......................... | কুড়ানো মাশুল কুড়িয়ে যদি নাও আর্ত চোখে কিছু তো হাল্কা হবে— অন্তত একদিন পাহারা দেব হৃদয়হীন মনের জোর বাকিতে আপাত একদিন হলেও হৃদয় সম্বল আর যা হবে সবই ভাবব ইচ্ছামৃত্যু ভুলের মাশুল *** জলফুল চোখের পাতায় জমেছে স্মৃতিক্লান্ত ভুল ফলে আগে-পিছে জমেছে বিন্দু বিন্দু জল তুমি বলো : চেয়ে দেখো ফুটেছে জলফুল তুলে আনতে দেখি গেঁথে নিয়েছ খোঁপায় তাই চুলে ঝরছে জলফুল; জলে ভাসছে নাকফুল পীতি তুমি যখন ছিঁড়ে নেবে জল, আমি গুনে রাখব যত দুর্গতি *** কাঙ্ক্ষা তুমি নীল আকাশে চেয়ে থাকো অবিরত আমি মেঘের গর্জনে কান পেতে বসি ধুলোরঙে হাওয়া বয়ে চলে—তবু বৃষ্টি হয়নি তাই দরজার পাশে দাঁড়ানো একমুঠো রোদ পেখম মেলে যদি ঘুম ভেঙে যায়, তারা গুনে জমা রেখো হাতে *** |
আবছায়া জলে ভাসে জল, চোখ হয় লীন রহস্য ঘিরে রাখো সব স্থির থাকে মায়া রাত্রি গভীর হলে ঘুরে আসে যে-মুখ সে কি তুমি? দক্ষিণে সমুদ্রমহাল, উত্তরে আবহাওয়া *** স্রোত তোমার কাছাকাছি এল আমার কাগজের নৌকা স্রোতের বিপরীতে বৃষ্টি আর একটুকরো মেঘ আর আমরা যারা স্বপ্ন ভেঙে হতে জেগেছি দেখি ক্ষয়িত মুখাবয়ব আর জ্যামিতিক রূপে প্রবাহিত সব মেরুকরণের শুভ্রতা ঘিরে, আর স্পর্শের বিষণ্ণতায় অভিষিক্ত আমি ইন্দ্রিয়পথে মিশে গেছি সীমাহীন কিনারে *** অন্ধ চোখ বুঁজে অন্ধের ভান ধরে থাকি দেখি অন্ধ হলে চোখ কোথায় পালায় হাতের আঙুলগুলো প্রসারিত হলে দেখি নিশ্চুপ তুমি—দাঁড়িয়ে-থাকা গাঁদাফুলের টবে অন্ধকার নীরবতায় ঢাকা দূরে রঙ-তুলি জলে কাটে জল—ডরভয় জাগে শরীর মৃদু কাঁপে চোখ খুলতে ভয় হয় চোখ যদি ফেটে যায় জলের তাপে *** |
মুহূর্তমন্দিরা - সৈয়দ আফসার