সবার বিপরীতেই থাকবো; সকল আরাধ্যকেই অবিশ্বাস করি এবঙ করবো;

আমি জানি তারপরও প্রিয়তমা আমারই থাকবে...

 

 

রঙবাহার

লাল নীল সোনালী আগুন, শরীরের হলুদ ঘৃনা
ইর্ষার রঙ ঠিক মৌলিক নয়, সবুজ রঙের বাসনা
দু:খের রঙ সব! ভালোবাসার কোন রঙ হয় না


২০.১২.০৭

 

 

অর্ধচেতনা

আর সব নৈরাজ্য। নিরর্থক আষ্ফালন; বোধের কাঠগড়ায়
কেই নেই; থাকবে না। থাকে না;
কেবল দীর্ঘশ্বাসের শব্দ পলায়নপর সময়ের কুঠরিতে
ইতিহাসের অর্ধসত্য পাঠ মিথ্যার চেয়ে ভয়ঙ্কর

২৯.০২.০৮

 

সূর্যের একচ্ছত্র অধিকার অস্তের পূর্বে

 

বাকী ছিলো ফের জানলার কার্নিশে সঙ্গমোদ্যত আরশোলার চোখের জ্যোতিতে
সময়গ্রন্থির বিরামহীন উদ্ভাসন;তোমার শাড়ির আঁচলে ইতিহাসের
যে দিনলিপি লেখা আছে বিদ্যমান গোধূলী দিয়ে তাকে যদি পারো
রাঙিয়ে দাও;সামনে অধীর সান্ধ্যকালীন অন্ধকার। চায়ের কাপে পিপঁড়ের
কোরাশ সঙ্গীত; অমর কাব্য হাতে দাঁড়িয়ে হে অনন্ত অনল,কার্নিশে
অপেক্ষমান ঐ পুরুষের আকাঙ্খা কি তুমি জান না? প্রেমিকার
শাড়ির বিরুদ্ধতা এখনও যে ভুলে নাই। দিন শুরু হয়ে যায়,রাত্রির আগে
সূর্যের একচ্ছত্র অধিকার অস্তের পূর্বে অন্তত একবার ইতিহাস থেকে উঠে
এসে প্রমান দাও আসলে গোধূলী টধূলী কিছু না,তুমি,শুধু তুমি নারী,যদি
এসে সামনে দাঁড়াও আঁচলের আচ্ছাদন খুলে
মুহূর্তেই বর্তমানের শরীর থেকে কালো-কপোতের দুঃস্বপ্ন যাবে কেটে-

 

২০.১২.০৭.

 

বিস্ময়

 

হারানো শহর জাগে তোমার স্তনের বিন্যাসে; সমুন্নত এখনও আছে যেমন
কোন কোন প্রত্ন-নগরী মহির আড়ালে মহিমান্বিত। (নিজেকে প্রনয়লব্ধ
জীবনের হরিত উদ্যাণে কেবলি ধূসর লাগে)ওষ্ঠের রেখা প্রাচীন
নৃত্যকলায় দক্ষ আর বঙ্কিম গড়নে, মহাকাল মহানিদ্রা ভেঙ্গে সেই ওষ্ঠে
রেখেছেন চুম্বন। চিত্রকল্পে বুনেছি কবি ও কবিতার স্বাদ;
রসায়ন জানা নেই কোষ আর কোমলের;
তোমার গৌড় বার্ণাঢ্য অতীতময় শরীরের বিধিরহিত ছন্দরতির
আকাঙ্খা তুমুল বিস্ময় জাগায়।

তুমি সমুদ্র হও- তোমাকে ভাসাই ডিঙি যন্ত্রণাকাতর
তুমি ত্রিনদী সঙ্গম হও- তোমাকে নোঙ্গর করি রতি ছন্দের

২১.১২.০৭

 
 

 

আমি সেই চৈতন্য জাগরুক পাখি

নীল মানে তোমার দিকে ছুটে যাওয়া
আমার বিনিদ্র কবিতারাশি
দীর্ঘ জাগরণে ক্লান্ত- তুমি একবার স্পর্শ করো
বিনিময় করো তোমার সকাতর ওষ্ঠ
চোখের প্রলুব্ধ ইশারায়
কবিতারা পাখি হয়ে উড়বে আকাশে
তোমার নামে গেয়ে নেবে শ্রাবণের গান

আমি সেই চৈতন্য জাগরুক পাখি; তোমার সুমহান
স্পর্শলালিত থরোথরো প্রেম;

০৩.০১.০৮

 


 

 

 

 

 

     
 

দ্রোহে

১.
দখলদার বিশ্বাস
দখলদার বিশ্বাসের কাছে সুন্দর স্বপ্নরা আজ
বিবস্ত্র হয়ে আছে; ইতিহাসের দুষ্ট প্রতিভার সুপরিকল্পিত
চক্রান্তে বিপন্ন যৌক্তিক বোধ। মুল্যবান সময়গুলো-
যে সময়ে সময়কে সাজানো যেতো
কৃষ্ণচুড়া ডালের মতো- পূর্ব-পশ্চিমে খোঁজে অশালীন সুখ।
মধ্যযুগের ঔরসজাত অসত্যের অযৌক্তিক
পবিত্র অঞ্চলে সুগন্ধী শশ্রু সমেত
অথবা মুন্ডিত মস্তক মুখ অথবা...
নিয়ত উচ্চারণ করে চলে অশ্লীলতম বাক্য;
ধেই ধেই করে ছুটে আসে নষ্ট মেধার কতক কুকুর।

ইঁদুরের মতোন জ্যামিতিক প্রজননে এইসব কুকুর বড়ই পারদর্শী

 

২.
প্রদীপ্ত শপথেরা শ্রেফ জ্বলজ্বলে দেওয়াল লিখন

চৈতন্যজুড়ে নেমেছে সন্ধ্যাকাল
আবহমান গোধূলী ভুলে
মগজে
কারফিউ
নামে;
সময় বন্ধ্যা-
সূর্যস্নানে মেলেনা উষ্ণতা
প্রদীপ্ত শপথেরা শ্রেফ জ্বলজ্বলে দেওয়াল লিখন
যখন সূর্য উঠে।

১৬.১০.০৮

 

 
     

কখনও বৃষ্টির বিকেলের কথা

 

 

নাগরীক দুপুরে ভিজে যায় ঋতু; দোকানপাট, গোস্ত কাটার ছুরি,
পথে হাঁটা পথ কখনও কখনও ভেজে বৃষ্টিতে। দেবদারুর মতোন
উর্ধ্বমুখে তাকিয়ে কখনও কখনও ভিজে চলে একটানা একটি মানুষ;
-মানুষ, তুমি কি দাঁড় কাক? তুমি কি বিদ্যুতের ধাতব থাম?

জৈষ্ঠের বিমুগ্ধ বিকেল লজ্জিত নারীর মতোন রক্তিম চিত্রকল্প আঁকে
পশ্চিমের দিগন্তে। গোধূলীতে মিশে যায় কাঠাল পাতা,
গয়াম গাছে বাসা বাঁধা দোয়েলের স্বর, সুউচ্চ দালানের চুড়া;
কোথাও কোন শব্দ মিশে গেছে বলে, মনে হয়, অনন্ত গোধূলী;

বৃষ্টির জলে ফসল শেষের ঊষর মাঠ ভিজে বোনে সবুজ কার্পেট;
বৃষ্টির জলে শহুরে কাদায় কিলবিল করে দৈনন্দিন ব্যস্ততার স্তুপ;
বর্জ্য আর মজা- মশকের ডিম পারা- পানির সাবলিল ধারার মধ্যেও
তাই কখনও কখনও বৃষ্টির বিকেলের কথা মনে পড়ে গেলে

নাগরিক যন্ত্রণা ঝেড়ে ফেলে মানুষ ভিজে চলে অঝোর বৃষ্টিতে

 

২৭.০৫.০৮

 

একমুঠো অন্ধকারের চিত্রকল্প

 

 

মৃত্যুর গন্ধের মতো অভিশাপ বেড়ে ওঠে দেওয়ালের প্রান্ত বেয়ে।
হৃদয়ে সুগন্ধী রুমাল মেখে দুঃসময় এড়াতে চায়
ওপাড়ের বিষন্ন শালিক; বিক্ষুব্ধ একদল পেঁচার শরীরে ‌'অন্ধকার'
তোলা ছিল বলে বিপন্ন হ'ল মশরুম জাতি। উদাসীন শ্যাওলাও নামে
জবরদখলের খেলার মাঠে। মাতৃস্তন চোষা জিহ্বায়
মাতৃ-রক্তের আকাঙ্খা জাগে অগোচরে। শ্বাপদের মতো
ধুর্ত হয় হাত ও পায়ের নখগুলো। অব্যর্থ
ব্যর্থতা বারবার ফিরে আসে প্রেম ও প্রেমির কাছে।
নতজানু কাশের সামনে এসে ভীড় করে নতজানু একদল পুষ্ট মানুষ;
পুরুষ লিঙ্গের কাছে হাত রেখে বলে-- ক্ষমা কর, ক্ষমা কর...
আদিম বাসনা নগ্ন হয়ে হাসে শুভ্র শাড়ির আড়ালে এবঙ পুরুষ
খুশি হয়ে চলে যায় বিধবার কাছে ক্ষমা নিতে। পাথর ফেটে জল অথবা
মন্দিরে সাপ উঠলেই অলৌকিক ঈশ্বর প্রকাশিত হ'ন। দল বেঁধে
পুষ্ট মানুষ সব নতজানু হয় আবার অন্ধকারের কাছে।

 

১৬.০৭.০৮

     
 

তোমার আর্ত আহ্বানে অবিশ্বস্ত বিশ্বাসের কাছে ফিরে যাওয়া-;
 


নগরের অনুর্ধ পুরুষেরা সড়কে ধারে বসতি গড়ে। প্রাসাদ তৈরীর মতো হিরা-মানিক্যের ঝনঝন শব্দ ওড়ে। শুভ্র সফেদ মন এই শতকের নতুন তৈলচিত্র। আমাদের শহরের নাগরিকদের চারপাশে এইসব সফেদি দিল্ এর বেশ কিলবিল।

প্রচ্ছন্ন ইচ্ছাকে মাড়িয়ে ভাববাদে দীক্ষা নিতে ইচ্ছে হয় যখন তুমি কটাক্ষ ছুঁড়ে দাও। এবং সফেদ উপনিবেশ আমাকে অনুপ্রেরণা জানায়- বিশ্বাস বিশ্বস্ত।

অর্থ-অনর্থের মাঝামাঝি নগর, রাষ্ট্র- সভ্যতা নামক এই বিরাট উপসর্গে অ প্রত্যয় যুক্ত নেতির ঔরসে প্রশ্নের জন্ম হয়-

বিশ্বাস কি বিশ্বস্ত?

০৫.১১.০৮