নব আলোকে বাংলা
উত্তরাধিকার। অঙ্গীকার। দূরদৃষ্টি।
সম্পাদক
পাঠক পরিষদঃ চঞ্চল চৌধুরী, শুভলগ্না শোয়ারা
বিজয় দিবস সংখ্যা
প্রকাশ কালঃ
৬ই ডিসেম্বর ২০০৯
Suprateek Aroop Ghosh
এবারের প্রকাশনা
কবিতা
৭১' আমাদের নক্ষত্রের বাগান
নাজনীন খলিল
'নক্ষত্রের ফুলে ফুলে এ আকাশ ভরে যাবে
|
বিজয়ের পতাকা তব উড়বেই
রক্তাক্ত 'সত্য'রা
চিরকাল-ই অবিনাশী। |
আমার রক্তের ইতিহাস |
|
৭১'গ্রামগুলোও নিরাপদ ছিলনা
....................................................................................................................................................
|
মুক্তিযোদ্ধার ডায়েরী
ফকির ইলিয়াস
জারুল গাছের সাথে হেলান দিয়ে রাখা স্টেনগানটা আবার হাতে
তুলে নেই। ডালে উড়ছে একটা লাল ছিন্ন শাড়ী। সামনেই শিলাদের
বাড়ী ।ও বাড়ীতে আজ আর কেউ থাকেনা।পোড়া ভিটেতে দাঁড়িয়ে
আবার দেখে নিই পৌষের আকাশ।সমাহিত মায়ের কবর আমাকে
কাঁদায় নি মোটেও । এই মুক্ত বাতাসের আলিংগন আমাকে ছুঁয়েছে,
কাঁদিয়েছে তিরিশ হাজার বধ্যভুমি।
ষ্টেনগানটিতে কোনো জং ধরেনি এখনো । আমি হাঁটতে থাকি।
এই হাওরের জল, এই জারুল ফুলে রেখে যাওয়া যুদ্ধের দাগ
খুঁজে খুঁজে দাঁড়াই ।
আবার যুদ্ধে যাবো, সৈনিককে তো ফিরে আসতে নেই !
স্বপ্ননীল যুগ যুগ ধরে চারিদিকে তার সহসা বক্ষে আকাশের কোণে |
|
|
গল্প |
||
গাজী তানজিয়া
বিজ্ঞান বলিস আর সমাজ বলিস মা ই তো সন্তানের আসল পরিচয়। আমি একজন ঘৃণ্য নরপশু, যুদ্ধাপরাধী, পাকিস্তানী আর্মির ঔরসজাত ভেবে যতবার কষ্ট পেয়েছি ততবার আমার বীরাঙ্গণা মা ও তার স্বামী আমার বর্তমান বাবাকে দেখে সব কষ্ট ভুলে গেছি। আমি যার ঔরসজাত সে একজন ঘৃন্য পশু হলেও যার গর্ভে তিলে তিলে আমার বেড়ে ওঠা তিনি এই দেশের জন্য তার সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত অমানুষিক শারিরীক ও মানসিক নির্যতন সয়েছেন। কেন জানিস? দেশ! দেশের জন্য। |
আবদুল খালেক
সম্পর্কের ধারা ধরেই আমরা মনের কথা বলি । সব সময়ে সব কথা সবাকে বলা যায় না। এমনও অনেক কথা আছে যা কাউকেই বলা যায় না। যা ধরে রাখতে হয় অতি গোপনে, চাপা কান্না দিয়ে ঢেকে। মুখের হাসি দিয়ে লুকাতে হয়-চাপা কান্নার এসব শব্দ গুলোকে। ১৯৭১ সালের ডাইরীর কিছু পাতা আমি মাঝে মাঝে পড়ি। গোপনে পড়ি। পড়তে পড়তে উঠে গিয়ে কখনও চোখ ধুঁয়ে আসি। কেউ যেন বুঝতে না পারে চশমার আড়ালে আমি কেঁদেছি। ........................................................................................... |
|
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ধারাবাহিক উপন্যাস
ফিরোজা হারুন
মুক্তি যুদ্ধের বেশ কিছুকাল আগের সময়। তখন আমরা কলেজ হোস্টেলে থাকি। সে সময় মেয়েদের ঘরে বাইরে এমন যত্র-তত্র বিচরণ ছিল না। চলাফেরা ছিল অনেক সীমিত। হোস্টেলের মেয়েরা ছিল বন্দী। একই কম্পাউন্ডে স্কুল-কলেজ, হোস্টেল। বড় বড় ছুটিতে মেয়েরা বাড়ি যেত। তাও পিতা অথবা পিতা কর্তৃক নির্দিষ্ট গার্জিয়ানের সঙ্গে। পুনরায় ছুটি শেষে হোস্টেলে পদার্পণ। এভাবেই কেটে যেতো ছাত্রীজীবন। সেজন্য মেয়েদের হোস্টেলের বাইরে চিত্তবিনোদনের একমাত্র উপায় ছিল বনভোজন। সকলের জন্য নয়। নাইন-টেন, এবং কলেজের ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ার এর ছাত্রীদের জন্য। আশায় আশায় দীর্ঘকাল পার হয়ে শেষে নাইন-টেনে এসে বনভোজনের সুযোগ পেলাম।
পিন্টুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল সেই বিজন বনে --- মধুপুর গড়ে। না হলেও পারতো! কিন্তু হয়েছিলো। এ যে আমার নিয়তি, আমার অদৃষ্ট! নিতান্ত নাটকীয়ভাবে আমার জীবনে সুখ এসেছিল, স্বপ্ন এসেছিল। নাটকের মত হল তার অন্তর্ধান। একটি সাধারণ ঘটনা জীবনের মোড় এমনভাবে ঘুরিয়ে দিতে পারে, তা ছিল কল্পনার অতীত। তবুও তাই ঘটেছিলো। তারপর জীবনের নানাঘাত প্রতিঘাত, চড়াই উৎরাই অতিক্রম করে আজ বার্ধক্যের দ্বারপ্রান্তে এসে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু সেদিনটির সেই ঘটনা আজও অন্তরের অন্তঃস্থলে উজ্জ্বল হয়ে জেগে আছে। সে দৃশ্যটি বিস্মৃত হওয়ার প্রয়াস পাইনি কখনও। কেন বিস্মৃত হবে তার কথা! সে যে আমার ভালবাসার, ভাল লাগার, বেদনার, জন্ম জন্মান্তরের আরাধনার লব্ধ সম্পদ। তাকে তো উপেক্ষা করতে পারিনা। তাই তো স্মৃতির বীণায় আজও তারই কথা ফিরে ফিরে বাজে।
|
|
প্রবন্ধ
হাজার বছর ধরে বাঙালিত্বের বিকাশ ঘটেছে ধীরে-ধীরে, ঊনবিংশ শতাব্দীতে ফরায়েজি-সহ অন্যান্য ইসলামি সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গে মুসলমানিত্বের উত্থান ঘটেছে। পাকিস্তান গঠিত হয়েছিলো মুসলমানিত্বের ভিত্তিতে, আর বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিলো বাঙালিত্বের ভিত্তিতে। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আত্মপরিচয়ের এ-দুই ধারাই চালু আছে। মোটা দাগে বড়ো দুটি দলের মাধ্যমে। তবে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সময়ে এ-দুই ধারা বিবাদমান ও প্রায়শঃ দলীয় সহিংসতা পর্যন্ত গড়ায়। বলা বাহুল্য, বাঙালিত্বের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে মুসলমানিত্বের অনুসারীরাই বেশিরভাগ সময় দেশ শাসন করেছে এবং বিগত জোট সরকারের আমলে তারা প্রভূত আস্কারা পেয়েছে ও শক্তি অর্জন করেছে।... যাহোক, অন্যান্য মাধ্যমের মতো চলচ্চিত্রে লোক-ধর্মকে উপেক্ষা করা হলেও বাঙালিত্ব ও মুসলমানিত্বের দ্বন্দ্বের বিষয়টি ভালোভাবেই এসেছে। বিশেষত মুক্তিযুদ্ধ-ভিত্তিক চলচ্চিত্রে এটা প্রকটিত হয়ে ওঠে।... এ-সব চলচ্চিত্রে সাধারণত এরকম একটি রাজাকার চরিত্র থাকে, যেটি সাধারণত শান্তি-কমিটির সদস্য হয়ে থাকে এবং যার কাজ হলো আক্রমণকারী পাকিস্তানী মিলিটারিকে সহায়তা করা -- যা কি-না মুক্তিযোদ্ধাদের ধরিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীকে নারীসরবরাহ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এরা একটু বয়ষ্ক ও সাদা পাজামা-পাঞ্জাবী-টুপি পরিহিত, এদের মুখে দাড়ি থাকে -- অর্থাৎ রাজাকার ও মোল্লা এভাবে সমার্থক হয়ে ওঠে।...
|
রাজাকার থেকে মুক্তিযোদ্ধা: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে মৌলবির বিবর্তন ফাহমিদুল হক
|
মুক্তিযুদ্ধের ই-বুক
Best view with Microsoft Internet Explorer
font download link
http://omicronlab.com/download/fonts/SolaimanLipi_20-04-07.ttf