বিংশ পাঁজর

 

ফকির ইলিয়াস

 

ফসলভরা যে ভূমি গিয়েছিলে রেখে, তা আজ দ্বীপাগ্নি
হয়ে উঠছে মনোজ মোহনায়- তবু তুমি ফিরবে না জানি
এই গ্রহপথে মাড়াতে স্মৃতির ধুলিকণা আর বেদনার উল্লাস
করে বর্ষাঋতুর মতো সমুদ্রসময় ফেলে যায় যে গভীর নিঃশ্বাস।
সে নি:শ্বাসেরও যতিচিহ্ন আঁকা হয় চাঁদের ছায়াতে
কে আঁকে জানো? কার নাম লেখা আছে বিরহ গণিতে
জলালোকে ভেসে যায় কার এই মুখছবি, পরিপূর্ণ বিংশ পাঁজর
প্রিয়তম পুষ্পরোদে উষ্ণমন, আমাদের কাঁচঘেরা ঘর

আবারো ডাকবো কাছে, আবারো বিছিয়ে দেবো দৃষ্টি রেশম
সুতোর দীর্ঘ বাহু যেমন জড়িয়ে ছিলো কোনো এক রাতের প্রথম
টান, ঘনঢেউ আর চাহনির বীজতলা— নীল জ্যোতিরেখা
নির্মিত অক্টোপাসে বন্দী থেকে যাবো, যদি হয় মেঘঝড় দেখা
হবেই ঘরে ফেরা ফসলের টানে, শুন্যতায় পোড়াশস্য খুঁজে
নেবো সেই প্রাচীন মুদ্রা, মুদ্রণ আর চেনা দাগ কালের সবুজে
থেকে যাবো,-রেখে যাবো ফ্রেমবন্দী গ্রহের ভাঁজে সাজানো অক্ষর
বনজ বিন্যাসী মন ঋতু উদ্ভাবনে, আবার শুনবে তোমার প্রিয় কণ্ঠস্বর