মনবাড়ি |
|
অন্ধঘড়ি |
|
মনচুরি-ভয়চুরি |
|
বৃষ্টিবন্ধু |
|
যৌথশোক |
|
মনচরাচর |
|
বৃষ্টিভণিতা
বাসস্টপে বসে থাকার মানে মুঠোফোনে সময় গুনা
নয়, সুযোগ পেলে তাকে মনে রেখে পাঠ করে যাই দু-চারটি
কবিতা; মনে আসে ফেরার তাড়া;
বসে থাকার মানেই তো কঠিন অপেক্ষা... সে আমার অতীত বেলার কথা;
কি যেন মিস্ করে এলাম কি যেন চাওয়ার ছিল ভীষণ বেহায়া। সেসব
বলতে মানা তারপর ভিন্নকথা রাত পেরুলেই আবার রুটিন মেনে কাজে রওয়ানা.. নাহ্ এই
সব আমাকে দিয়ে হবে না |
|
বিশ্বাস চিরকাল বাঁচে না সেদিন আমার সব চিন্তায় মিশে গিয়েছিল সাবলীল ঘুমে, আর সেই ঘুমের ভেতর শোনা হল কথা! যে ভুল করেছো যৌবনের প্রথম প্রহর গুনে; সে ভুল আর কখনো করো না। তাকে বলেছি ভুল তো হয়ে যায় বিশ্বাসের...। যখন ঘুম ভেঙে গেল বিছানায় শোয়ে-শোয়ে ভাবলাম এ-ও ঠিক যে বেঁচে থাকতে হলে কাউকে না-কাউকে বিশ্বাস করতেই হয়। কেনো এ বিশ্বাস জন্মেছিল বুকে, সে প্রশ্নর উত্তর খুঁজছি আজও
|
|
চারদেয়ালের কথা মানুষ যা ভাবে, সে কি ভাবনার পুরোটা বলে... সে কথাটি ভেবে ভেবে আজই প্রথম চোখ গুলিয়ে চারদেয়ালকে একসাথে দেখলাম। আর তাদের বললাম আমাকে ডাক দিলেই পেয়ে যেতে পারো তোমাদের গোপন আড্ডায়। হউক না সে আড্ডা আয়োজনহীন। যতই হউক না অপেক্ষার পালা নিরুত্তাপ ফুলের ঘ্রাণ। আমরা বসে থাকলেই দেখবো আমাদের কথার ভেতর উড়ে যাবে একরাশ শাদাকালো মেঘ। পরিপাটি যত জমানো আবেগ...
|
|
একটুকরো মোম
আমার ভয় যথেষ্ট ক্ষমতাবান হয়! আমাকে গ্রহণ করতে চায়;
পুরো অধিগ্রহণ যাকে বুঝায়। ভয় তবে চলো আজ না হয় একসাথে গভীরে যাই জ্বলন্ত
মোমের ফোটায়…
আমাদের পরিণাম কি এভাবেই নামতে শিখেছে আঁধার ছায়ায়
|
|
বারোমাস
নদী পাড়ে হাঁটি কথকতা মনে আসে, অনেক কথা ভুলে গেলেও চলে: যেভাবে বুকচাপায় মনের শুশ্রুষা চলে, চলে স্বতন্ত্র সমর্পণ। তুমি লিখে ফেলতে পারো আমার সহ-নিঃশ্বাস; পতনপ্রয়াস। ও-ভ্রমণবাতাস শোনে যাও? বন্ধুত্বে আমার কোন দংশন নেই। নেই স্মৃতিস্তব্ধতা, কিম্বা পরস্পরাহীন মায়াদর্পণ। শুধু বারোমাস নদীপাড়ে হাঁটি; কান্নানদীর সন্তরণ শেষে খুন হতে দেখি স্মৃতি আর ঈর্ষাচুরি!
|
|
প্রিয় আঙুলের দোলা
এই যে একটুকরো মাংসের সাথে মিশে আছে চর্বি;
চর্বির রং কোনো শাদা হল? কেনো
চর্বি আলাদা করলে মাংস তরতরে কাঁপে! কাটার ফাঁকে ফাঁকে যে রক্ত মিশে থাকে;
ওই রক্তের ভেতর হাজারবার খুঁজে ফিরি স্মৃতিকারখানা;
দু’হাত
ভরে আমি তাকে আদর করি। রক্তের সাথে বের করে ফেলি তিনটুকরো মাংসের দীর্ঘশ্বাসসহ
পুরো নাড়িভূড়ি। আমার কাটা আঙুলের রক্তের সাথে মিলিয়ে দেখি তারও একই রূপরঙে
রক্তারক্তি-টিটকিরি…!
বলি—
তুমি আমার নাগাল পাবে না; প্রিয়
আঙুলের দোলা
|
|
সহজে ঢুকে যাবার কোলাহল অতিসহজে আমি ঢুকে যেতে পারি যে কোনো কথার ভেতর; কিন্তু সহজে বেরোবার রাস্তা খুঁজে পাই না। আমাকে ক্ষণে ক্ষণে চিনে রাখে দূরের হাওয়া। কথারা অবিরাম উজানস্রোত বেয়ে যায়; আমাকে জড়িয়ে ধরে কারো হালকা-ভারি বেদনা। দুঃখও গুটিয়ে রাখা যায় আপন মহিমায়; যদি জাগ্রত হয় শক্তহাওয়া। এই হাওয়ার ভেতর আমি চোখ খুলতে পারি; স্মৃতি-স্বপ্ন খুলতে পারি না
|
|
কোণাকোণি সব আয়োজন
আনন্দকে পান করা ছাড়া কিছুই ভালো লাগে না।তোমার নিরবতা কাঁধে নিয়ে হাঁটছি অনেক দিন হল।কেনো হাঁটছি? কেনো এতো বোঝাপড়া! ভালোই হতো; যদি না-হতো প্রথমদেখা। এখনও ধ্যানে বসে ভাবি— যদি শেষ থেকে শুরু হয়, জড়িয়ে থাকে কোলাহল; হউক না দেরি…। হয়ে যাবে হাড়ের মিলন; কোণাকোণি সব আয়োজন। আমি তো স্মরণ রাখি যত অবহেলা; ভাঙা-ভাঙা নিঃসঙ্গতা। প্রথমদেখা কিছুই হারানোর নেই তোমার; কিছুই হারাওনি তুমি
|
|
আঙুলফল চাষ বুকের ভেতর আটকে যাচ্ছে দম! তুমি চিন্তা থেকে সরে দাঁড়াও প্লীজ…। আমি ট্রাই করে দেখি আঙুলফল চাষে খুলে যায় কি-না দেহের কুণ্ডলি। এমন পদক্ষেপ অনাধিকারে খাড়া হতে থাকে; বদমেজাজে। মন খারাপ করে থাকা, হয়ত একদিন এসেছিলে অতি গোপনে; বৃষ্টির পাশাপাশি। আর তুমি কি-না বারবার বলো; অপেক্ষা করো; একদিন ঠিকই তোমার উপলব্ধি জানিয়ে দেবে আমার অনুপস্থিতি
|
|
দিনের স্মৃতি খুন হয় আমাদের বিষন্নতা অপরাজয়। যার জন্য সারাদিনের স্মৃতি খুন হয়, একই জায়গায়! আমি যদি দুর্বল হতে থাকি পায়ের তলায়। বাঁধা নেই, সময় আমাকে আলাদা ভাবতে শিখিয়েছে; পরিনাম আপন মনের ভেতর মন খুলে ফেলা যায়। শুধু জানতে হয় একটি আদর-চিহ্ন কতদিন বাঁচে, জীবদ্দশায়। আর কতদিন সৌরভ ছড়ায়? আমাদের জীবনগ্লানি যেদিন ছুটি পাবে, সেদিন দেখবো প্রতিশ্রুতি কার নাম লয়...
|
|