নব আলোকে বাংলা উত্তরাধিকার। অঙ্গীকার। দূরদৃষ্টি। Humaira Haroon Suprateek Aroop Ghosh Nauba Aloke Bangla সম্পাদক পাঠক পরিষদঃ চঞ্চল চৌধুরী, শুভলগ্না শোয়ারা
|
||
মানুষ মানুষের জন্য
সুপার সাইক্লোনের নির্মম দাপট মানুষের কি দুর্গতি করেছে তা চোখে দেখলেও বিশ্বাস হবে কিনা জানিনা। বাংলাদেশী ভাইবোনদের আজ মানুষকে প্রয়োজন। প্রয়োজন মনুষ্যত্বের সঠিক রূপ কি তা অনুধাবন করার। মানুষ কি করে চুপ করে থাকবে? ভুপেন হাজারিকা সাহেবের সেই বিখ্যাত মানব দরদী গান মনে পড়ে যায়-
মানুষ মানুষের জন্যে। জীবন জীবনের জন্যে। একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না বন্ধু- মানুষ মানুষের জন্যে... বল কি ক্ষতি তোমার জীবনের অথৈ নদী পার হয় তোমাকে ধরে দুর্বল মানুষ যদি। মানুষ যদি সে না হয় মানুষ দানব কখনও হয় না মানুষ- পুরোন ইতিহাস ফিরে এলে লজ্জা কি তুমি পাবে না বন্ধু... মানুষ মানুষের জন্যে...
'আজ মনুষ্যত্বের এই চরম পরীক্ষার সামনে নির্লিপ্ত থাকলে আগামীতে নিজের মনের আর্শীতে নিজের মুখ দেখে লজ্জা কি তুমি পাবে না বন্ধু - মানুষ মানুষেরই জন্য...' বাংলাদেশকে আবার উঠে দাঁড়াতে হবে। সুপার সাইক্লোন সিডর ও জলোচ্ছ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় আজ সর্বস্তরের মানুষ দুর্গতদের পাশে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সংগঠন, প্রবাসী সংগঠন ত্রান কার্যে অংশ নিচ্ছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও এগিয়ে এসেছে মানুষ। প্রবাসী ভাইবোনদের মাঝে শিকাগো প্রবাসী ইলেক্ট্রিকাল এঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নরত তানিম মো তাহের কাজ করছে ত্রাণ সংগ্রহে। তার সাথে হাত মিলিয়ে মানুষকে ত্রান পৌঁছে দিতে যোগাযোগের জন্য তার ইমেল tanimtaher@gmail.com চিকিতসা, সুবিধা, খাদ্যবস্ত্র ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ এবং দুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য আজ মানুষ যেভাবে এক হয়ে কাজ করছে তার জন্য সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ। আসুন আপনিও আসুন। মানুষ মানুষেরই জন্য...
আপনাদের সুপ্রতীক
সিডর সাইক্লোনের স্যাটেলাইট ইমেজ
সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার ধারে দাঁড়িয়ে এক মধ্যবয়সী মহিলা এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে
গ্রামের এক দামাল যুবা যুদ্ধে যাচ্ছে, যাবার আগে বাবা ছেলেকে আশীর্বাদ করছে- জয়ী হইয়াই ফিরো বাপজান!
রোশেনারা আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল পাক হানাদার বাহিনীর ট্যাংক বহরে। বুকে মাইন বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল 'জয় বাংলা' বলে। মৃত্যুকে নির্ভয়ে আলিঙ্গন করা রোশেনারা সেই থেকে কবির কবিতায়, গায়কের গানে। যোদ্ধাদের প্রাণে। রোশেনারা কল্পনার নারী, তবুও কল্পনা নয়। মক্তিযুদ্ধে বাংলার প্রতিটি নারীই ছিলেন রোশেনারা।
৭১ সালে তাদের এমন পৈশাচিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ। যেসব নিষ্ঠুর উপায় তারা অবলম্বন করতো, তার একটি ইলেকট্রিক চেয়ার।
আইডিয়াটা শামসুল হকের মাথা থেকে বেরিয়েছে। জুনের সেই দূরন্ত দিনগুলোতে কলকাতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতি এবং সিদ্ধান্ত নেন একটি ফুটবল দল গঠণের যারা সারা ভারত জুড়ে খেলে সমর্থন আদায় করবে আমাদের স্বাধীন বাংলার স্বীকৃতির জন্য। ।
আর্কাইভ
সাহিত্য পত্র দ্বিতীয় নভো সংখ্যা
ই বুক
.............................................................................................. |
সম্পাদকীয় ছন্দাবলী - ৪
ছন্দে ছন্দে পরমানন্দে জীবনের চলে নতুন খেলা হেমন্তের নরম পরশ ছুঁয়ে যায় - আসে যে শীতের বেলা কত আনন্দ, কত খুশী এই শীতের সময় ডিসেম্বর এ জন্মালো নব আলোকে বাংলার নব তনয় জন্ম নিল আমাদের চতুর্থ সংখ্যা কেন নিল - নেই তার কোনও ব্যাখ্যা গত তিন সংখ্যায় আমরা চেয়েছি সবার কথা তুলে ধরতে তাঁদের লেখা প্রশংসিত যাঁরা ভালবাসেন বাংলায় পড়তে ও লিখতে এই শীতে কি করবেন ভাবছেন- বেড়াতে যাবেন নাকি বচ্ছরকার ছুটিটাকে কাজে লাগাবেন-কিছু লেখা যায় যদি আমি বলি কি একটু চালাকি করে দেখুন না নিজের সাথে কলম দিয়ে ফোয়ারা ছুটতে পারে সে কথা রাখবেন কি মাথে নব আলোকে বাংলায় লিখেছেন অনেকে এ ক'মাসে তাঁরা সবাই বাংলা ভাষাকে ভালবাসেন নিশ্বাসে প্রশ্বাসে আপনিও তাদের দলে যোগ দিন না - নিজেকে নতুন করে পাবেন এ কথা হলফ করে বলতে পারি - এখানে লিখুন তারপর বুঝবেন তবে হ্যা আমরা যা খুশী তাই গ্রহন করিনা বা ছাপাই না কারণ মান খাটো করে ভাষার বেসাতি আমরা করি না যে কোনও বিষয় লিখুন যা প্রাণে চায় লিখুন আর পাঠিয়ে দিন যদি গুণগত মান ঠিক থাকে তাবে তা' হবে নভো সঙ্খ্যায় উড্ডীন ছন্দে ছন্দে গন্ধে বিভোর পরমানন্দে মেতেছি মোরা আহিত্যের আঙিনায় নতুন কিছু করবো বলে- আসুন সবার সৃষ্টি তুলে ধরি নব আলোকে বাংলায় ভাল থাকুন - ভাল রাখুন - ভাল লিখুন আর আমাদের আকাশে ঠিকানায় চিঠি লিখুন আমরা আবার বাংলা ভাষায় কান্ডারী হব এই বিশ্বাস নিয়ে লিখে যান লিখতে থাকুন...
আপনাদের সুপ্রতীক পয়লা ডিসেম্বর, ২০০৭
বিশেষ রচনা
২১ শে জুলাই, ১৯৭১, বন্দী শিবির থেকে কবিতাটি ভারতীয় দেশ পত্রিকায় হয় কবির ছদ্মনামে - মজলুম আদিব, যার অর্থ নির্যাতিত কবি।
স্বাধীনতা নামের শব্দটি ভরাট গলায় দীপ্ত উচ্চারণ করে বারবার তৃপ্তি পেতে চাই। শহরের আনাচে কানাচে প্রতিটি রাস্তায় অলিতে-গলিতে, রঙিন সাইনবোর্ড, প্রত্যেক বাড়িতে স্বাধীনতা নামক শব্দটি আমি লিখে দিতে চাই
যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছোঁয়াবো আমি বিষপান করে মরে যাবো! বিষণ্ণ আলোয় এই বাংলাদেশ নদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘ
তার পায়ের কাছে বিশাল বঙ্গোপসাগর আর তার আলুথালু চুলগুলির দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল এইতো বাংলার ঝড়ো হাওয়ায় কাঁপা দামাল নিসর্গ
আপন ভোলা আজি আমি, তাকায়ে তব সোনা হাসি মুখ হে বঙ্গ ভূমি! ভুলে থাকি তোমায় নিয়ে সকল সুখে দুখে চোখের দৃষ্টি দূরে রেখে বাতায়নে তীক্ষ্ণ শ্রুতিধর দোয়েল, শালিক, ঘুঘুর ডাকে হৃদয় হয় ভার।
একবার এক্সারসানে ফালতা গিয়েছিলাম। যেখানে ঝুমার সাথে আমার প্রথম আলাপ। দিগন্ত বিস্তৃত নদীর বুকে পাল তোলা নৌকো। ঠিক পড়ার বইয়ের ছবিতে যেমন দেখেছি। আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম। এই প্রেক্ষাপটে ঝুমা এসে আবির্ভুত হল। আমার বুকের গভীরে খোদিত হয়ে গেল সে।
প্রোএক্সলেন্স
~ যেখানে
সম্ভবনার দ্বার উন্মুক্ত ~ মানব সম্পদের যথাযথ ব্যবহার- এ সকল ক্ষেত্রেই প্রয়োজন পেশাগত শ্রেষ্ঠত্ব বা প্রফেশনাল এক্সলেন্স। আর সে থেকেই প্রোএক্সলেন্সের যাত্রা শুরু আজ থেকে পাঁচ বছর আগে। ব্যবস্থাপনা অঙ্গনে কার্যকরি দক্ষতা অর্জনের নিমিত্তে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যেই প্রোএক্সলেন্সের শুভ সূচনা।
বিস্তারিত তথ্যের
জন্য নভো ভ্রমণে ............................................................................................. |
আজ অধরার প্রথম চিঠি এসেছে স্পিড পোস্টে। মিসেস অধরা চৌধুরী। বিয়ের আগে অধরা দাশগুপ্ত ছিলেন। অধরাকে সুবুদ্ধি আজও দেখেনি। কিন্তু তাকে চেনেন নিজের মনের আয়নায়- খুবই স্বচ্ছভাবে- তাঁর হাতের রেখার মতই অধরা তাঁর কাছে স্বচ্ছ।
বাউল তোমার একতারা একবার আমার হাতে দাও শিখিয়ে দাও এক তারে কি করে হাজার সুর ওঠে কি করে মাতাল করো নদী ও নারীর মন ধানখেত শালিকের সাথে কেমন সুরে কথা বলে
চারিদিকে শুনি মৃত্যু সংবাদ দিকে দিকে বেজেছে যুদ্ধের ডাক নতুন বাসভূমি করতে হবে আবাদ
কাক। অনন্ত কাক এখনো কি ভাবছো ঐ মাথাটায় দাঁড়িয়ে আর কতকাল? ওরা কেউ আসবে না আর
ঊষার নরম গলানো সোনা নির্মল নীলে মিলেও মিশেনা অনবগুন্ঠিতা রাতের প্রকাশ
নীরবে কাঁদো মাগো, তুমি নীরবে কাঁদো। পুত্রশোকে বিলাপ তোমার বারে বারে দুঃখ তোমার আঁচল জুড়ে হৃদয়জুড়ে শোকের প্রলাপ তোমার জীর্ণ ঘরের ছালা বারে বারেই ভাঙ্গে। মাগো, তুমি আজ তাই নীরবে কাঁদো।
তুমি কি জানো তোমার ভালবাসা তোমার হৃদয়ে বাঁচে তোমার হৃদয় হলো তোমার সমমর্মী তোমার সমমর্মী তোমার ভবিষ্যত
ছোটগল্প ছোটগল্প সাহিত্যের একটি শাখা (literary genre)। সাধারণত কল্পকাহিনীর বর্ণনামূলক গদ্য (fictional narrative prose) এবং উপন্যাসে (novel) তুলনায় অধিকতর সংক্ষিপ্ত এবং লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট। প্রথম ও শেষ অনুচ্ছেদে এই লক্ষ্যটির সুস্পষ্ট প্রকাশই একটি ছোটগল্পকে একাধিক পাঠের আয়ু দিতে পারে। প্রথম অনুচ্ছেদে বললাম কি বলতে চাই, গল্পের শরীরে সে অভিপ্রায় বর্ণিত হলো আর পরিশেষে কি বললাম তা সংক্ষেপে বলেই গল্প বলা শেষ করলাম।
গল্প
রাজকন্যা এসে দাঁড়িয়ে আছে তার প্রিন্সের সামনে। প্রিন্স হতভম্ব হয়ে দেখছে তার আজন্মের লালিত স্বপ্নের রাজকন্যাকে। তাকে দেখে প্রিন্স ভুলে গেল পৃথিবীর তাবত সৌন্দর্য্যকে।
কথিকা
একটা ছেলেকে আমি দেখতাম একটু অন্যরকম। আমি যখন ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম, ফাইন আর্টসের স্টুডেন্টরা আমাকে সবসময় আকর্ষণ করতো। ক্যানভাস, তাদের এলোমেলো চুল, আউলা ঝাউলা পোষাকের উদাস উদাস ভঙ্গী নিয়ে এরা চলাফেরা করতো। আমার খুব ইচ্ছে করতো ওদের মতো হতে।
লিলির ঘুম ভেঙ্গেছে অনেকক্ষণ হলো। সে শুয়ে থেকে জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে। আজ সকাল থেকেই আকাশের মন ভার হয়ে আছে। সারা আকাশ কাল মেঘে ঢেকে আছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে তার ঘুম ভাঙ্গার কিছুক্ষণ পর থেকেই। তার মন আকাশের সাথে সাথে রঙ পরিবর্তন করে।আকাশের রঙ নীল হলে তার মন অনেকটাই ভাল থাকে। .................................................................................... |