সংলাপ ৭
সৈয়দ নীরব

বিজ্ঞাপিত করি বিমল প্রস্তাবনায় নিগূঢ়ের অতলান্তে আমার
হারানিয়া গান; সে তো লাবণ্যের সংস্পর্শে তলানির সঙ্গীত
চৈতন্য জাগরিত হলে দেখি বড় বেশি একা, পশ্চাতে নিপুণ
এ হস্ত রিক্ত, ব্যাকুলিত

জানি যায় পাতা হস্ত দুরন্ত ওইখানে ঐশ্বর্য্যে যে আমাকে
ভুলায় সংস্রবে তার এ হৃদয় হরষে পাপড়ি মেলে সে অঢেল
প্রজ্ঞাবান, খুশিতে আমি যার মরণ ঢাকি
পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে যে রিক্ততার
কথা প্রকাশিত হল আমূলে দেখি তার নেই পথ... কতিপয়
পতঙ্গ জাগি ... একটি আবর্তে বারেক খাই ঘুরপাক
আর কিঞ্চিৎযাদের প্রাপ্তি ঘনায় দয়িতার ইচ্ছে পূরণে
হই অপারগ সে ছুঁতোয় হই বেদনায় নীল; সে-সুবাদে
বিবর্ণতা এসে হুল ফোঁটায় সমূহ অবয়ব দৃষ্টি সীমানায়


 

 

 

 

 

খোলা চিঠি
সৈয়দ নীরব

উন্মত্ততা কালান্তরে পেয়ে গেলে ভাষা
রোধের সাম্পান ভিড়ে মন যমুনায়, আগে না
জানি নচেৎ বধিরের ভূমিকায় হতো বাতচিঃ
অভিমানে যাবে সে বালক ... আমি জ্বলিনি
কামনা-জলে

আর প্রাপ্তি ঘটে অন্য কিছু অন্য সুরায় সে
পঙ্খি মন-মনিয়া, ওই সুদূরের টান বাজে
বেহালায় এমনি বিড়ম্বনা সখা বড় দুখ্
মনে স্রোতস্বিনী জলে ভেসে যাবে যত
ভেলা অধমের লাশ হবে লখিন্দর