সম্পাদকীয় ছন্দাবলী – ২৩
 

হিরোশিমা নাগাসাকি’র পরে এত বড় ধাক্কা জাপান খায়নি
জীবিতের হাতে মৃতদেহের অঙ্ক আর যাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি
তিনটে ট্রেনের কোনও খবর নেই
আছে কোন অচেনা ষ্টেশানে দাঁড়িয়েই

 

দিশেহারা গৃহহারা মানুষ আজ একটাই রঙ জানে
মৃত্যুর ধূসর রঙ ছড়ানো মুহ্যমান শোকার্ত মনে প্রাণে
জাপানীরা কি হোলি খেলে, তাদের কি রঙের সাথে আড়ি
একটাই খবর এখন চৌকো বাক্সে লাশ রাখা সারি সারি

 

আমাদের দেশে রোজ কত লাশ পড়ে নাম না জানা লাশ
সয়ে নিতে শিখেছি কবে থেকে, শিখিয়েছে আমাদের চারপাশ
সুনামী চাইনা চাইনা নেতাই চাইনা নন্দীগ্রাম আর নয় চমকাইতলা
অন্তরমুখী শানানো সংগীন চায়না আর এবার ঘরে ফেরার পালা

 

এবার বসন্ত উতসবে যাবনা রঙের মিছিল করবনা
এবার আমি শ্বেতাম্বরও হবনা ভাং খেয়েও নাচবনা
তবুও কি চলবে চারিদিকে মানুষ খুনের পাইকারী কারবার
সর্বংসহা ধরিত্রী আড়মোড়া ভেঙ্গেছে খুনেরা হুশিয়ার, থাম এবার

 

এবার দোল নয় দোলা দিক মনে প্রাণে
মানুষ যেন বাঁচে ভালবাসার আপন টানে
এই হোলিকা সবার মনে ভালবাসার রঙ ধরাক ধরিত্রী মাকে শান্তি দিক
আত্মাপুরের ডাক শুনে মন আয়রে এবার শান্ত হয়ে করি নীরবতার পিকনিক...
 

১৫ই মার্চ ২০১১