সেই কবে চলতে চলা জীবনটা শুরু করেছিল
চলে বসে লাফাতে লাফাতে খুঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
মনে নেই...
এখনও সে সাধ পায়নি চলা শেষের গোধূলীর
শিশিরা মন আজও তাকে বলেনি সে কত ভালবাসে জীবনকে
অবিচারের নিয়ম মেনে ভব্যতার সভ্য রূপ মেখে গায়ে
হাট বাট মাঠ পেরিয়ে সে চলেছে ক্লান্তিহীন পায়ে পায়ে
আঙ্গিনায় চাপা দীর্ঘশ্বাস লম্বা হয়ে ছায়া ফেলে দাঁড়িয়েছিল
তবুও সে হতচ্ছাড়া এক নির্ঘাত মৃত্যু সমুখে আশাবাদী
গভীর রাতে আশার বাসায় কামনা হানা দিলে সে বাঁচতে চায়
সে বলে আমাকে আদর করে মেরে ফেল কিন্তু ধর্ষণ করনা
যোনী জলে ভাঁটা এল না কি পড়ল কামনায় টান
বাদাম বোঁটায় ওম-আগুন লেগেছে যাক চলে জান মান প্রাণ
শিষ্ণ দুর্বল হলে দু’কথা বলে সেও ভাষাণকে দুষেছিলে
অনভ্যাসের দাস মনের পনেরটা শীত একাকী দুর্বিসহ
চোখের তারার আজন্ম হাসির মাঝে লুকোন কত ব্যথা
গায়ের ওপর লেপ ছিল
অন্তরে চাওয়ার আগুন ছিল
তবুও কেন অপমানিতা হয় কামিনী
কাঞ্চন সে চায়নি সে হতে চেয়েছিল চিত্রিণী
আজন্ম মেয়েবেলা থেকে সে ছিল পরিচিতা পদ্মীনি
বুকের গভীরে অফুরান আগুন
দুরন্ত নারীমন জানে ফুল পোড়ান অসুয়া ফাগুন
কেন যে তাকে আজও সময়ের সুবিচার আহত করে
কেন যে মধ্য রাতে আপন ভালবাসার প্রেমিকাকে
অপবাদ দেয় কামনার স্ফুলিংগ ফল খেতে চাওয়া মন
সে হাসে ঠোঁট টিপে আর চোখের কোণায় গলান শিশে
অনাদরের ত্বকে তবুও কেন আদর খাবার সাধ চিকচিক করে!

 

সুপ্রতীক অরূপ