ঠিক দুপুরও তৃষ্ণা নেয় লুটে
ঠিক দুপুর বেলা ‘হা-হা হিহি’ করে নিরবতা পরে নিল ছায়াগাছপালা,আমি নিরবতার ভেতর
খালি পায়ে হাঁটি; মাটির ঘ্রাণ মেখে ভরে যাচ্ছে প্রাণ, মাটির রস টেনে নিচ্ছে
পায়েরপাতা; কত দিন হল মাটিতে ফেলি না-পা! ততদিনে বেড়ে
গেছে মাথার প্রেসার,ডাক্তার বলেছে এ-বয়স ঘুমানোর বয়স; এ-বয়সে প্রেসার বাড়ল কেনো?!
‘রাতে কি ভালো ঘুম হয় না’? সে কথা ভাবি— আর একা একা হাসি হাঁটার পাশাপাশি
আমি হেঁটে গেলেই নিরবতা আমার পেছনে পেছনে ছুটে
আমি হেঁটে গেলেই ছায়ার ঠিক দুপুরটাও তৃষ্ণা খায় লুটে
|
অংশ
দীর্ঘকাল ধরে অগ্রাহ্য ধারণাকে শোকে দুঃখে
এমন কুশলী শিখিয়েছি বুঝলে...
নিদ্রাতাড়িত ভোরের প্রবাহ
নবান্নে এসে আত্ম-পরিচয় যদি ধানগন্ধে উড়বার
স্বপ্ন দেখে চোখের গভীরে, আমার ফিরে আসা
জলের সন্ধানে বলছি না, শুকনো ঠোঁট কাঁপছে
গোপন পিপাসার জলে
তুমি কিছু ঘূর্ণণ প্যাঁচ খুইল্যা দাও ম্যাজিক
২.
সবই জানতেন তবুও
‘পায়ের চাপে তাদের করেছ ধূলি’
তোমাকে কীভাবে আর বলি ভিনদেশে নিজ হাতেই
রান্না-বান্না করি, গ্যাসচুলার ফাঁকে অসীম তৃষ্ণা একাকী
জ্বলে ওঠে শেষরাতে ...আর খাওয়া-খাদ্যের অরুচি
আজ না-হয় থাক! সে সব কথা হারানো পাঠনামা
যেমন না -জেনেও সুপ্তির ভেতর রাত্রিফুলগুলো দীর্ঘপথ
ঘুরে দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে মুখশ্রীর শোকে; যা কিনা দেহের
রজস্বলা কালে খুলে নিতে পারো ছলে, কৌতূহলে
৩.
এখনো বলি- ভেঙ্গে পড়ুক, ঝরে
পড়ুক কাচ; ওহো স্বতঃসিদ্ধি
তুমি না-এগুলেই ছদ্মবেশে তাড়া আছে আহত রোদে
অর্ধেক অংশমাত্র টাটকা বুকে তেতে ওঠা, জেগে ওঠা ধ্বনিতে
আঘাতে আঘাতে ভীতরোদ শুকাবে না আ-ঢাকা দেহে
এরকম ধারণাকে দীর্ঘকাল বানিয়েছি অপূর্ণস্বপ্ন; আমলকি পাতা
ঋণের দায়ে আমি ঋণী হলে তৃষ্ণা নিবারণে
তুমি হৃদয় শূন্যতা
............................................................................................. |
ভাঙা-গড়ার
ভেতর
সম্পর্ক স্থাপন
আমাকে তাড়িত করে নির্বাকজীবন আর শ্মশানের হাওয়ায়। বলি—
অপেক্ষা তুমি জোরে সুরে হাসো চেয়ে দেখো অপেক্ষায় কিভাবে মৃত্যু হচ্ছে আমি
সহ পড়শির অপয়া ছায়া। কেনো যে ভয় পাও, কেনো যে সরে দাড়াও…
না পাওয়ার দূরত্ব যতটুকুই হউক; শ্মশানের
হাওয়ায়। বলি হয়; মন খুলে তেভাগা করো; দেখবে শেষরাত্রির
ঘুমের ভেতর তার স্থায়ীত্ব বেড়ে যায় হাজার গুণ
ময়দান আর শ্মশানের হাওয়া তো একই;
ব্যবধান কবরের হাওয়ায়
কবর সে-তো
নিশ্চিত অন্ধকার;
দু’ফোঁটা
জল ছিটিয়ে দিয়ো পরিচয় |
চেষ্টার চেয়ে আত্নহত্যাই ভালো
অনেক চেষ্টা করেও কিছু লেখতে পারছি না,
খাতা-কলম
আর মনের কাছে আজ বড় অসহায়!
ভাবছি কি করবো এখন,
কি করা দরকার।সে ঘুমোচ্ছে চোখের পাতায়…।
আমাকে সমবেদনা জানাতে একে একে এলো মাইনাস ০১
ডিগ্রি শীত,
দ্বি-প্রহর
কথা,
এককাপ চা -সিগ্রেট।
শতচেষ্টা করে
লিখতে পারি কিছুই;
আর এই তীব্রশীতও সহ্য হচ্ছে না। আজ বরং লেপের তলে শ্বাস টেনে
টেনে ঘুমোনোই ভালো…
চেষ্টার চেয়ে আত্নহত্যাই ভালো,
কিন্তু আত্নহত্যা মন যে চায় না!
মনের ভাবনাগুলো দীর্ঘকাল বেঁচে থাকতে চায়,
কেনো জানি না |
ঘামফুলের গতিবেগ
তোমাকে দেখা আর সম্যক
উপলব্ধি করা;
দুটি আজো অধরা, লুকিয়ে রাখছো কি
ভয়, পুরো লোক-লজ্জা। সে প্রশ্ন রেখে গেল কারা?
এ সব কথা কিভাবে বলি- আমি যে মজিয়াছি তাঁর একপলক ইজাজতের
আশায়। কাজ শেষে পলকহীন শ্বাস টেনে বাড়ি ফেরা মানেই ক্লান্তভার ঠেলে ঘামফুলের
গতিবেগ আগলে রাখা।
একাকী বসতি তাই মনের উপর জাবর কাটছে শ্রীনগর,
খননপিপাসা; ইচ্ছেকথা তুমিও বুঝে
নাও ক্লান্তিহীন আমি এককাপ চা
অসম-মন-ঘড়ি; আমাকে সম্যক
উপলব্ধি করো না আর
ক্লান্তদেহ আর মানছে না;
মুক্তি দাও... মুক্তি দাও এবার |
আশা
–
আকর্ষণ
–যৌবন
-কাঙ্খা
আশা ছিল,
কঠিন পাথরের মতো এলোমেলো। ভাবতাম হয়ত-বা
আমিও মনের জোরে হবো নির্ঝরস্নান;
স্বপ্নাপ্লুত হাওয়ার ভেতর
'অন্য
কারো মন'
জড়িয়ে
পেঁচিয়ে রাখছি রক্তমাংসের প্রত্যেকটি ক্রুব্ধশাসন। ছুঁব
ছুঁব করে আর ছোঁয়া হল না বোধি-
স্বপ্নকথা...।
আবেশি,
কি করে যে বলি -
কেনো মুখ
ফিরিয়ে নাও বিষের বাঁশী;
সেকথা ভাবলেই আমার গণ্ডেপিণ্ডে লেগে তাকে পাতা বাতাসের গান
অন্ধআবেগ বিছিয়ে রাখছি। পর্দা সরাও, দেখে নাও পুরনো স্বজন
বদলাচ্ছে তোমার সকল আশা -কাঙ্ক্ষা-আকর্ষণ... আহারে যৌবন! |
টুকরোকথা
আমার ভেতর নিরহঙ্কার যাবার আগে-ই
দিচ্ছো উড়াল
একবিন্দু শরম খুলে;
শেষ বিন্দুতে জমাও রক্তজবাফুল
ফের যাত্রায় প্রবল কুড়াও;
ডানপিঠে পরাগ-পিপাসা-জল
…
আমাকে লুকিয়ে রাখার ইচ্ছে করে শেষ অংশ...
ধ্বংসাবশেষ
নিদ্রাহীন এ-রাত্রে
শীতে কাঁপছি আমিসহ অসহ্য কোলবালিশ
পলে-পলে
খুলে যাওয়াই ভালো দেহ বিশ্বাস;
কয়েক'শ
স্পর্শ
…
চোখে চোখে পৃথিবী সুন্দর!...
মন সুন্দর দ্বিতীয় দর্পণে
ও-শীতরাত্রি
অবাধ্য করো না প্লীজ!
পাঠ করো মনে-মনে
হাতরেখা জানে যত নিষ্ঠুরতা অক্ষত রাখছি গুনে-গুনে
৩০শে জুলাই
আজ তোর জন্মদিন! আমার তারও ঢের পরে
তাই একটি নক্ষত্র ঝরে গেলো; উড়ে গেলো দিঘীর পাড়ে
কি দেবো আজ তোকে— গোলাপ-কাজল নাকি কংকন
তুই বোবার মতো তাকালে মুখ ঢেকে মুছে নিলে
শুকনো চোখের জল
তোকে কাল চিঠি দেবো তাই বৃষ্টিভেজা আজ কাগজ কলম
জন্মদিনে যত্ন করে রাখিস; স্মৃতিসহ ওই বোবা পুতুল
আমি তো দূরে চলে যাবো-দেখবো না কভু আর তোর মিষ্টি মুখে
হাসির ফুল জানিস্ সে কথা ভাবলে ভোররাতে আমাকে
জাগিয়ে তোলে তোর মোলায়েম গালের তিল
|
কথা, হৃদয়সংহিতা
হৃদয়সংহিতা, তুমি বলতেই পারো করাতকথা! সে কিনা ধারে-ভারে দুদিকেই কাটে। করাতের
ধার ছুঁতে আমিও হই কাঙালপনা। ওই করাতস্পর্শ তুমি ঠোঁটে পরো। অনুভব করো। জানতে
চাও। কতটুকু গভীরে পৌঁছালে পাবে স্পর্শের অধিকার। পাবে নিশানা সহজ হবার। কোন
নিয়ম ছাড়াই ডিঙাতে পারো যতটুকু ভালো পাবার ... শুধু এটুকুই জানি অধিকার ঠেলে
ঠেলে হয়েছি নিরাকার
করাতকথা ! সে পাঠ ভালো জানে জল, বরফ আর কাঠ
তুমি কাঁদলেই দেখি আমার চোখে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি-টাট
|
তোমার সরলতা গ্রহণে
সাহস দাও তাই পাশাপাশি বসি, সুযোগ পেলে দু'একটি কথা বলি। মনে জাগে অভিলাষ,
জানার শেষ অপেক্ষার বিষগুলো ঠোঁট ঘুলিয়ে দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে ফেটে পড়ছে দেখে
তুমিও পান করাও হাওয়াভরা; দুখের-ইশারা। এটুকুই জানি
তবুও মনে হচ্ছে নিরুপায়। চেহারা কালো বলে আমাকে সমীহ করা
কি ঠিক? সাহসের উপর ভর রেখে ইদানীং একটু অগোচরে কাটছে সময়
সাহস ক্ষণে-ক্ষণে খুঁজে নতুনত্ব; আর কাকে খুঁজে কে জানে
বিষদাঁতগুলো আজ ঠোঁটে ফুটেছে তোমার সরলতা গ্রহণে
|
চোখ
খুললেই
দেখি
আমার
চোখে
আয়ুনির্মাণ
ঈর্ষা,
সে-ও
এক
নির্মাণ
পদ্ধতি;
বদলে
যায়
চাতুর্যে
হৃদয়রেখায়।
বয়সভেদে
দেহের
সন্তরণ;
ডুবপুকুরে
স্নান
সেরে
আসা;
উছলে
ওঠা
ঠিক
দেড়হাত
দূরে
কালো-কালো
জল;
আমি
কি
বদলে
গেছি-রে
শূন্যতা?
কতটুকু
অপমানে
ভাবতে
পারি
দোষী।
কতটুকু
অপমানে
নিজের
ভেতর
নিজেকে
পুষি।
আমাকে
ছুঁয়ো
না
অরগাজম।
ঈর্ষা,
তোর
কাছে
শব্দময়
হাসি;
আমার
কাছে
ভোগবিলাস
হারানো
মহিমা।
ঘোর
অন্ধকারে
রাত্তিও
চুপচাপ
দোলে;
অন্ধকারে
চোখ
খুললেই
দেখি
আমার
চোখে
আয়ুনির্মাণ
ঈর্ষা,
সে-ও
এক
নির্মাণ
পদ্ধতি;
তোর
কাছে
শব্দময়
হাসি
কথা
ঝরো;
পাতা
ঝরো;
ঝরো
মিথ্যে
অভিযোগ
পাশাপাশি
|
অভিযোগ
পত্র
একত্রে হেঁটে
‘যত
পারো চুমো খেয়ো’
এই শীতের দেশে ভিন্নরূপ আদ্রঠোঁটে
পুর্নবার অর্ধেক দ্বিমত তোমার লোকচক্ষু সম্মানে
বিগত দিনের মতো অশ্রুপতন চকিতভ্রমে
অবশ্য নাও হতে পারে সঘন সঙ্গমে
স্পর্শে কোন অভিযোগ নেই,
সেও বলছে
কাঙ্খা যত তাও বুঝো;
খুঁজো পুরো দশ আঙুলে
নিজ দেহে চেপে ধরি শোক আশ্রয় দেওয়ালে
সন্দেহ সাড়া পেতে পেতে শেষরাত্রি নিকটে রাখছি
শুন্যডিগ্রি উত্তাপে ঘুম-বড়ি
খেয়ে
চকিতভ্রমে একাগ্রতা আমাদের সঙ্গমতৃপ্তি
জোড়া চোখে ইচ্ছে মরে গেলে চাই না সম্মতি
|
ঘুমাও
রাত্রি,
ঘুমাও
একমাত্র পাখিরাই ভালো বুঝে রাতের লাগাম টেনে কখন ফোটবে ভোর।
কেনো যে রাতেই ঠাণ্ডা লেগে যায় ঘুমে,
সকালে গরম এককাপ-লাল-চা
খেতে
খেতে
মনে
পড়ে
কেনো
অজ্ঞতা ঘুমপাখি হতে চায় কফ্ জমানো বুকে।
আমার ঘুমের গতিবিধি ভালোই বুঝে গেছে শীতরাত্রি,
তাতে কিছুই বলবো শোনো তোমার অ-দেখা
সময়;
আমার অন্ধঘড়িখানি
ঘুমাও রাত্রি,
আমাকে জড়িয়ে রাখছে মনদোলা ঘুমের গতিবিধি
অন্ধঘড়ি আমি বেঁচে যাই একরার ঘুমের লাগাম টেনে ধরো যদি
|
পথলিপি
ওই পথের রঙ ছুঁব কি ছুঁব না ভাবতে ভাবতে উড়ে গেল পদতল-মাটি আর
জলভেজা বালির কথা তবুও বাঁধা পড়তে হলো শুকনো জল আর পিঁপড়ের
নিকট এসে অথচ জল
পতনের আগে আমাদের ডুবে যাবার কথা ছিলো
ঝোপজঙ্গলের পাশে, আর ওই পথ ছুঁব না বলেই তখনও আমরা খুঁজেছি
বহুবর্ণ পথের ডাঁটা;
তোমার কথা শুনে লতা পাতার মতো বোবা হতে থাকি
স্বর্ণলতা গাছের মর্মরে...শুনেছি এখনও অতিযত্ন করে গুনে রাখো নীরবতা
যেন পত্রলিপিতে কেঁপে ওঠে স্মৃতিপথটুকু...
০২
এখন তুমি পাথরের ফাঁকে হারিয়ে যেতে চাও, পথের সরুপথ ধরে হেঁটে
চলো অর্ধনিমীলিত চোখের পাশে কথার মর্মটুকু জানার আগেই প্রস্তরলিপি
টুকরো টুকরো করে দেখো কবিতার শরীর,আড়ালবর্তী মুখের আভা; আমি
সে পথের ছিপি খুলে স্মৃতি পথ খুঁজি... খুঁজি ধূলিবালির শরীর; আর তুমি
অতি যত্ন করে ছুঁড়ে দিলে একটুকরো ঘৃণার সংলাপ... তাই গৃহফেরার
পথে হাঁটি, সাথে নিয়ে আসি সাধ করে কিছু নুড়ি পাথরের কণা
০৩
একদিন পথেরও ঘুম এলো চোখে আর আমি খুলতে চেয়েছি তোমার
পথের শরীর--- লাফ দিয়ে ওঠে দাঁড়ালো চেনা সেই মুখ, জ্বলন্ত তৃষ্ণার
মায়া,হয়তো সেসব মনে পড়ে না এখন;বিশ্বাস নিয়েই বেঁচে আছি আমরা
বৃষ্টি আর বরষার সুরে সে আমার কল্পনায় ধূণে ওঠা নিজস্ব গোপনতা
০৪
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত যারা পথিকের বেশে, আমাদের জানা হলো কথা---
কীভাবে ফুলেফেঁপে ওঠে পথের গতিধারা রূপ আমাকে জাগিয়ে তুলে
কলাগাছের বাকল আর শীতল জলের মায়া... সে পথেই ফুটে ওঠে
প্রত্নজটিলতা আর রমণীর পদধূলির ছাপ... আরো কিছু নুড়ি পাথরের কণা
০৫
তবুও বলি আমাকে বেঁধে নিও পথে. ওই পথহারা প্রাণে সে পথের ক্ষরণ
থেকে বিভাজিত আমাদের হারানো পথের স্মৃতি আর জলভেজা ঠোঁটের
কথা। সে পথ থেকে সাধ করে আমি তুলে এনেছি আরো তিনটি শাদা
পাথর, শেষ বিকেলের ছায়া-রোদ... শুনেছি তুমি সে পথের মাঝে পেতে
রেখেছো সাতরঙা শাড়ির আঁচল
|
নিদ্রামণি
হাওয়াফুল আর আমি হাঁটছি কাছাকাছি। আরেকটু এগুলেই অন্ধকার! এই অন্ধকার আমার একার
হলেই ভালো হতো... আমার ধারণা অবসরে আকাশবাণীই হয় আমার প্রিয় সহচর; দুচোখের ভেতর
কেনো তবে এতো বিশ্বাস এতো টানাটানি; নিবিড়স্পর্শ কেড়ে কে আজ খেয়ে ফেললো তিন
ফোঁটা অনুতাপ; চার ফোঁটা ক্ষয়িত জল বিষ। আহা অন্ধকার! তোমার তিলফুল
সর্বাঙ্গসুন্দর।
হাওয়াফুল তুমি কি দেখেছো, অন্ধকার কতটা হল ঋণী
অবজ্ঞা করো না প্রিয়সহচর, 'কী সোয়াদ তার!' নিদ্রামণি
|
জোড়া চোখের নিঃশ্বাস
আমার রাত্রিকথা বেঁচে থাকার কাঙ্ক্ষা চিরে উঠে দাঁড়ালো চিরায়ত রক্তকণিকার ভেতর;
কাঙ্ক্ষা ঠেলে যেতে যেতে শেষযাত্রার ফাটল খুলে সঞ্চয় করছি মৃতমুখের দেহাবশেষ…
তুমি দীর্ঘায়িত হও রাশিভেদ। শূন্য ঝুলে থাকা আরো; আরো একটি আশা। আমি কি শিখেছি
ধরার কৌশল; জানার অধিকার। একবার বলে যাও ও-জোড়া চোখের নিঃশ্বাস? আশাকে কি
প্রশ্রয় দেয়া ঠিক; তোয়াজ করা যায় কি-না নিরাশাদের দেহাবশেষ
রাত্রিকথা সঙ্গীতের চেয়েও মধুময়; অ-পরিচিত রেখায়
ও-জোড়া চোখের নিঃশ্বাস? প্রসারিত হও রাত্রিকাঙ্ক্ষায়
|
ব্যবধান বাড়ে মায়ায়
যেতে চাই;তবুও যেতে পারি না; যাওয়া মানা আছে তাই! একদিন যাব হয়ত মির্তিক্ষা
বাঁশের পালকি চড়ে… সবাই আমায় নিয়ে যাবে, চলে গেলে আমাকে গিলে ফেলবে চিরস্থায়ী
ঘুমে, সেদিন তোমাকে চাই; তোমার পাশে থাকবার চাই। যদি রাখো পাশে, বলিব কথা,আস্থা
যদি পাই কানে কানে শোনাবো কবিতা। কিছুই বললে না আহা আমারই গত
যৌবনা
যেতে হবে তো হবেই,
শুধু ব্যবধান বাড়ে মায়ায়…
মায়ায়
চিরস্থায়ী ঘুমের পাশে তোমাকে চাই;
পাশে থেকো ব্যস্ত
সময় |