পূজোর দিনে
আরতি দে

 

ঢাক বাজে, ঢোল্ বাজে,
কাঁসি বাজে কাঁই-না-না।
হাত ধরে সব নাচরে ভাই,
তাক ধিনা ধিন্, না তিক্ তিনা।
পূজোর দিনে নানা মজা,
হরেক রকম খানা-পিনা
ঢ্যাম কুড়কুড় বাদ্যি বাজে
পূজোর ক’দিন সকাল সাঁজে
নতুন জুতো, জামা কাপড়ে
আনন্দে, ঠাকুর দেখার মাঝে,
সারাটি দিন যায় যে কেটে
কে আর তার খোঁজটি রাখে?
স্নানের পরই অঞ্জলি দিতে
মন্ডপে যাওয়া চাই
সারা বছর ভাল রেখ মা
চাওয়ার কিছু নাই।
কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী
বাহন আছে তাঁদের সবার,
মা দুর্গা সকলের গতি, শক্তিমতী,
সকলেরে দাও শুভমতি।
দশটি হাতে অস্ত্র ধরে
অসুরের সাথে যুদ্ধ করে,
হারিয়ে দাও আসুরিক শক্তি।
মহিষাসুর মর্দ্দিনী তুমি
নাও শুদ্ধভক্তি।


কেমন করে কেটে গেল
পূজোর ক’টা দিন?
আনন্দকে ধরা যায় না
ফের, পুরোনো রুটিন ॥
দিন পনেরো পর কালীপূজো
যতই বাজী পোড়াও,
ভাই ফোঁটার পর সবই ফাঁকা
পড়ায় মন দাও ॥
মহিষাসুর, বাজে অসুর,
তাকেও ক্ষমা করেছ।
বিশ্বজননী, সকলেরই মা
সবাইকেই ভালবেসেছ ।

দুষ্টুমী করে থাকলে পরে
ক্ষমা করে দিও
সব সময়ই সঙ্গে থেকো
ভক্তি প্রণাম নিও ॥
সামনের বছর মাগো তুমি
এসো, সবাইকে নিয়ে,
একটি বছর থাকবো মোরা
আসার পথ চেয়ে।
ঠিকানা লেখা ঠিক আছে তো?
প্রযত্নে, , বাবা মহাদেবের নাম,
দু’এক দিনেই পৌঁছে যাবে
শ্রী কৈলাস ধাম ॥