সম্পাদকীয় ছন্দাবলী-৬
২০০৮ হল লিপ ইয়ার
তিনশত ছেষট্টি দিনের সমাহার
সময়ের জাবেদা খাতায় সবার কাছে একদিন বেশী
ভাবনা চিন্তা কিন্তু সেই গতানুগতিক আমাদের দেশী
এই একদিনে কত কি সংগঠিত
হতে পারে তা আমাদের চিন্তার অতীত
একটি বেশী দিন গেলে আরেকটা পৃথিবী গড়ে
মানুষকে আরেকটু ভাল রাখা যেতে পারে
খুব গোলমেলে কি এই তত্ত্ব পাঠকের কাছে
না বোধহয়-মানুষেরই সেই ক্ষমতা আছে
সারাদিন সবাই কাজ করেন আটঘন্টার মত
জানেন কি বিপুলা এই পৃথিবীর জনসংখ্য কত
সাতশত কোটীর কিছু বেশী বই কম নয়
ছাপান্নশত কোটী ঘন্টা সময় হেলার নয়
একটু ভেবে দেখুন নব আলোকে বাংলার পাতায়
কি করে একটি বেশী দিন কাজে লাগে, যায় না হেলায়
অসীম এই সময়ে সমুদ্রে আপনি কি আলস্যের সাঁতার কাটবেন
না কি মানুষের জন্য একটু ভেবে, একটু অন্য কিছু করে দেখবেন
সোনারবাংলা থেকে ক্লিষ্ট সোমালিয়া কিম্বা এঙ্গোলা
যেখানেই মানুষ ভাল নেই সৃষ্টি করুন প্রাণের হিন্দোলা
মানুষকে ভালবেসে মানুষের সম্মান দিয়ে কাছে টেনে
বলুন ভাল থেকো-আমি আছি তোমার সাথে গুন টেনে
নবআলোকে বাংলার পাতায় প্রকাশ করুন মানুষের কথা
মানুষ না বুঝলে কে বুঝবে সেই ব্যথা কিম্বা মান ও হুশের কথা!
শেষে বলি বুকের মাঝে বহুদিন ধরে জমে থাকা একটি কথা
সে কথা আমার ভাষাদিবসের ইতিহাসের পাতায় জমে থাকা ব্যথা
বাঙ্গালী কি নিজেকে অবলুপ্ত বলে স্বীকার করে নিয়েছে
বাঙালী কি রাগতে, কষ্ট পেতে বা জ্বলে উঠতে ভুলে গেছে
মনে পড়ে কি আমাদের ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
সেই কথা- সেই ব্যথা আমরা বাঙালী হয়ে কি করে ভুলতে পারি!
পয়লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮