতাসের তলে
আর রক্তকণাগুলো আটকে গেছে অদূরে ওই
ছেঁড়া-শার্ট আর ঝিনুকের খোলে
নিঃসঙ্গ সময়গুলো এখন বড় দীর্ঘ মনে হয়
ভাবলে আচানক লাগে
তবু ভাবি

তুমি ভুলে গেলে মেপে নেব নিঃসঙ্গ না-হওয়া
আসলে কি ভালো;
যতবার যাত্রাপথে কুড়িয়েছি ছায়া

কুড়ানো পাথর
 

একারে মিশে আছো; জবাকুসুমের আশায়
তাই কলঙ্ক শুয়ে আছে মধ্যিখানে
পড়োশি পাড়ায়

তোমার অপেক্ষা কেবল জিলিপি প্যাঁচেই জানে
একদিন কি যেন বলেছিলে অনিচ্ছায়; কানে-কানে

অবশেষে কুড়িয়েছি নুড়িপাথর বি
ছানায়; খাটে

গ্লানি


গাছেরও নিদ্রা থাকে, পাতার থাকে ওড়ার সাধ
রোদের থাকে হাসির ঝলক, ছায়ার থাকে মায়া
তাই রোদের গায়ে মিশে আছে ছায়া হয়ত নিরাশ্রয়ে
শেকড়-বাকড়ের সংশয় ছিল আগে,
এখনও জাগে

ড়ের গতি বেড়ে গেলে

কিন্তু মেঘের গর্জনে কখনো আকাশ ফাটেনি
গাছের নিদ্রা আরো কিছু বাড়ে
মেঘের কষ্ট আছে বৈকি,
আমার চোখে গ্লানি