সবুজ
অর্কেষ্ট্রা
ক.
পৃথিবীর
দুরহতম
আকাঙ্খার
কাছে
এইভাবে
নিমজ্জিত
হয়ে
থাকে
আদিম
কল্পণার
অনুপ্রাস;
হে
সময়,
হে
অনুচ্চারিত
প্রেম,
কোথায়
গিয়েছে
চলে
আমাদের
জানু
আর
জঙ্ঘার
বিবিধ
উচ্চারণ?
তরল
জ্যোৎস্নার
মতো
বিষাদের
কাছে
(নিয়তির
কাছে?)
ক্লান্ত
মানুষের
বোধের
পরাজয়
ঘটে।
রাত
আর
অন্ধকার
এরকম
ভাবে
টিকে
থাকে
মস্তিস্কের
কোষে
কোষে;
খ.
ভুল
বিন্যাসে
লিখিত
পংক্তিমালার
সঙগে
সহবাসের
আকাঙ্খা
জাগিয়ে
রাখেন
নব্য
কবি;
বিস্তার
করে
চলেন
শিল্পকলাহীন
কবিতার
স্তুপ
তিরিশি
পঞ্চক
আবার
আসবেন
কি
আমাদের
এই
হিনমন্য
কবিতার
উপত্যকায়?
বুদ্ধদেব
কি
সুধীন্দ্রনাথ-
উঠপাখি,
জল
দাও
আমার
শিকড়ে...
মাঝে
মাঝে
জীবনানন্দের
কাছে
কিছু
ঋণ
জমে
আধুনিক
ছন্দের
মাঝির
বৈঠায়;
আর
সুধীন্দ্রনাথ?
আজও
চলছে
পৃথিবী
জুড়ে
নির্বোধেরই
ভ্রান্ত
দুঃস্বপ্ন;
গ.
ঈষানে
ঈর্ষার
বিষাণ
আমাকে
নিয়ে
গ্যাছে
অনেক
দূরে;
দূরতম
শব্দের
কাছে,
পঙক্তির
একেবারে
শেষ
সীমান্তে;
অনিচ্ছার
মেঘ
যেখানে
সমস্ত
সকাল
ভেসে
চলে
শুণ্যতার
আবরণে;
লহমায়
ওড়ে
বিষাদের
তুলো
যত্রতত্র;
আমাকে
নিয়ে
যাবে
তুমি?
তুমি
চরাচর
আমার
করেছ
আলোকময়;
তোমার
যৌবনের
কাছে
বাধিত
আমার
প্রেম;
বহুগামীতার
ছদ্মবেশ
আমার
পুরুষময়।
এ
নদী
থেকে
ছুটেছি
ও
নদীর
জলে
অবগাহনে,
সন্তরণে...।
তুমি,
তোমার
ঈষানে
ওড়ে
ঈর্ষার
নিশান;
তোমার
শাড়ির
আঁচল
হাওয়ায়
ছুড়েছে
হাতছানি?
ঘ.
মনে
পড়ে,
সবুজ
অর্কেষ্ট্রার
বাতাবরণে
চিরকালীন
কবিতার
দুঃখকে
ঢেকে
রাখার
সেই
সময়?
ছদ্মবেশী
অনুরাগের
কাছে
জীবনের
গূঢ়তর
অধ্যায়ের
পঠন
লিখন;
কারাগারের
জমাট
বাতাসের
মতোন
ঘিরে
আস
তুমি;
আধুনালুপ্ত
সময়ের
তুমি
কি
শীতল
স্পর্শ?
তুমি
কি
প্রেম?
কাম?
সহবাস?
দেবী?
অনাঘ্রাতা?
কবিতা?
বেশ্যা?
দয়মন্তী?
১৭.০৩.০৮
|