|
|
আমার
নৈঃশব্দ্যতা
আমার
স্বপ্ন
আর
সাহসের
নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী
যদি
আমি
কবিতা
না
লিখি:
ভয়াবহ
দুর্যোগ
নেমে
আসবে-;
লাল
সাইরেন
বাজতে
থাকবে
সারা
বেলা-;
সূর্য
উঠবে
না
কোনো-;
শেষ
রাতের
চাঁদ
আলোর
বদলে
অনবরত
ছড়াতে
থাকবে
নীল
রঙের
প্রেতাত্মা-;
ঘনঝোঁপ
থেকে
অবশিষ্ট
জোনাক
পোকা
একে
একে
ধরে
খেয়ে
ফেলবে
অন্ধকার
থেকে
উঠে
আসা
একটি
বিকট
রঙের
কালো
বেড়াল-;
...
যদি
আমি
কবিতা
না
লিখি:
যুদ্ধের
ভীষণ
ডামাডোলের
মধ্যে
অগ্নিদগ্ধ
কিশোরীর
মতো
উদ্ভ্রান্ত
হয়ে
ছুটবে
সমস্ত
মানবিক
আয়োজন-;
বিশ্বজুড়ে
শান্তিবাদী
নিষাদেরা
বাজাবে
দুর্ভাগ্যের
সূচনা
সঙ্গীত-;
আর
পৃথিবীর
মাটি
ফুঁড়ে
সারি
সারি
অঙ্কুরিত
হতে
থাকবে
যাবতীয়
হাহাকার-;
হা
ভাতের
আর্তচিৎকার
থেকে
পৃথিবীর
বাতাসে
ছড়িয়ে
পড়বে
বিষাক্ত
কার্বন-মনো-অক্সাইড-;
এবং
সমস্ত
বনভূমির
সবুজে
হলুদ
অসুস্থতার
হাত
ধরে
নেমে
আসবে
কালোর
বিষাদ-;
...
যদি
আমি
কবিতা
না
লিখি:
বাজার-থলে
থেকে
মাঝ
পথেই
বেগুনী-লাল-সবুজ
শবজির
বদলে
উঁকি
দেবে
উপকরণ
সহ
শুধু
আত্মহত্যার
নিপুন
অনুপ্রেরণা-;
আর
জীবন্ত
মাছের
মতো
লাফ
দিয়ে
হঠাৎ
হঠাৎ
বেরিয়ে
আসবে
অগনন
পেশাদার
হন্তারক-;
রাস্তার
মোড়ের
দোকানে
প্রতি
খিলি
পানের
সাথে
ফ্রি
বিলি
হবে
এক
জীবন
পরিমান
বিভীষিকা-;
বৃদ্ধেরা
সেইসব
বিভীষিকা
নিয়ে
দুপুরে
তুলে
দেবে
তরতাজা
যুবকের
হাতে-;
আর
যুবক
বুক
পকেটে
বয়ে
নিয়ে
বিকেলেই
সেই
বিভীষিকা
ছুঁড়ে
দেবে
নিজের
ঘনিষ্ঠ
প্রেমিকার
মুখে-;
...
যদি
আমি
কবিতা
না
লিখি:
ইতিহাস
কেবলি
শেখাবে
অর্ধসত্যের
জয়গান-;
প্রাজ্ঞ
পুরুষেরা
কুচক্রের
মন্ত্রণায়
ভেবাবাজির
মতো
রূপান্তরিত
হয়ে
যাবে
ভয়ানক
পিচাশে-;
সুতীক্ষ্ণ
নখে
একে
একে
তুলে
নেবে
সোনালী
দিনের
কথামালা-;
আর
পরিবর্তে
বসাবে
পরিকল্পিত
মিথ্যার
উচ্ছিষ্ঠ-;
প্রকান্ড
ধর্ষককে
বিশ্বাসের
মেকাপে
সাজিয়ে
নির্বাচিত
করবে
সত্যের
প্রতিনিধিররূপে-;
তারপর
রমনীর
আঁচলে
সঙ্গোপনে
বেঁধে
দেবে
মধ্যযুগের
মৌলিক
স্ত্রোতমালা-;
ফলশ্রুতিতে
তাকে
দিনরাত
পাইথনের
মতো
পেঁচিয়ে
রাখবে
প্রগতিহীন
ইস্তেহার-;
...?
: হয়তো
না;
হয়তো
এসবের
কিছুই
এসে
যায়
না;
কিন্তু
যদি
আমি
কবিতা
না
লিখি:
আমার
সত্ত্বাজুড়ে
বিরাজ
করবে
কেবল
নিথর
নিস্তব্ধতা-;
স্থবির
পাথরের
মতো
শব্দহীন
হয়ে
পড়বে
আমার
শাব্দিক
বোধ-;
আর
এই
নৈঃশব্দ্যতার
ফাঁক
গলে
সাম্রাজ্যবাদের
মতো
আমার
অস্তিত্বে
দখল
নেবে
স্বপ্নহীন
ভয়ার্ত
দিন-;
এবং
অবশেষে
আমি
পরিণত
হবো
পৃথিবীর
সবচেয়ে
কুৎসিত
দুঃস্বপ্নে-;
২৪.০৩.০৮
|
|
|
|
|
|
চর্চিত
পাঠের
অর্শ্বক্ষুর-ধ্বনি
কালো
ঘোড়াটার
কথা
মনে
পড়ছে
বেশ:
পিচ
আর
কঙক্রিটের
সড়কে
সে
আর
সাবলিল
নয়
বলে
খুব
নিরবে
প্রখর
সূর্যকে
বলেছিল-
তৃয়ায়িত
অসুরের
চোখের
জলে
স্নান
করা
হলো
না
আর!
নাগরীর
জল্পনা
তখনও
চলছিলো-;
আমি
জীবনানন্দের
বোধের
মধ্যে
ডুব
দিয়ে
রাস্তার
ধারে
অনন্ত
ট্রামের
অপেক্ষায়
আছি;
আর্য
ঋষি
নই,
ফলশ্রুতিতে
বিপরীত
বারান্দায়
যে
বালিকা
প্রথম
প্রনয়ের
জ্বরে
কাঁপছিলো,
তার
হৃদয়ের
নির্যাস
এই
অপেক্ষমানতায়
কোন
ছেদ
আনতে
পারেনি।
জীবনের
চুড়ান্ত
নৈঃশব্দ্যের
উৎসে
শুধু
সৃষ্টিকে
সত্য
জেনেছি;
আর
কি
আছে
কিছু?
উপনিষদের
অর্শ্ব
কেবল
স্তাবকতা
ঋদ্ধ
পুস্তকের
পৃষ্ঠায়
করে
বাস;
আমি
জানি,
অসুরের
সাথে
কখনও
হবে
না
জয়ী
অমরাবাসীরা;
হয়
না-
যেহেতু
আর
কেউ
লিখবেনা
কোন
পুরাণ।
কিন্তু,
চর্চিত
পাঠের
অর্শ্বক্ষুর-ধ্বনি
আজও
ভোলা
যায়নি;
০৮.০৪.০৮
|
|
|
|
|
নক্ষত্র
এবং
অন্যান্য
অথবা
কিছু
অসংলগ্ন
পঙক্তি
আমি
তখন
আরও
কয়েকজনের
সাথে
হাতের
মুঠোয়
কয়েকটি
নক্ষত্র
নিয়ে
আমাদের
মৌলিক
অধিকার
সমূহ
আদায়ের
লক্ষ্যে
উদ্দত
মিছিলের
সারিতে;
আমাদের
মিছিলটা
তখন
এ
শহরের
কালেক্টরেট
ভবন
পার
হচ্ছিল।
আমাদের
ডান
পাশে
নিতান্তই
ত্যক্তবিরক্ত
বিধ্বস্ত
নাগরিকের
মতো
পৌর
পার্ক
নামক
ঝোপ-সর্বস্ব
স্থানটি
অবস্থান
করছিলো
( এখানে
রাত
হলে
শরীরের
জমজমাট
ব্যবসা
বসে)।
আমরা
তখন
অন্ন
চাই,
বস্ত্র
চাই..
ইত্যকার
শ্লোগাণে
লিপ্ত-
একটি
টসটসে
পেট
অলা
ছাগল
পার্কের
ঝোঁপ
থেকে
বেরিয়ে
এসে
তার
প্রাজ্ঞ
কালো
চোখ
দিয়ে
প্রথমে
আমাদেরকে
কিছুক্ষণ
নিরিক্ষণ
করে
তারপর
ডাইনে
আর
বাঁয়ে
তাকিয়ে
টপাটপ
তার
নিকট
কোন
এক
কার্যকর
সঙ্গমের
ফসল
ফলালো-
ধাত্রীবিহীন।
আমাদের
হাতের
মুঠোয়
তখনও
নক্ষত্রপুঞ্জ
কাঁপছিলো
আমি
শুধু
বলার
ছলেই
বলছি...
আমি
কোনদিন
মিছিলের
অগ্রভাগে
ছিলাম
না
আমার
হাতে
কোনদিন
নক্ষত্ররা
শোভা
পায়নি
আমার
শরীরে
কোনদিন
কোন
ক্ষতচিহ্ন
সৃষ্টি
হয়নি
আমি
শুধু
নিয়মতান্ত্রিক
জনপ্রিয়
জ্যোৎস্নার
আরাধনা
করতে
গিয়ে
ঘন
আলিঙ্গনাবদ্ধ
ঝোঁপে
পুরুষের
বীর্যপাত
প্রত্যক্ষ
করতাম;
আর
সেই
বীর্য
থেকে
তৃতীয়
দিবসে
যে
অনিন্দ্য
ফুল
ফুঁটতো-
তা
পরম
আনন্দে
জলে
ভাসিয়ে
দিতাম
আমি
শুধু
বলার
ছলেই
বলছি...
মিছিল
ছত্রভঙ্গ
হতেই
দেখি
আমার
হাতের
নক্ষত্রগুচ্ছ
সদ্য
নবজাতকের
অনুরুপ
শরীর
লাভ
করলো...
অর্থাৎ
ছাগ
শিশু
হয়ে
গ্যালো
আমি
শুধু
বলার
ছলেই
বলছি;
মাননীয়
বোদ্ধাগন,
এ
আমার
নিছক
মনোবৈকুল্যের
প্রসব।
এর
মধ্যে
কোন
শব্দহীন
গভীরতা
খুঁজবেন
না
দয়া
করে;
কারণ,
এতক্ষণ
আমি
শুধু
বলার
ছলেই
বলেছিলাম
২১.০৩.০৮
|
|
অনুসন্ধান
আমার
অস্তিত্ব
সংকটের
মুখে-;
অস্তিত্বের
সংকট
নিয়ে
এরকম
আগেও
অনেক
চিন্তা
করেছি;
গভীর
ভাবেই
চিন্তা
করেছি;-
বিশেষ
বিশেষ
মুহূর্তে।
তবে
তখন
তা
শুধু
কবিতায়
আর
মুহূর্তের
ভাবনায়ই
সীমাবদ্ধ
থাকতো;
তখন
উত্তোরণের
পথ
খুঁজতাম-
পেয়েও
যেতাম
ইদানীং
আবার
নিজের
অস্তিত্ব
নিয়ে
ভাবতে
শুরু
করেছি-
আসলে
ভাবনা
চলে
আসে
পারিপার্শ্বিকতার
কারণে;
মনে
হচ্ছে
য্যানো
গভীর
এক
অন্ধকারের
দিকে
ক্রমান্বয়ে
ধাবিত
হচ্ছি;
য্যানো
আমার
জন্মের
সেই
বিপন্ন
মুহূর্তের
দিকে
ফিরে
চলছি
আবার।
এক
ধরনের
অস্থিরতা
অনুভব
করছি
সর্বক্ষণ-
হঠাৎ
হঠাৎ
ঘুম
ভেঙ্গে
যায়
নৈঃসঙ্গের
রাত্রে-
মন
খারাপ
করা
জাগরণে
পুড়ে
চলি!
এড়িয়ে
যেতে
চাই,
এটা
সেটা
ভাবি-
চাকুরী,
মিছিল,
নারী...
কিন্তু,
সমস্ত
ভাবনাই
শেষমেশ
ঐ
সংকটের
কাছাকাছি
গিয়ে
জমা
হয়
মাঝেমধ্যে
কামতাড়িত
হয়ে
অনুভবে
নতজানু
হই
কাঙ্খিতার
শরীরের
সামনে;
সেই
কয়েকটি
মুহূর্ত
ছাড়া
আর
এমন
কোন
মুহূর্ত
নেই
যাবতীয়
নৈরাশ্য
আমাকে
ঘিরে
রাখে
না;
দীর্ঘদিন
কবিতা
লিখতে
না
পারার
হতাশার
থেকেও
আজকাল
এই
নৈরাশ্য
আমাকে
ম্লান
করে
রাখে।
গ্রাস
করে
চলে
আমার
সম্বিত;
আমি,
উত্তোরণের
পথ
খুঁজি-
পাই
না-
খুঁজে
চলি
৩০.০৩.০৮
|
|
|
|
|
উত্তরাধিকার
(আমার
প্রিয়তমা
নারীর
উদ্দেশ্যে)
মধ্যরাত
সবে
শুরু;
পৃথিবীর
সমস্ত
বীর্যবান
পুরুষেরা
অধিকৃত
স্ব
স্ব
অমৃতকুম্ভে
ঘটাচ্ছেন
অগ্নুৎপাত।
আর
আমি
প্রিয়তমা,
তোমাকে
লিখছি;
গ্যালো
হপ্তায়
চিঠি
পেয়েছি
তোমার;
ভালো
নেই
লিখেছ
অসুখ
বেড়েছে;
পাঁজরে
রক্ষিত
স্বপ্নগুলো
একে
একে
হয়ে
যাচ্ছে
বেহাত
যেন
কোন
পৌরাণিক
দস্যু
এসে
লুট
করে
নিয়ে
যাচ্ছে
সব;
লিখেছ,
দুপুরগুলোও
এখন
অন্ধকার
মনে
হয়
বিষম;
পর্যাপ্ত
আলো
খুঁজে
পাওনা
কোথাও;
বিরাট
এক
দুঃস্বপ্নে
যেন
নিমগ্ন
তুমি।
লিখেছ,
এই
সময়
যদি
আমি
পাশে
না
থাকি,
তবে
ক্যানো
এই
অর্থহীন
বেঁচে
থাকা?
এখানেও
সকাল
সন্ধ্যার
ভেদ
নেই;
অশুভ
মেঘের
পাখোয়াজ
শুনে
প্রতিদিন
ভাঙ্গে
আর
ঘুমুতে
যেয়ে
দেখি
বিছানা
আমার
বালিয়াড়ি
ধূ
ধূ
প্রিয়তমা,
আমিও
কাটাচ্ছি
দিন
বিশাল
আঁধারে
কী
করে
তোমাকে
বলি,
যতদিন
ধরে
রাখিনি
ওষ্ঠ
তোমার
শিশিরে
ততদিন
ধরে
জলশূণ্য
ঘরে
আমি
কাতরাচ্ছি
চাতক;
তুমিও
লিখেছ
আগুনে
পুড়ে
পুড়ে
ছাই
হচ্ছে
শরীর,
আমি
কি
বুঝি
না?
ঐ
আগুন
আমাকেও
কি
দিচ্ছে
রেহাই?
প্রিয়তমা,
জঠরের
জ্বালা
হয়তো
কিঞ্চিত
বেশী
এর
চেয়ে;
তাই
সব
দুঃস্বপ্ন
করে
আলিঙ্গন
অন্ধকার
মেখে
গায়ে
নিয়েছি
নির্বীর্য
নির্বাসন
আমি
অন্নের
অন্বেষণে;
ভেবো
না
কেটে
যাবে
আঁধার;
তোমার
অর্ন্তগতে
আমি
স্থাপন
করে
এসেছি
যে
দ্বিতীয়
সত্ত্বা
আমার;
সে
এসে
জ্বালাবে
আগুন
আমাদের
হিম
রাত্রে;
মুছে
দেবে
সেইসব
কালিমা
আমাদের
যাকে
অক্ষমতা
বলা
যেতে
পারে।
আমাদের
অতৃপ্ত
আকাঙ্খাগুলো
প্রবাহিত
করো
তাকে
যেন
সে
এসে
চিৎকার
করে
বলে:
আমি
এসেছি-
আমি
এসেছি
হে
বসুধা,
আমিই
সেই
বীর
যার
প্রতীক্ষায়
এতকাল
ধরে
অনন্ত
শুণ্যে
সাঁই
সাঁই
আবর্তনরত
তুমি
রাত
বাড়ছে;
একটি
নেড়ী
কুকুর
কুঁই
কুঁই
স্বরে
ডাতছে
হয়তো
হারিয়ে
যাওয়া
সঙ্গীকে
তার;
হয়তো
সঙ্গীও
তার
আহারের
খোঁজে
গিয়েছে
কোথাও;
ক্ষুধার
কাছে
এখানেও
পরাজিত
কাম;
আমি
তোমাকেই
ভাবছি
এখনও;
কেন্দ্রে
আছো;
তোমাকে
ঘিরেই
ঘুরছে
আমার
ভাবনার
গোলক।
প্রিয়তমা,
তোমার
জন্য
অর্পিত
আমার
যে
পংক্তিমালা,
তোমার
অলকের
গহনে
যে
প্রেম
আমি
এসেছি
রেখে-
তাদের
কসম
এ
নয়
মানুষ
জন্ম;
এত
যোজন
যোজন
ব্যবধান
তোমার
আর
আমার;
তার
মাঝখানে
এখন
একটি
প্রশ্নবোধকই
দৃশ্যায়মান
শুধু!
আর
সব
বিতাড়িত;
প্রিয়তমা,
রাত
শেষ
প্রায়;
আসন্ন
ভোর।
যন্ত্রের
মতো
আবার
বেঁচে
উঠবো
আমি;
এবঙ
তুমিও।
প্রতীক্ষার
মতোন
একেবারেই
নিস্তব্ধ
সব;
শুধু
তুমি
সরব
থেকো;
তোমার
কন্ঠ-স্বরে
অগ্নিস্ফুলিঙ্গের
মতো
বেঁচে
থাকার
অঙ্গীকার
খুঁজে
পাবে
আমাদের
সন্তান
যাকে
তুমি
ধারন
করে
আছো
গোপনে
প্রকাশ্যে;
তার
জন্য
ভোর
হোক
মানুষ
জন্মের
শতাব্দি
কাঁপানো
উল্লাস!
১৮.০৩.০৮ |
|
|
|
|
শিরোণাম দিতে পারছিনা
তোমার অপেক্ষায় এই বেঁচে থাকা
অসহনীয় দীর্ঘ সময়।
সমুজ্জ্বল তুমি এখনও স্মরণে-
তোমার নামেই গড়েছি জল পাত্র
কুমোড়ের বাড়ী মাটির শিল্প;
তোমার নামেই একাকার
সন্ধ্যার দীপ আমি
অফুরন্ত আশা নিয়ে জ্বলে থাকি।
পৃথিবীর কবি
তোমার প্রেমিক আমি;
পৃথিবীর প্রতীক্ষা কবির দিকে
আমার অপেক্ষা তুমি;
শতাব্দি পেরুনো এই ইতিহাস
প্রতীক্ষা পৃথিবীর;
তোমার প্রতীক্ষায় এই বেঁচে থাকা
অসহনীয় দীর্ঘ সময়; কবিতায় বাঁচে
কবি; প্রেমিক বেঁচে থাকে অপেক্ষায়?
১৫.০২.০৮ |
|
সত্য
প্রকাশের দায়
সত্য
প্রকাশের দায় কে নেবে?
সুধী নারী, প্রেম নয়
শুধু শরীর দেবে?
পতনের মুখে পুষ্পও নির্দয় হয়
আপন পাপড়ির তরে
প্রিয় নারী, শুধু প্রেমে নয়
শরীরেও আস আমার ঘরে;
সৌখিন বীণ বাজে
দগ্ধ নগরীর যন্ত্রণা ভুলে;
নারী, কামনায়-শুধু
কামনায় ওষ্ঠ ধরো তুলে
আমার কাছে তুমি
একমাত্র শরীর হও
শরীরেই দাবী তুমি
নিরাকার প্রেম নও
যদি প্রেম চাই
যদি চাও প্রেম
ত্রিকালদর্শী শ্রী
বৎসায়ন বাধা দ্যান
সত্য প্রকাশের দায় কে নেবে?
অধরের দায় শরীরের দায়
আর কত বাধা দেবে?
০৬.০১.০৮
|
|
|
|
|
ভাবনার সুর অন্ধকার গান
কার
জন্য কোথায় উৎসব হয় জন্মতিথীর লগ্নে
কার মৃত্যুতে রোদ্দুরময় আনন্দ বয়ে যায় নগরীতে
কার ভালোবাসা ধ্বংসের মতো ভয়াবহ
কার প্রেম ফল্গুধারার নির্বান উৎসব
কার ঘৃনা জল প্রপাতের হিংস্রতার সুখ আনে
কার ওষ্ঠ আর আলিঙ্গনে লেগে থাকে নৃসংশতম চুম্বন
কার তৃষ্ণা রক্ত খোঁজে স্বদেশের কথা মনে রেখে
কার চোখে সভ্যতার অতন্ত্র উল্লাস দ্যাখে প্রতিরাত
অথবা, কে কবে কোথায় কীভাবে পড়ে থাকে নিথর হয়ে
কেউ জানে না। কেউ জানবে না। কেউ জানে না।
০১.০৮.০৮ |
|