১০.
কামনা পাতা


না-ছুঁলে পাথর হয়ে ওঠো হাতের রেখা, রূপ খোলে গোপন করো অচিন তালু; লক্ষ্য করো, দেখো, কার চোখে  গাঢ় হয়ে দাঁড়ায় রাত পোহাবার আলো… কার বুক ছিঁড়ে এসো আর দেহ বেয়ে যাও! অচিন মায়া। যে পোড়ায়নি পাতালে, নীরব রেখায় তার বশে কাঁপছি, কাঁপছে কিশোরবেলা, হৃদয় ভোলাবার আগে চোখ খোলো, বুক খোলো, খোলো দেড়হাত মোড়ানো নিষেধ টানা…

সুদূরে আছো, তনুমনে আছো, জল খুলে ধরো কামনাপাতা। শেষ রাত্রি গ্রহণ করো, এসো দেখি কতটা জ্বালায়, কতটা উড়ায়, উড়াল হাওয়া

আমাকে ভাবায়নি কেউ, উড়াল হাওয়ায় তোমার আসা-যাওয়!


১১.
কেন এতো বেঁচে থাকা


বেদনার সাথে অকারণেই সম্পর্ক ভালো। স্বপ্ন, তুমি বেদনার হাত ধরে বেঁচে থাকো আর সীমিত আকারে অভিমানী হও ঠোঁটে… বেদনা চেকআপ করতে পয়সা লাগে না। তবুও ডাক্তারের কাছে যাওয়া-আসা ক্লান্তিকর অস্বস্তি লাগে

শোনা গেল, বেদনার বয়স বাড়ছে! চেপে রাখি। কাউকে কিছুই হয় না বলা। শুধু জিজ্ঞাসা এই যা...মরার পর কী কবিতা লেখা যায়? কে শুনে কার কথা; শেষবধি বেড়ে চলে ঋণের বোঝা;  আমাদের গড় আয়ু আর গড় উচ্চতা এই নিয়ে বেঁচে থাকা এই নিয়ে বেঁচে থাকা

ওহ!...


১২.
মর্মদাহ


নীরবে দাঁড়ালাম, চোখ ঘুরিয়ে চারপাশ দেখে সতর্কতায় তার চোখের ঐশ্বর্য খুলে ফেললাম; চোখের অবস্থান ঠিক কোথায় শেষ হবে কে জানে! চারচোখে অপরাধ বোধ জমতে জমতে শ্বাসকষ্ট বাড়ে, চোখের জলও ম্রিয়মান, আমি কাঁদি না মর্মদাহে...
 

১৩.
উড়াল হাওয়া


রাত বাড়লেই রিসিভারের পাশে, ধীর পায়ে দাঁড়াই। শ্বাসের শব্দও গুনে গুনে ছাড়ি। শ্বাসের ভেতর কী ক্ষমা পাওয়া যাবে নাম্বার ডায়াল করার আগে? পাবো জেনে স্থির করে রাখি দিনের স্বপ্ন, আজ কথা হলে কুশলাদি ছাড়া আর কিছুই বলবো না। তার কথা শুনবো। অপেক্ষায় থাকবো, দেখবো সে কি বলে

রাতে কথা হয়, আলাপে-প্রলাপে অনেক প্রসঙ্গ চলে আসে; মাঝে মাঝে কথা না-বলে আমরা চুপচাপ থাকি; চুপিচুপি ভদ্রতা, কথা হয় কবিতার। কথা হয় দিনের ব্যস্ততা, কথা হয় চারপাশ; এসব  করতে-করতে নিজের ভেতর জমা মুগ্ধতাকে হারাই, বলার সুযোগ ফাঁকি দিচ্ছি প্রতিদিন! প্রকাশের অপেক্ষায় ছটফট করে উড়াল হাওয়া

ফের কথা হয়, দিনের পথ ধরে বছরও ফুরায়; হয় না দেখা। দেখা না-হওয়াই ভালো অন্ততঃ আরো দুটি বছর। আজও শেষ হয়নি কথা,


১৪.
ফেরা


একটাই পথ ছিল ফেরার, আমি হাঁটছি ত্বরাত্বরি—এভাবে ফিরে যাওয়া!  দুপুর খাড়া হয়ে থাকবে তো?  পায়ের নিচে পাথর; পাথর ভরে আমার দাঁড়িয়ে থাকা। তুমি গান গাও, আমি মুগ্ধ হই; আর যা যা বলার নিচু স্বরে বলো আমি চুপচাপ থাকি; ভেঙে পড়ুক বুকের গোপন অহঙ্কার আমি জড়িয়ে থাকি গানের পাশাপাশি
 

১৫.
আশ্চর্য লাগে


ইচ্ছে করেই তার কাছে যাই না আর। যদি ভাবমূর্তির সঙ্গে মিশে যায় অবিশ্বাসের ডানা! নিরুপায় ছিলাম না বলে চায়ের সঙ্গে পান করিনি কার কল্পনা...। একা থাকতে বেশি পছন্দ। দেয়াল হেলে দাঁড়িয়েছি; পা থেকে ঝরে পড়ছে প্রতীক্ষাসহ পথের সৌহার্দ্য। কিভাবে যে উনত্রিশ পেরুলো! ত্রিশে এসে আশ্চর্য লাগে; লজ্জায় কেন যে কাউকে মুখ ফুটে বলিনি ভালোবাসি...

ইচ্ছে করেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না, সুযোগ পেলেই ওড়নায় গেঁথে দেই দু'চারটি চুম্বনের দাগ। বলতেও পারি না, আমার ভালোবাসা যে তোমাকে ছুঁতে চায়, পূর্ণ শ্রদ্ধায়


১৬.
হারানো সিম্ফনী


ঘর থেকে বেরুবার আগে দরজায় দাঁড়াই। মায়ের শেখানো দোয়া পাঠ করতে করতে প্রথমে ডান পা বাড়াই। দরজার অহংকার দেখি! দরজার অহংকার দেখা, সে-ও এক খেলা।...

সামনে পিঁপড়া হেঁটে যাওয়া দেখতে-দেখতে মনে পড়ে এলিয়ট আর আঁজলার খেলে যাওয়া জলের কথা। এলিয়ট বলেছেন, মধ্যবয়সে পৌঁছে কবিদের সামনে তিনটি রাস্তা খোলা থাকে- ' ১. লেখা বন্ধ করা ২. পুরনো লেখার আঙ্গিকগত উৎকর্ষ সাধন ৩. সম্পূর্ণ নতুন ভাবে লেখা।' যদি ষাট বছর বাঁচি, এখন আমি মধ্যবয়সের ভেতর হাঁটছি... তবে কি বন্ধ করে দেবো ভালবাসার গানগুলোর শরীর মেলে ধরা! নাকি নতুন করে বাঁধবো কোন গান এই অবেলায়?...

মধ্যবয়স! তারচে, ভালো কবিতা ছেড়ে দিয়ে শচীনকর্তার গান শোনা, ঋত্বিকের ছবি দেখা, জীবনানন্দের 'অন্ধকার' কবিতা ভেতর নিজেকে খোঁজা...
 

১৭.
কৌতূহলী শব্দ


ধরিনি টেনে হাঁটছে যারা, শুধু গুনে রাখছি গোড়ালি শব্দ, জোড়-পা...। বিবশ চোখে বাড়ছে আগ্রহ, কতদূর যাবে বোঝা যাচ্ছে না… নিঃশব্দে বাড়ছে বিভেদ, অসহ্যযন্ত্রণা। জানার আগ্রহ কিভাবে কমাই? ত্রিমুখী রাস্তা।… কৌতূহলী মানুষ পাশাপাশি দাঁড়ানো, দাঁড়ানো যাত্রীছাউনি, বসার জায়গা

যে কোনো জায়গায় বসে থাকতে বাধা নেই আমার। শুধু ইচ্ছের বিরুদ্ধে ছটফট ভালো লাগে না। একমাত্র তোকে-ই বলি গোপনে কথা— হাঁটছে যারা, তাদের হাঁটার ফাঁকফোকরগুলো যে আমাদেরও চেনা!… তোর কি মনে হয়? পথ টেনে ধরবে কারো পা...

যারা হাঁটছে ধরিনি টেনে, ভালো না-লাগলেও হাঁটবে অনন্তকাল ধরে, একটাই জীবন চলছে, চলবে যেমন খুশি নড়েচড়ে; জানতে চাই মৃত্যুর পরও কি এভাবে চলবে হাঁটার কোলাজ?...
 

১৮.
সহনশীলতা


আর কিছুই দেখার ছিল না আর। তোমার ছায়াভরে খাড়া হতে হতে কখন যে ছায়াও পড়ে গেল ঘাসের উপর! আর ঘাস থেকে উঠে এলো দ্বিধালগ্ন-সহনশীলতা। চাপাকলি, তোমাকে বলা যাবে না কিছুই, শবস্পৃহায় কাঁপছে অধিকার, স্মৃতিকাতরতা আমার। দশ ইয়ার্ড দূরে এরূপ দর্শনে বন্ধ রাখি চোখ, নিজমুখ, গোপন বেদনা। শ্বেতাঙ্গিনী, শারিরীক প্রণোদনায় ছুঁতে দাও দেহভাঁজের গোপন আভা !...

চাপাকলি, বলবো না কিছুই কেবল দেহপাঠ শেষে নিয়ে নাও অধিকার। ছড়াও লাবণ্য সময়ের ললিপপ! আকাঙ্খা মাত্র জাগবে কি রাত্রি পোশাক?
 

১৯.
নিয়তিদশা


তার চাপাকথা শুনি, আর ভাবি কি করে 'যেচে চিরকাল' বোবা হয় নদী ও জল। নদীগর্ভে বসে নিদ্রাপর্ব কাটে কি কাটে না; সে দ্বন্দ্ব আমার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বোবাজলকথা। দোষ একটাই ছিল, জেনেছি পরে। দুঃখ পাবে জেনে কাউকে বলিনি। তারপর চাপাকথা ! একটানা হাসি  বলতে সবই মিথ্যে, ভণিতা। সময়ের আবেগ, দুর্বলতা...

দোষ একটাই ছিল; তাও বলা যাবে না অসহায়। একদিন গা থেকে ঝরে পড়বে সোনালি আশা, জীবনের কৌমার্য… এমনি আমি, এমনি আমার নিয়তিদশা। শুধরানো গেল না
 

২০.
একশোটি দিনের ঋণ


ইচ্ছে করে জেগে উঠি পুনর্বার; গলা চেঁচিয়ে বলি, আমি আগেই জানতাম হাওয়াভরে তুমি দাঁড়াতে শেখোনি, নিয়ম বাঁধতে দাঁড়াতে পারবে না আর। কিন্তু তোমার আগ্রহ কম! আগ্রহ, আমিও যদি এরকম হই... দৃশ্যহত্যা দেখতে দাঁড়াই, তার আগে দু'শো-এক সেকেণ্ডের আত্নহত্যা দেখে বাড়ি ফিরি; সেকেন্ড হত্যার ডরে তুমি ঘামো, ভয়ে দু'হাত ঘষে শরীরে মিশাও; নাক ঢলে অনুভব করো

সেকেণ্ড-মিনিট গুনে সন্ধ্যা সাতটায় মনটা কত কিছুই না ভাবে।  আগ্রহ, আমাকে বহন করো না ভবঘোরে! কড়ানাড়া বুকে, আমি ধরে রাখতে পারছি না একশোটি দিনের ঋণ

২১.
বন্ধুত্ব


কৈশোর বয়সে আমাদের গাঢ় বন্ধুত্ব ছিল, আছে, থাকবে শেষ দিন পর্যন্ত।... সারাক্ষণ আমাদের ঝগড়া লেগেই থাকতো। দিনে অন্ততঃ একবার সাক্ষাত হতো, রিকশার হুড ফেলে ঘোরার শখ ছিল তোর। আমার বিব্রত লাগত। দেখতে দেখতে বিয়ের পাঁচ বছর পূর্ণ হলো, মাতৃত্ব পেলি!
 

বন্ধুত্বে আমরা কি হলাম পরবাসী? বন্ধুত্ব প্রেম নয়, ভালোলাগা-ভালোবাসাও ভিন্ন... তাই আমরা বিয়ে করিনি। স্মৃতিঘোর ছুঁয়ে-ছুঁয়ে আলো ও অন্ধকারের দিকেই হাঁটছি আর ভাবছি বন্ধুত্ব আছে, থাকবে শেষবেলাবধি ইতিহাস শিখে
 

২২.
পোড়াহাড়

১.

অগ্নিপাত্রে জমাও পোড়াহাড়! দেহ লুকোবার জলসহ চতুর অন্ধকার। প্রথা ভাঙলেই দ্বিধাপথ খোলা আকাশে খেলে, খেলে দু’চারটি কালোদাগ। তুমি সম্পর্কে দাঁড়াও, সঙ্গে আমাকেও নাও, শব্দ করো না- বোঝাপড়া, প্রথা ভেঙো না আঘাত। আমি অনর্গল কথা বলি, তুমি কান ভরে শোনো ! বলো আমি শুনছি, তুমি বলে যাও…। তোমার কি ইচ্ছে করে না? বেশি কথা বলার…

২.

মার দু’চোখে এতো বোঝাপড়া ! এতো সময়ের পাঠ! এতোসব বুঝি না আমি, তুমি মন খুলে ধরো দেখবে আমার অপ্রস্তুতি…। অপ্রস্তুতি চোখে না-জড়ালেই ফিরে আসে স্মৃতি। রোদ দেখি না, ছায়া দেখি না, মেঘের গর্জন বাজে, আরো বাজে বুকের প্রীতি। চোখ বন্ধ করে বসি; হাত বাড়াও শ্রী ফোটাও মুখভরা হাসি। হাসি যদি শিল্পই হয়, তবে— আমি দাঁড়িয়ে রবো, হবো তার চোখে ত্রিকালদর্শী
 

২৩.
পাপ জেনেও স্পর্শ করি

আক্ষেপ ছিল, আছে, থাকবে— তার অপেক্ষায় আমিও দাঁড়াই প্রবল সন্দেহে। অন্তরঙ্গ, আমি তো ছায়াশব্দ ঠেলে যাবো। ভেতর বাহির যা পাও, কেটে-ছেঁটে নাও। পাপ জেনেও স্পর্শ করি। ভরসা পাই। চিন্তার ভেতর একাকী পুড়ি...। আমার মুগ্ধতা ফুলের পাপড়ি। আমার দুর্বলতা পাতা ও কুঁড়ি। আরো- আরো যত এখনও জঙ্গলে ফোটেনি

তরশু কথা হল একবার। সারাদিন স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে আশে-পাশে কিছু বলিনি। দৃষ্টিসন্তরণ সৌন্দর্য দেখে ছাড় দেয়নি। বয়ঃসন্ধি, আক্ষেপ বড় অপ্রাসঙ্গিক লাগে। সন্তুষ্টি জয়ে এ-হৃদয়ে পুষিয়ে নাওনি। বুকের ভেতর দোলাও কেবল হাতছানি

অপেক্ষা ছিল, আছে, থাকবে— কেবল অপেক্ষার শব্দ বাজে কানে। সুখের রঙ দর্পণেও ধরে রাখা যায়। দুঃখের একটাই রঙ যাকে ছোঁয়া যায়


২৪.
অতি সহজে বলতে পারো নিরুপায়

ঘুমহীন শেষরাত চোখের পাশে একা পায়চারি করে! অবশিষ্ট থাকে ভরা শব্দতরঙ্গ টানটান গভীরতা... শেষচুমু পর্যন্ত পোড়াই; সিগ্রেট ও ছাই। রাতে ভাঙা-ভাঙা ঘুম নিজ ছায়ায় হাঁটে; হাঁটে জানালায়, পর্দায়। আমি জাগি চুপিচুপি। মাথার উপর ঝুলে না মশারি। রাতে বিরহ সুন্দর! আরো সুন্দর হাওয়াভোর। তার শরীর। রোমাঞ্চরাত তুমি একা হও; হও অবশিষ্ট নজর... ঘুমহীন রাতে নিজস্ব অধিকার অগ্রাহ্য করেছো পায়ের তলায়; অতি সহজে বলতো পারো নিরুপায়; নীরব শৃঙ্খল একা দাঁড়ায়


২৫.
স্বপ্নপাপী

দেবী। আমি স্বপ্নপাপী ! কাছাকাছি এসেও দূরে-দূরে থাকি। দ্বিধা, তোমাকে কিছুই বলেনি। আমি কিছুই বলতে পারি না। পরাজিত হতে চাই না বলে অপেক্ষায় পাপ শিখি; পাপে-তাপে লুকাই লালমুখ... আমি তো প্রেমিক নই যে তোমার অধীনিচ্ছায়, আড়ষ্টতায়, জাগিয়ে তুলবো সর্বদা দশ আঙ্গুলের দ্বিধা

আমি স্বপ্নপাপী। অতি সতর্কে ধরে রাখি চোখ; উত্তাল চাহিদা। চোখের শাসন নির্বিকার জেনে নিকটে আসি। পূর্বপ্রস্তুতি, কেবল ধরে রাখো ক্ষোভ ও সন্দেহ। তুমি দেখনি ব্যথার প্রভাবে কত রক্ত ঝরে। দেখনি পাপ কতটা গাঢ় হলে পাপেও মিশে হননপিপাসা। হননে যদি নিন্দা রটে, নিন্দার দানা খুঁটে স্বস্তি পাই

আমি স্বপ্নপাপী। পাপের বিচিত্র গুণ ও সৌন্দর্য দেখে নিভৃতে সাজাই। পাপ সুন্দর, পাপ কোমল জেনে তোমার ভেজা চুলের ঘ্রাণ তৃষ্ণায় জ্বলে, জ্বলে উঠে নির্দিষ্টচোখ, জলদিঠোঁট, স্তম্ভিতবুক দেবী, তৃষ্ণার নিচে কেবল আমি...
 

২৬.
মুহূ্র্তচোখ


গতকাল কি ঘটলো মনে রাখতে চাই না; বেদনার গন্ধ পাই। মনে রাখলে বেদনাও বেঁচে থাকতে চায় ত্রিশফুট উচ্চতায়। প্রতিটি বেদনার একটি কারণ থাকে তাই কালে-পার্বণে দোলা দেয় মুহূর্তচোখে। আগামীকাল আমাকে তাড়ায়, দৌড়ায়, বোকা বানায় আশেপাশে যেন কিছুই মনে থাকে না। ইদানিং ঘৃণাকে অধিক মমতায় নীল মলাটে সাজাই। ঘৃণার চেয়ে কষ্টের তীব্রতা এতো গাঢ় যে কারো চোখের দিকে তাকাতে পারি না; ঘৃণা যদি অপূর্ণতা পায়

তোমার মুখের দিকে তাকালে আমার ধারণা কষ্ট পায়; চেহারায় তাকিয়ে কষ্টের রঙ বোঝা গেল না! ফলে নানান বাহানা সহ্য হয় না; সহ্য হয় না আলাদা মোহে তাকিয়ে থাকা। কেউ কি জানে? হাসির আড়ালে কেনো খুঁজি অনুপ্রেরণা। পড়শি, এই নাও— তোমার অধীনে অতীত সময়; যত্নে রেখো কখনো নামতে দিও না দায়মুক্তি; আরাধনা

এই যে আমি, সকল আয়োজনে সময়কে ধরে রাখতে পারিনা। নাবালক বয়সের সঙ্গে পায়ের ধুলা স্থির থাকলো না বলে চেনা মুখে ভীড়ে আজো অচেনা। চেনামুখ, ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিও না