সম্ভাবনা

সৈয়দ আফসার

 

চৈত্রমাসে পলাশ ফোটে পাতার বর্ণ হয় ধূসর
ভ্যাপসা গরমে তৃষ্ণার্ত আমি কামনা করি বৃষ্টির
আশায়-আশায় স্বপ্ন জাগে তাকানো যে দৃষ্টিকাতর
ঝড়ের গতি বেড়ে গেলে গাছগাছালির করুণ সুর, মর্মর
বৃষ্টিতে কার না ভাল লাগে, ভাবনা জমা অষ্টপ্রহর
ছায়াকে যখন কামনা করি-হেসে ওঠে রোদের প্রখর
আবার যখন তৃষ্ণার্ত হবো ঢেলে দিও জলের আদর
চোখের জল শুকিয়ে গেলে জমা পড়ে লবণের স্তর

 

 



জিজ্ঞাসা
সৈয়দ আফসার

 

নিয়তি আমাকে প্ররোচিত করে হরহামেশা
জীবনের করাতকলে বেঁধে-
শব্দ আর ভাষার রকমারি প্যাঁচে আজো
রয়ে গেছি আমি অবোধ বালক
ওগো প্রত্নতাত্ত্বিক, মাটি খুঁড়ে বের করো
অজ্ঞাত করোটির কিছু পাথর আর শিলা
ওগো হৃদরমণী, হৃদতাত্ত্বিক ভাষা দিয়ে
হৃদয়ের দাবিটুকু আজো কেন ফোটাতে পারোনি
 

গ্লানি
সৈয়দ আফসার

 

গাছেরও নিদ্রা থাকে, পাতার থাকে ওড়ার সাধ
রোদের থাকে হাসির ঝলক, ছায়ার থাকে মায়া
তাই রোদের গায়ে মিছে আছে ছায়া হয়ত নিরাশ্রয়ে
শেকড়-বাকড়ের সংশয় ছিল আগে, এখনও জাগে-
ঝড়ের গতি বেড়ে গেলে
কিন্তু মেঘের গর্জনে কখনো আকাশ ফাটেনি
গাছের নিদ্রা আরো কিছুটা বাড়ে
মেঘের কষ্ট আছে বৈকি, আমার চোখে গ্লানি