বাতাস বুঝেনি ডানা

সেজুল হোসেন

একটা পুষ্পিত স্বপ্ন দ্যাখে
বাতাসেরও সাধ জাগে আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়াই-।
স্বপ্নকাঠামো স্থির রেখে জমে যায়
চোখের সবটুকু নীল
মাথা উঁচু করা মুহূর্তে মনে পড়ে
গন্তব্যের ফেলে-আসা দীর্ঘশ্বাস
মৃত্যু হলে মেঘ, ভুলে যাই অপঘাত, পাঠ করি দ্বন্দ্বের
নিরল সন্তরণ?
তখনও রূপ ছেড়ে দাঁড়ায়নি অন্ধকার
তখনও রূপ বুঝে ওঠেনি আলো
একমুঠো আলো অন্ধকারে ছুঁড়ে দিলে
ঝলসে ওঠে পথ, পথের কিনার!
তখনও আবরণ খসে পড়েনি ডানা-
তখনও ডানা বুঝে ওঠেনি বাতাস।
তাই অন্ধকার ছেয়ে নিলে সমস্ত আলো
জেগে ওঠে চিৎকার, উড়ে আসে নতুনের দিকে
পুরাণের কৃষ্ণপদছাপ।
 

 

 

 

শিকড় থেকে দূরে

সেজুল হোসেন

তুমি শিকড় থেকে সামান্য দুরে আছো ঘুমহীন।
তোমার চোখে রক্ত আছে কালো, পুঁজ আছে নীল,
পোড়াক্ষতের মতো বেদনা আছে, তাই
ভালোবাসার স্তব্ধ জ্বলন বুঝো না।
পাহাড়ে হ্রদ ছিল গোপন, হ্রদের ছিল ঢেউ
ঢেউয়ের কৃত্রিম ডাক মেঘ জানে, রোদ জানে
তুমি জানো না।
তুমি শিকড় থেকে সামান্য দূরে।