চূড়ান্ত সুখের পারে সৌম্যেন্দু…


আর সকাল হবেনা আমাদের দু’জনের
আর অন্তহীন আড্ডা হবেনা আমাদের
কত রাত তুই আর আমি জেগে
পাহারাদার কে ঘুমোতে দিইনি
রাত দু’টোয় চিত হয়ে রক্তাক্ত তুই
আর আমি তোর শবের পাহারাদার
রক্তাক্ত শান্ত সৌম্য তুই শুয়ে আছিস
যেন কিছুই হয়নি...মনে পড়ে কত কথা
আমাদের সেই সব দিনগুলো
সুখ তুই চাইতে পারিস
দুঃখ অত সহজে মেলেনা
দুখ সাগরে ডুবতে পারিস
একান্তে কোন সঙ্গি থাকেনা
আত্মার চোরা পকেটে নিয়ে একাকিত্বের রক্তাক্ত হৃদয়
পারিসনি অভিমানি তুই লুকোতে ওষ্ঠ কোণের কুঞ্চিত কষ্ট
শরীরটা শেষ করে একা একা চলে গেলি'রে নির্দয়
সবাক নির্বাক বেহিসেবী বন্ধুত্ব হঠাত হয়ে গেল ভ্রষ্ট
কত দূরে গেলিরে গাধা একা এই অনাথকে রেখে
আবার মিলে যাব আরও কিছু পথ এঁকেবেঁকে
ঘুমহারা রাত্রি জুড়ে তোর অভিমানি হারিয়ে যাওয়া দেখেছি
অগুন্তি তে'রাত্রি দু'পায়ের পাতায় ভর করে পার করে দিয়েছি
ফুটি ফাটা চোখের কোল আর ফুসফুসের কান্নাজলে ডুকরে
তুই আমায় নির্ণিমেষ ফেলে রেখে গেলি যান্ত্রিক ফল্গুধারা তীরে
যেখানেই থাকিস ভাল থাকিস রে আমার প্রাণ
শরীরটা নিয়ে গেলি মনটাকে বিছিয়ে টানটান
পঞ্চাশটা বছর তুই কাছে দূরে শ্বাস প্রশ্বাস হয়ে থেকে
একবারের জন্যেও থমকে দাঁড়ালিনা ডেকে নিতে এই প্রাণ বন্ধুকে!
হঠাত দুম করে খুলি ফাটিয়ে রক্তাক্ত হয়ে রাত দু'টোয় একা একা চলে গেলি
কেনরে অচেনা বজ্জাত কি কষ্ট ছিল যা নিয়ে তুই একাই খেললি রক্তাক্ত হোলি!
সুখ তুই চাইতে পারিস
দুঃখ অত সহজে মেলেনা
সুখ সাগরে নাইতে পারিস
একান্তে কোন সঙ্গি থাকেনা
যেতে চাস যা' চলে যা...
চাইলেই কি যেতে পারবি
চূড়ান্ত সুখের পারে তুই সৌম্যেন্দু
অন্তক্ষরিত আমি অপলক
শেষ হয়ে যাই বিন্দু বিন্দু ...
 

অরূপ
নভেম্বর ৩০, ২০০৯