আকাশ কেন নীল?

লীমা জামান শিল্পী

 

জানি সাত ভাই বোন আলাদা করে ভাবে আব্বা আসলে তাকেই বেশী ভালবাসতেন। ভাবনাটা এতটাই সঙ্গত কারণ আব্বা প্রত্যেককে বিশেষ বিশেষভাবে ভালবাসার ক্ষমতা রাখতেন। ঐ অর্থে ডায়রি লেখা কখনোই হয়নি, সময় সুযোগ পেলে যতটা প্রাণ খুলে গেয়েছি সে তো কেবল বাবা মা ভাই বোনদের ভালবাসার জয়গান। আব্বার চলে যাবার পর সে কলমকন্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেছে। হঠাত আমার ছোট ভাই সাগর অনুরোধ করলো আব্বাকে নিয়ে কিছু লিখতে। অমনি বুকের মধ্যে বেদনা হয়ে বেজে উঠলো ‘গোপন কথাটি রবেনা গোপনে।’ কি লিখবো? আব্বার ছবির দিকে তাকাতে না পেরে লুকিয়ে কাঁদি। কেউ আব্বার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে মনে মনে ভর্তসনা করে বলি ‘বাবার মৃত্যু’ এ কথাটি বলতে আমি বাধ্য নই।

এই হাত দুবার আব্বার শয্যায় ফুল দিয়েছে আর ভেবেছে কবর শব্দটা এত নির্মম কেন।কি লিখব ছোটবেলার স্মৃতি, সেসব তো কাগজে ধরে না।

এবার মাগুরা থেকে ফিরে পণ করেছি কারো সামনে কাঁদবোনা। কথায় কথায় চোখে সাগর বইয়ে দেওয়া নাকি আমার ছোটবেলার স্বভাব। এখন তো বড়ই হয়ে গিয়েছি। কেন মিছে কাঁদি? আর বাড়ি যাব না। প্রতিবেশীদের  প্রশ্ন মাকে, ‘খুব হোমসিকনেস বুঝি, এত দূর থেকে মেয়ে আসে।’ মা’র উত্তর, ‘সিলেট তো বাড়ীর কাছে আপা, এই মেয়ে বিদেশ ছেড়ে ছুটে এসেছে বাড়ীর টানে।’

মনে পড়ে রাশিয়ায় যাবার আগে হঠাত শোনা গেল আব্বা আমাকে সী অফ্‌ করতে ঢাকায় যাবেন না। আব্বা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন আর বলছেন ‘আমার জানের টুকরো চলে যাবে, আমার সাথে আর দেখা হবে না।’ আমি হতবাক। আব্বার রাগ আর হাসি দেখেছি। কখনো কান্না নয়।আমার ও ইচ্ছে হচ্ছিল আব্বার সাথে কাঁদবার কিন্তু আমি ওনার হার্টের অসুখের কথা ভেবে শক্ত হয়ে বললাম, ‘আমি তো পৃথিবীর বাইরে যাচ্ছিনা, দেখা হবে না কেন।’ সত্যিই আমরা সাত ভাই বোন আব্বার প্রাণের এক একটা খন্ড ছিলাম। প্রতিটা টুকরোই সমান প্রিয়।

মা’র অভিযোগ ছিল আব্বা মেয়েদের অতি আদর দিয়ে মাথায় তুলেছেন। অথচ আব্বার প্রশ্রয়ের সুযোগ কখনও নেইনি। কিছু ব্যাপারে আব্বা ছিলেন রক্ষণশীল। ফ্যাশনের আবদার মেনে নিলেও আমাদের দৌড় ছিল শুধু ছোট ফুপুর বাসা পর্যন্ত। একটা প্রচ্ছন্ন ভয় কি কাজ করতো? ঠিক ভয় নয়, আব্বা কষ্ট পেতে পারেন একথা ভেবেই জীবনের বড় ভুল অথবা শুদ্ধগুলো করা হয়নি।

অপারেশনের পরে যখন প্রতিদিন ব্যান্ডেজ বেঁধে দিতাম, মা বলতেন, ‘মা তুই ডাক্তার হলে ভালো করতি। দেখ্‌না তোর সেবা ছাড়া আমরা কেউ সুস্থ হইনা। আব্বা বলেছিলেন, ‘আমার মা আমাকে বুকপিঠ দিয়ে সেবা করে বাঁচিয়ে তুলেছে।’

ক’দিন আগে আমার সাত বছরের ছেলে সুপল পেটে হাত দিয়ে বলছিল, ‘মামণি , আমার হার্টে ব্যথা করছে।’ ওকে বললাম, ‘বেশী খেয়েছো তো তাই। একটু কম খাও, তা না হলে নানা ভাইয়ের মত অপারেশন করতে হবে। ও বললো ‘নানা ভাইয়ের বুকে এত লম্বা দাগ ছিল কেন?’ আমি বললাম, ‘বাবু তোমার হার্ট পেটে আর নানা ভাইয়ের হার্ট ছিল বুকে। ওটা হার্ট অপারেশনের দাগ।’ খুব অস্থির হয়ে মনে মনে ভাবলাম, উহ্‌ বাবু এত প্রশ্ন করে কেন!

পৃথিবীটাকে হেসে হালকা করে রাখার ক্ষমতা বুঝি ইশ্বর আব্বাকেই দিয়েছিলেন।বাইপাস সার্জারির পর একদিন মাঝরাতে বুকের ব্যথায় আব্বা উঠে বসেছেন। আব্বার কষ্টে আমি দিশেহারা। ছোট বোন কেকা আব্বার পিঠ টিপে দিচ্ছে। হঠাত আব্বা হাতের ইশারায় আমাকে কাছে ডেকে ফিসফিস করে বললেন, ‘শী ইজ স্লিপিং।’ বেচারা কেকার কান্ড দেখে আমি হেসে ফেললাম। হাসির তোড়ে আব্বার জন্য আনা ওষুধ আমার হাত থেকে পড়ে গেল। আমার হাসি দেখে আব্বাও প্রচন্ড ব্যথা বুকে চেপে মধুর হাসলেন।পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হাসি।  এমন করে কেউ কোনদিন হাসেনি।

হারিয়ে যাওয়া জিনিস খুঁজে দেয়া, ভবিষ্যত বলার চেষ্টা করা আমার একসময়ের খেলা ছিল। অথচ আব্বা মা আমার এ ক্ষমতাকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করতেন। ওনাদেরকে খুশী করতে বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনের কাজটিও অস্বস্তি নিয়ে করতে হয়েছিল।

আব্বার অপারেশনের সময় আমাকে বন্ড সই দেয়ার মত কঠিন কাজটিও করতে হয়েছিল। হাতের লেখা ভাল এই অজুহাতে আব্বা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ  আমায় দিয়ে করিয়ে নিতেন। কি ভীষণ রাগই  না তখন করতাম!

একদিন মা’র বেতনের পুরো টাকাটা হারিয়ে গেল। কোথাও পাওয়া গেলনা। সবাই ঘুমিয়ে গেলে অনেক রাতে টাকা খুঁজতে শুরু করলাম। চোর টাকাগুলো এমন জায়গায় রেখেছিল যে সেখানে উঠে আমি আর তা নামাতে পারছিলাম না। রুমালে বাঁধা টাকাগুলো ধরে আমি কাঁপা গলায় আব্বা আব্বা বলে চিতকার করছি। আমাকে নামিয়ে উনি আমার হাতে চুমু খেয়ে বললেন, ‘ওরে আমার তিন তেঁতুলে বালি।’ অমনি রেগে গেলাম। আমি বললাম, আমি কোন আলৌকিক ক্ষমতার বলে হারানো জিনিস পাইনা, বুদ্ধির বলে পাই। মা হেসে বললেন, ‘তিন তেঁতুলে বালি বাপের ভিটে খালি।’ আমি বললাম , প্লিজ এই নামটা বলবেন না। অসহ্য লাগে শুনতে। বাপের ভিটে খালি এর মানে কি? মা বললেন, তিন পুত্রের পর যে কন্যা জন্মায় সে বাপের ভিটে খালি করে সব সৌভাগ্য সঙ্গে নিয়ে যায়। আমি বলেছিলাম তখন , ‘এই জন্যেই তো বিয়ে করবো না। আমার আগে তিন, পরে তিন, আমি হলাম মধ্যমণি।’

আমার জন্মের পর ঘরের দরজা দিয়ে বের না করে ঘরের দেয়াল কেটে আমাকে সূর্যের আলোয় আনা হয়েছিল পাছে ঘরের লক্ষী দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। আব্বা নাকি পাড়ায় পাড়ায় বড় বোয়াল মাছ, তেঁতুল বিলিয়েছিলেন। এই উদ্ভট গল্প শুনতে শুনতে আমার কান ঝালাপালা। কোন  ভাল কাজ করলেই আব্বা, মা ঐ অসহ্য নামে ডাকেতেন। একদি খুব রেগে গিয়ে গ্রাম্য সেন্টিমেণ্ট বলে মন্তব্যও করেছিলাম।

আজও যখন মা তিন তেঁতুলে বালি বলেন আব্বার কথা বড্ড মনে পড়ে। এখন আর রাগ হয় না। নিজেকে শূন্য মনে হয়। আজও হয়তোবা মা বারবার চাবি হারান আর আমার কথা মনে করেন। তবুও মাগুরা যাবোনা। কার কাছে যাবো?

রাগ করে খেয়ে না থাকলে লম্বা লম্বা পায়ে কেউ সিঁড়ি দিয়ে উঠে এসে এখন আর বলবে না, ‘মা জননী, মহারানী খেয়ে নেন।’ রীতিমতো জোকার সেজে নেচে গেয়ে কেউ বলবে না, ‘ওমা শীতলা দেবী, আপনি রাগ করলে গৃহস্থের অমঙ্গল হবে, পেন্নাম পেন্নাম...।’ তখন হেসে ফেলতাম । আর আজ সেই হাসি আমার অশ্রু হয়ে ঝরে।

কতবার মনে হয়েছে আব্বাকে এত ভালবাসি তবে ‘তুমি’ করে কেন বলি না? আব্বা আমাকে পাগলা বলে ডাকলে মনে মনে খুশী হতাম এই ভেবে পাগলী বলে যখন ডাকছেন না মানে আমি মেয়ে নই, আমি ওনার ছেলে। মেয়ে হতে যে চাইনে। মেয়ে মানেই তো শ্বশুরবাড়ী, মানে পর হয়ে যাওয়া। কতটা ছেলেমানুষ ছিলাম তা এখন বুঝি!

কত অভিমান কত শক্ত শক্ত পাগলামির গল্প যে আছে আব্বাকে ঘিরে। একদিন রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে চিতকার করছি। আব্বা ছুটে এসে বিড়বিড় করে কি যেন পড়ে ফুঁ দিলেন। আব্বার বুকে মাথা রেখে তখন হাসছিলাম আর ভাবছিলাম আব্বা আসলে কোন দোয়াই পড়ছেন না। তবুও আব্বার কন্ঠস্বরে সব ভয় পালিয়ে যেত।আব্বার স্পর্শে সব অসুখ যেন সেরে উঠতো।

সেদিন নামাজ পড়ে খুব কাঁদছি। আমার স্বামী অপু বলল, ‘একটু শান্ত হও প্লিজ, আর কেঁদো না। বাবা তো সৌভাগ্যবান যে তোমাদের মতন সন্তান রেখে গেছেন। আমাদের কথা ভাবো, আমাদের সন্তানেরা কি এভাবে আমাদের মিস করবে?’ এখন স্বাভাবিক হয়েই তো আছি। কত কি রান্না করি, কিন্তু আব্বার পছন্দের খাবার আর খেতে পারিনা, গলায় আটকে যায়। তবুও আর কাঁদিনা কারো সামনে।

আব্বা খেতে আর খাওয়াতে খুব ভালবাসতেন। হঠাত হঠাত আব্বার মত স্বভাব যেন নিজের মাঝে টের পাই। পায়ের উপর পা তুলে শুয়ে আছি আর মনে হয় আব্বা যেন ডাকছেন ‘জমিদার কন্যা!’

দুহাত পিছনে বেঁধে যখন হাঁটি মনে পড়ে আব্বাও ঠিক এভাবে পায়চারী করতেন।

কান্নার পাশাপাশি হাসি আমার ছোটবেলা থেকে সমান তালে চলতো। এই হাসি এই কান্না। হঠাত মুখ ভার দেখলে আব্বা বলতেন, ‘এই দেখিলাম সোনার ছবি , আবার দেখি নাইরে।’

ছোট্ট বেলার সেই হাসি রোগটা কেন আবার ফিরে আসে না? এখন যে শুধু কান্নার স্রোতে ভেসে চলেছি। চোখের জলের রঙের নাম কি? জল রঙ? কি জানি। জলরঙ দিয়ে মানুষ কত ছবিই না আঁকে। আর আমি? আমার বুকের ভেতর সেঁটে থাকা একটি ছবির প্রতিরূপ দিতে পারছি না কিছুতেই। সেটি হলো আব্বার শেষ হাসির দৃশ্য। আঁকতে পারছিনা নিথর শরীর শান্ত মুখের মুচকি হাসিটুকু। এই মধ্যরাতে জলরঙে ভিজছে কাগজ তবু ভেজা কাগজটায় কি দুর্বোধ্য এক ছবি আঁকবার চেষ্টা।

মনে পড়ে একদিন খুব আদর করে আমি ডাকছি আব্বা, আব্বা! খুব ব্যস্ত হয়ে আব্বা সাড়া দিলেন। আমি বললাম, আব্বা আমি আমার ছেলেকে ডাকছি।আব্বা বললেন, ‘অরিত্রদা, আপনি আমার আসন দখল করেছেন।’  আমার ছেলে সুপলকে আব্বা অরিত্রদা বলে ডাকতেন। কোথা থেকে গুলতি আর তীর ধনুক এনে দিতেন। ওকে মুখে তুলে খাওয়াতেন। আমার ছেলেটাও আব্বার মত ভোজনবিলাসী।

যেদিন আব্বা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন সেদিন সকালে ওনার সাথে ফোনে কথা হলো। উনি বার বার বলছিলেন, ‘তুই কবে আসবি মা?’ আমি বলেছিলাম, ‘আমার ছেলের পরীক্ষা শেষ হলে আসবো।’ উনি খুব বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, ‘তোর ছেলের পরীক্ষা কি কোনদিন শেষ হবে না?’ আমি কাঁদছি আর মা আমার মিথ্যে করে বলছেন, ‘তোর আব্বা ভালই আছেন।’

আমার ছোট বোন শিখার বাসায় আব্বার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল। আমায় যতবার দেখতেন ততবার অভিযোগ করে বলতেন আমি নাকি শুকিয়ে গেছি। অথচ ওদিকে ওয়েইং মেশিন আমার ভার নিতে পারছে না। ঐ দিন আব্বাকে মুখে তুলে খাওয়ালাম। ওনার অসুস্থ অবস্থা অথচ সবার একসাথে হওয়াটা সেদিন যেন উতসবে পরিণত হলো। এতকাল পর আমার মাথার একটা চুল পেকেছে এ খবরটা আমি সবাইকে দিলাম।সবাই হাসছে।আব্বা আস্তে করে বললেন, ওর তো মাথা গরম, তাই...। কেউ একজন ঠাট্টা করে ওনাকে বলছিল, ‘আপনার মেয়ের বয়স বায়ো কি তেয়ো। ওর ছোট ভাই বোনদের একগাদা চুল সাদা হয়ে গেছে।’ তখন আব্বার বুকের ওপর হাতটা রেখে আমি হাসছি আর কাঁদছি। আমার কান্না  কেউ খেয়াল করছে না। করলেও কান্না দেখার অভ্যস্ত চোখ কাউকে অবাক করতো না। হয়তো ভেবে নিত চুল পেকে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় আমার এ কান্না।

আজ বিকেলে সুপল মোম রঙ দিয়ে ছবি আঁকছে আর জিজ্ঞেস করছে , মামণি, আকাশ কেন নীল? হঠাত মনে পড়লো নীল রঙ ছিল আব্বার পছন্দের রঙ। দীর্ঘ দিন পর ছাদে গেলাম। বিশাল ছাদ বিশাল আকাশ। কিন্তু কই আকাশতো নীল নয়! সবকিছুই তো চলছে স্বাভাবিক ভাবে তবু আকাশের রঙ কেন নীল নয়? ধূ ধূ ধূসর আকাশ। ধূসর মেঘমালা। ছাদ থেকে দ্রুত নেমে এলাম।আমার দেখা নীল আকাশ আর মনে করতে পারলাম না। চোখের সামনে ভেসে উঠল আব্বার নীল ব্রাশ আর চিরুনী। মায়ের নীল শাড়ীটাও। কোথাও নেই নীল আকাশ। দরজা বন্ধ করে আলমারীতে তুলে রাখা এ্যালবামটা দেখলাম। নাহ্‌। একদম বদলায়নি আব্বার ছবি অথবা ছবির আব্বার অমলিন হাসি। আমাকে লেখা আব্বার চিঠিগুলো। চিঠিগুলো বুকে ধরে সন্তর্পণে আঁচলে চোখ মুচছি, এমন সময় বাসার অন্যরা দরজার কড়া নেড়ে আমায় ডাকছে, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যাবার জন্য। মনে পড়ে গেল, খুব ভোরে আমি আর আব্বা স্বাধীনতা দিবস এলে বাড়ীর ছাদে পতাকা ওড়াতাম। গর্বে আমার বুক ভরে যেত এই ভেবে যে আমার পাশে বাবা নামক মানুষটি একজন যোদ্ধা, যিনি ভাষার জন্য জীবন বাজি রেখেছিলেন। তিনি আমার অহংকার। দরজায় ওরা কড়া নেড়ে চলেছে। রেডি হয়ে নাও, অনুষ্ঠানে যাবে না? এতক্ষণে আমার ভেতরের গোঙ্গানী যেন চিতকার করে বললো,

দোহায় তোদের একটুকু চুপ কর

কাঁদবার আমার দেনা অবসর।

অনুষ্ঠানে যাওয়া হলোনা। সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত গভীর হলো। লিখতে বসলাম। যেন লেখা নয়, অশ্রুজলে একটি হাস্যোজ্জ্বল চিত্র আঁকবার ব্যর্থ প্রয়াস।

মায়ের চেয়ে বড় হয়তো কেউ নেই। তবুও বারবার মনে হয় আব্বা ছিলেন মায়ের অধিক। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে, হে পিতা তুমি  ছিলে আসলে প্রাণাধিক!

২৭-০৩-০৮