রহস্যলতিকা

চ্যবন দাশ


রহস্যলতিকা, আজ বসে আছো ভেবে
তোমার ঘূর্ণনরীতি কেন্দ্রাভিমুখে ছুটে আসছে
বারবার

ফলত তোমার যাপনরীতি কিছুটা স্থূল

জটিল রৈখিক
তাতে ঝুলে আছে তেলাক্ত ভ্রমণের কলা
এইবার ভেবে দেখা যাক
রহস্যলতিকার নামে কতবার ঠকিয়েছে
কতবার তাকে বসতে দিয়ে ঘরে

 

 

প্রতিকৃতি

চ্যবন দাশ


আয়নার সামনে মানুষের প্রতিকৃতি
কীরূপে জেগে ওঠে
তাতে কতটুকু আত্মপরিচয় উঠে আসে হাতে
দীর্ঘ রাত্রির ক্লান্তি কতটুকু ফুটে উঠেছে

নাকি প্রতিবিম্বে সহসাই ঝরে পড়ছে সব
নাকি সংসার বিমুখ ক্লান্ত মুখগুলো ফিরে আসছে
বাড়ি ফেরার আকুলতা নিয়ে

 

 

দ্বিধা

চ্যবন দাশ


বৃষ্টি পড়ার ফাঁকে ফাঁকে দ্বিধাগুলো
ঝরে পড়ছিল
তুমি হয়ত ভাবছো
এইসব দ্বিধাগুলো কতটুকু ছুঁয়ে গেছে আমাকে
কিংবা ভাবছো কোনো তুচ্ছ ভূমিকায়
আমি ফেটে পড়বো অতিকায়

আমার যাপনরীতি তোমাকে দোলাচ্ছে খুব
আজ পথে পথে হাওয়া, পাখিদের গান
আজ কোথাও যাব না বলে বৃষ্টি অনুরাগ
জানালার গ্রিলে মুদ্রিত হয়ে আছে দেখো
মৃত পাখিদের ডানা ঝাড়ার শব্দ
আর হাতে উঠে আসছে মৃত ঘাসফড়িং
তার ছেড়া ডানার দাগ