সম্পাদকীয় - ২৪
সেই সময়! গন্ডগোলের সময়! মুক্তিযুদ্ধের সময়! গোলমালের সময়! আরও কি কি নামে ডাকা হয় তাঁকে! তবুও তাঁর সঠিক নামটি আজও কেউ চিনে নিলনা! খুব আশ্চর্য লাগে ৩৯ বছরের এই চিরসংগ্রামী যুবকের নাম নিয়ে এত বিভ্রাট কেন? এই যুবক হল ‘স্বাধীনতা’!
বাংলাদেশের স্বাধীনতার নাম স্বাধীনতা কেন নয়! কেন নির্দ্বিধায় মানুষ তাঁকে তাঁর পরিচয় দেয়না আজও! জানিনা। তবে সময় এসেছে। বর্তমান প্রজন্মকে জেনে নিতে হবে সঠিক কি ঘটেছিল ১৯৭১ এর সেই দুর্যোগময় দিনগুলিতে যা চলেছিল দীর্ঘ সাড়ে নয় মাস ধরে! কেমন করে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিক জীবন কাটত! কেন গন্ডগোলের সময় বলে স্বাধীনতা প্রসংগ এড়িয়ে যায় সাধারণ মানুষ!
বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সেদিন সব কিছু ত্যাগ করে অত্যাচারের শাসনের বিলুপ্তি চেয়েছিল! কেমন ছিল সেই আন্দোলনের চেহারাটা, স্কুল পড়ুয়া ছাত্র, ছাত্র তৈরীর কারিগর মাষ্টারমশাই, রোগ নিরাময়ী ডাক্তার ও আরও কত সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া সেদিন ‘মুক্তিযোদ্ধা’ নামটিকে আপন করে নিয়ে, প্রাণ সংশয় সত্ত্বেও দেশমাতৃকার বুক থেকে রাজাকার আর পশ্চিম পাকিস্তানী অত্যাচারী সেনার আগ্রাসী থাবাকে নির্মূল করে দিতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলে!
আজকের মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন বা বাহরিনের সঙ্গে সেদিনের বাংলাদেশের পরিস্থিতির কি কোনও মিল খুঁজে পাওয়া যায়! পন্ডিতেরা অনেক কথা বলবেন! সাধারণ মানুষ কি বলেন সেটাই জানার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নব আলোকে বাংলার এই সংক্ষিপ্ত সম্পাদকীয় লিখতে বসে এই সব প্রশ্ন নাড়া দিয়ে যাচ্ছে। আমার বাংলাদেশী ভাই-বোনেদের কাছে একটি অনুরোধ রেখে এই অসমাপ্ত লেখা এখানেই থামাব – স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসটিকে জানুন। আগামী প্রজন্মের কাছে তাঁর সঠিক ছবিটি তুলে ধরুন। লিখুন নব আলোকে বাংলার পাতায় – যদি মন চায়... নব আলোকে বাংলা সবারে এই মর্মে আহবান জানায়...
মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিকদের উদ্দেশে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম ও সংগ্রামী সালাম জানিয়ে বলি সবাই ভাল থাকুন...
২৫ শে মার্চ ২০১১