উদাসীন ঈশ্বর এক
লীমা জামান শিল্পী
বৃক্ষ হৃদয় আন্দোলিত প্রবল বাতাসের বেগে
ঢেউয়ের উচ্ছাস, সূর্যের খিলখিল হাসি
আর একবার মাথা নত করায় সৃষ্টির
রূপ বৈচিত্র্য লীলার পায়ে।
চন্দ্র চুমুর অহংকারে বিকশিত হয় কুঁড়ির ওষ্ঠ
রজনীগন্ধ্যা মেলে ধরে পাপড়ি দল।
ভাবনায় পাখীর ঝাঁকের পাশা পাশি উড়ে চলি
পাখি হয়ে দেখি পাখির জীবন কতোটা সুখের
অথবা গাছ হয়ে জন্মানো দু:খের কী না।
বার বার ভাবি আমার এ জীবন “প্রজাপতি”
উড়ে উড়ে যাই এফুল থেকে ওফুলে নির্ভাবনায়
অমনি খটকা লাগে-মানুষ জন্ম যে মহান
মানব জীবন তো সেরা। পরম নিশ্চিন্তে প্রকৃতি
সেই অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সৌন্দর্য ঐশ্বর্য্য
উপহার দিয়ে যাচ্ছে সে তো মানুষের জন্যে। কিন্তু যুক্তি বড় গোলমেলে ঠেকে
অদৃশ্য শক্তির ইশারা? যখন দেখি
ছারপোকা নয়, সহোদরের রক্তের লোভে
ধারালো ছুরিতে আর এক বার শান দিচ্ছে
সেই মানুষই।
সেই মহান মানবের একাংশ লাঞ্চিত হচ্ছে ধর্ষিত হচ্ছে মানবের দ্বারাই
এ পৃথিবীর সমস্ত শিশুর ঘুম বিঘ্নিত হচ্ছে
শানিত অস্ত্রের ঝন ঝন শব্দে
তবে এসব অনাসৃষ্টি সৃষ্টি হচ্ছে
কোন সে স্রষ্টার ইংগিতে?